বাগমারা (রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বাগমারা উপজেলার সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নের শিমলা বাজারে মৃত সাখাওয়াত হোসেনের প্রায় ৪০ বছরের আগে ক্রয়কৃতি ভোগ-দখলীয় সম্পত্তিতে তার ছেলে প্রভাষক সাজ্জাদ হোসেন গং, তার বাজারে নিজস্ব মার্কেটর সাথে লাগিয়ে আরও দুইটি ঘর নির্মাণ করছিল। এ সময় ২১শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভোর-রাতে জামাল-বাহিনী তার মান্দা ও বাগমারা উপজেলার কিছু ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অস্ত্রসহ সুসজ্জিত হয়ে এসে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে দিয়ে সাজ্জাদ হোসেনের নির্মাণকৃত দোকান ঘর ভেঙ্গে ফেলে। ফলে শিমলা বাজারসহ সমস্ত এলাকায় চরম আতংকিত বিরাজ করছে। সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়-, শিমলা-বাজারে মার্কেট নির্মাণকৃত প্রভাষক মোঃ সাজ্জাদ হোসেনের পিতা মৃত সাখাওয়াত হোসেন ১৯৮৪ ইং সালে সম্পত্তি ক্রয় করে মার্কেট নির্মাণ করে অদ্যবিধি ভোগ-দখল করে আসছে,। সেখানে কোনদিনেও জামাল বাহিনীদের কোন দাবাদাবি ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে কোন তারা সম্পত্তি পাবে বলে দাবি করে নির্মাণকৃত দোকানঘর ভেঙ্গে ফেলছে আমরা এলাকাবাসী কিছুই বুঝতে পারছিনা। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য শ্রী শ্যামলের কথা হলে তিনি জানান, আমরা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে মীমাংসা করার জন্য অনেকবার চেষ্টা করেছি কিন্তু জামালবাহিনীরা উপস্থিত হন না। গতকালের রাতের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি জানা মাত্র বাজারে এসেছে কিন্তু জামালবাহিনী আমাকে মারার জন্য ধাওয়া করেছে। ফলে আমি প্রাণের ভয়ে পালিয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন এ বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের অভিযোগ থানায় রয়েছে। তাছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিমলা-বাজারে স্থানীয় এক ডাক্তারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সাজ্জাদ হোসেনেরা স্বাধীনতার পর থেকে দোকান-ঘর সহ মার্কেট নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছে। আমার জানা মতে এই জমির মালিক সাজ্জাদ হোসেনেরা। শিমলা-বাজার দ্বন্দ্বময় মার্কেটের বর্তমান মালিক প্রভাষক সাজ্জাদ হোসেনের সাথে সারাসরি কথা হলে তিনি বলেন, নির্মাণকৃত এই মার্কেটের মালিক আমি এবং আমার ভাই এখানে অন্য কারোও হস্তক্ষেপ করার কোন অধিকার নেই। কিন্তু কি কারণে জামাল তার পালিত বাহিনী দিয়ে আমার নির্মাণকৃত দোকানঘর ভেঙ্গে দিয়েছে আমি বুঝতে পারছিনা। সুতরাং আমি এর সুষ্ঠু বিচার চায়। কিন্তু জামালবাহিনীর প্রধান জামাল এ ঘটনাকে অস্বীকার করেছে। এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আজারুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উক্ত বিষয়টি নিয়ে আমিসহ আমার পরিষদবর্গ অনেকবার ফায়সালার জন্য চেষ্টা করেছি, কিন্তু জামালসহ তার ওয়ারিশ গনেরা ফায়সালায় হাজির হয়না এবং কোনমতে হাজির হলেও ফায়সালা মানেন না। তাছাড়াও আমার জানামতে এ শিমলা বাজার মার্কেটর মালিক সাজ্জাদ হোসেনেরা। তাই আমি উভয় পক্ষে কে আইনের আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য পরার্মশ দিয়েছি। এ বিষয়টি জানার জন্য বাগমারা থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোস্তাক আহমেদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উক্ত জমাজমির নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়টি আমি শুনেছি এবং উভয় পক্ষের অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি তদন্ত করেছি। যদি পরবর্তীতে আবারও কেউ কোন অপ্রীতিকর ঘটনায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মোঃ সাইফুল ইসলাম
বাগমারা রাজশাহী প্রতিনিধি
তাং ২১/১০/২০২১ইং