মুন্ডমালার তালোকপাড়া গ্রামে পুলিশি সহযোগীতায় অভিযোগ তদন্তে আসক
ফাউন্ডেশন এর রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক-মানসুরুর রহমান।
মো: তরিকুল ইসলাম তারেক রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহী জেলা তানোর উপজেলার মুন্ডুমালাহাট পৌরসভার অন্তর্গত তালোক পাড়া
গ্রামে অভিযোগ তদন্তে যান আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা
কেন্দ্র রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক, রাজশাহী জেলা স্পেশাল কমিটির সভাপতি
আসক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ কন্জুমার রাইটস সোসাইটি রাজশাহী জেলা কমিটির
সভাপতি, রাজশাহী জেলা নাগরিক সমাজ সংগঠন (ডাসকো ফাউন্ডেশন) এর সভাপতি এবং
জাতীয় দৈনিক সন্ধ্যাবাণী পত্রিকার স্টার্ফ রির্পোটার মো: মানসুরুর রহমান,
সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান মেসের,
গোদাগাড়ী উপজেলা কমিটির সভাপতি মো: হুমায়ন করিব, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো:
রমজান আলী, অর্থ সম্পাদক মো: তরিকুল ইসলাম তারেক, মানবাধিকার কর্মী ও
সদস্য মো: ফিরোজ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: আলফাজ উদ্দিন,
মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে পুলিশ প্রশাসন হতে সহযোগিতায় এস আই মো:
শাহানাজ ও কনস্টেবল আপেল, মো: বকুল হোসেন, পিতা- আব্দুল হান্নান, মো: ওমর
আলী পিতা- মৃত মনিরুল, মো: নজরুল ইসলাম পিতা আ: সালাম মন্ডল, মো: নুরুল
ইসলাম, পিতা- মৃত সুলতান আলী সহ এলাকার স্থানীয় আরও অনেকে।
তদন্তের সময় বিবাদী মো: দুরুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, মো: মফিজ হক কে
জিজ্ঞাসা করেন আসক ফাউন্ডেশন এর রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক যে আপনারা কি
মূলে এই জমি দখলে রেখেছেন তার কাগজ পত্রের ফটোকপি আমাদের কে দেন তখন তারা
কোন দলিলপত্র সংস্থাকে দেখাতে পারেনি। তখন তাদের কে বলা হয় এই জমিগুলো
কার নামে খাজনা খারিজ চলছে বা চালু আছে তারা বলে আমাদের নামে কোন খাজনা
খারিজ চালু নাই কিন্তু আহসানুল হক এর নামে খাজনা খারিজ চালু আছে। তবে
তাদের পক্ষ হতে সংস্থার কাছে কোর্টের কিছু কাগজ পত্রের ফটোকপি জমা দেয়।
এলাকার লোকজন কে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে এই জমি গুলো আগে বাদী মো:
আহসানুল হকগণ চাষাবাদ করতেন । কিন্তু তিন বছর থেকে জোর পূর্বক দুরুল গং
দখল করিতেছে। কারণ বাদীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় হওয়ায় তারা এই
সুযোগটি গ্রহণ করেছে।
এই বিষয়ে মুন্ডামালা পৌরসভার মেয়র মো: সাইদুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে
তিনি সংস্থার রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক কে বলেন আমি এই বিষয়ে মানুষ মুখে
শুনেছি ঘটনাটি সত্য।
জবর দখল ব্যাপারে দুরুল গণ কে জিজ্ঞাসা করিলে তারা জানায় রাজশাহী জেলা
জজে আহাসানুর হক গণ রায় ডিগ্রী পাওয়ার পর তারা জমি ভোগ দখল করছিলো আমরা
বাধা দেয়নি। হাই কোর্টে আমরা ডিগ্রী পাইছি তাই আমরা এখন জমি দখলে আছি।
সুপ্রিম কোর্টে যদি তারা ডিগ্রী পাই তাহলে আবার আমরা জমি ছেড়ে দিব।
জমির প্রকৃত বিবারণ:
উক্ত বিবাদমান জমি ১ নং খাস খতিয়ান ভূক্ত সরকার সেলামি সুত্রে বন্দোবস্ত
পি এস কেস নং 994/9-1/1965-66 সালে ৪০২৮৫/১৯৭৬ সালে কবিলিওত দলিল করে
দেন মো: আব্দুস সালাম মিয়া ও পি এস কেস নং 966/9-1/1967-68 এবং কবিলিওত
দলিল নং-৪০২৯১/১৯৭৬ সালে কবিলিওত দলিল করে দেন আব্দুর হাইকে। দলিল
মতাবেক আব্দুল হাই মিয়া ও আব্দুস সালাম মিয়ার নামে আর এস রেকর্ড হয়। আর
এস রেকর্ড মতে আব্দুস সালাম মিয়া জমি বিনিময় করেন যাহার দলিল নম্বর
8948/1985 এবং 8949/1985 সালে। আব্দুল হাইও জমিটি বিনিময় করেন যাহার দলিল
নং-8909/1985 সালে। উক্ত বিনিময় কারীদের কাছ থেকে আভিযোগ কারীর (আহসানুল
হক) এর বাবা মো: আশরাফুল ইসলাম 1910/1989 নং দলিল মুলে আর এস খতিয়ান-9
এবং খতিয়ান-10 হতে, মোট 5.32 একর জমির মালিক হন এবং তার নামে বর্তমানে
খাজনা খারিজ চালু আছে।
কিন্তু রাজশাহী সিনিয়ার সহকারী জর্জ আদালতে আব্দুস সুবহান দিং আব্দুস
সালাম দিং এর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন যাহার নম্বর-318/1987 সে
আদালতে আব্দুস সুবহান দিং এর বিরুদ্ধে ডিগ্রী হলে। পরবর্তীতে আব্দুস
সুবহান দিং অন্য মামলায় তথা জলিয়াতির মামলায় ফেসে যাওয়ার ভয়ে আব্দুস
সুবহান, আব্দুর রহমান, আব্দুল মান্নান বোন মোসা: সালেহা খাতুন, মোসা:
আলিয়া বেগম ৫১৬৯/১৯৮৬ ও ৬৮১৪/১৯৮৬ নং দলিলে যথাক্রমে 4.42 1/2 এবং 1.47
1/2 মোট 5.90 একর জমি আশরাফুল দিং এর নামে লিখে দিয়ে উক্ত জমি থেকে
নিঃশর্ত হন। জমি লিখে দিয়েছে এটা জানার পরও আব্দুস সুবহানের যোগ সাজসে
রেনু মন্ডল 1986 সালে 3449/1987 বিনিময় দলিল মূলে প্রাপ্ত হয়ে বা মালিক
সাজিয়া নিজে বাদি হয়ে রাজশাহী জেলার সার্ব জর্জ ২য় আদালতে একটি আপিল
মামলা দায়ের করেন যাহার নম্বর-124/1994। কিন্তু সে মামলায় রেনু মন্ডল এর
বিরুদ্ধে ডিগ্রী হয়। পরবর্তীতে রেনু মন্ডল এর ওয়ারিশগণ হাই কোর্টে আপিল
করে সে আপিলে আব্দুস সুবহানগণ এর পক্ষে ডিগ্রী হয়। সে ডিগ্রীর বিরুদ্ধে
আশরাফুল এর ওয়ারিশগণ এর পক্ষে মো: আহসানুল হক ঢাকা সুপ্রিম কোর্টে আপিল
করেন। আপিল দায়ের পর নিম্ম আদালতের ডিগ্রিটি স্ট্রে হয়।