শুধু ফুটবলে নয়, বাংলাদেশের ছেলেমেদের যত্ন করলে সব জায়গায় সফল হওয়ার সক্ষমতা রাখেন,
সাংবাদিক নজরুল ইসলাম সিকদার।
সৌদি আরবে ৪২তম বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশি হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম। প্রতিযোগিতায় ১১১টি দেশের ১৫৩ জন হাফেজ কোরআন তেলোয়াতে অংশ নেয়। তার জন্য রইলো দোয়া ও শুভ কামনা নিরন্তর
জানা গেছে, সৌদি আরবের মক্কায় ৪২তম বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২০২২ এ অংশ নেয় বাংলাদেশ। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে প্রতিযোগিতাটি ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে।
প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে অংশ নেন ঢাকার মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামির ছাত্র হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম। মে মাসে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত বাছাই প্রক্রিয়ায় ‘খ’ গ্রুপ থেকে একমাত্র প্রতিযোগী হিসাবে তাকরিম বাংলাদেশের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়।
এর আগে ১৯০ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার সারাবিশ্বে প্রথম হয় বাংলাদেশের হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম। ইরানের রাজধানী তেহরানের আন্দিশাহ (আল-ফিকির) হলে গত ৫ মার্চ পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
১৯০ প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে বাছাই করে চূড়ান্ত পর্বের জন্য পাঁচ দেশের সেরা পাঁচজন মনোনীত হয় সেখানে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিযোগী সালেহ আহমাদ তাকরীম সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথমস্থান অর্জন করে।
ইরানে প্রথম হওয়ার পর এবার লিবিয়ায় আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় সপ্তম স্থান লাভ করেছেন রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী মাদরাসায় অধ্যয়নরত ১৩ বছরের শিক্ষার্থী হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম। দেশটির রাজধানী বেনগাজিতে অনুষ্ঠিত দশম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে সপ্তম স্থানের অধিকারী হলো।
লিবিয়ার হায়ার অথরিটি ফর এনডাওমেন্টস অ্যান্ড ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স তত্ত্বাবধানে রাজধানী বেনগাজিতে আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ১০ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
তার মধ্যে হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম সপ্তম স্থান লাভ করেছে। সেখানে তাকে ৩০ হাজার দিনার (প্রায় ছয় লাখ টাকা) সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১০ জুন থেকে লিবিয়ার হায়ার অথরিটি ফর এনডাওমেন্টস অ্যান্ড ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স তত্ত্বাবধানে রাজধানী বেনগাজিতে ৪০টি দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এরপর পাঁচ দিনব্যাপী প্রতিযোগিতার পর চূড়ান্ত পর্যায়ে ১০ প্রতিযোগীকে নির্বাচন করা হয়।
আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে- লিবিয়ার আবদুল সাইয়িদ আল মাউন, দ্বিতীয় হয়েছে- কঙ্গোর বুনা তিয়াম, তৃতীয় হয়েছে- থাইল্যান্ডের হাসান থামুহ, চতুর্থ হয়েছে- সিরিয়ার মুহাম্মদ ইসা হাজ আহমদ, পঞ্চম হয়েছে- রাশিয়ার আইয়াম উদ্দিন ফখরুদ্দিন, ষষ্ঠ হয়েছে- আবদুল্লাহ বশির আবদি, সপ্তম হয়েছে- বাংলাদেশের সালেহ আহমদ তাকরীম, অষ্টম হয়েছে- সুইডেনের শুয়াইব মুহাম্মদ শাফেয়ি, নবম হয়েছে- বেলজিয়ামের জাকারিয়া আবুল আকল এবং দশম হয়েছে ইয়েনের বিলাল আবদুল্লাহ আহমদ।
তাকরীমের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার ভাদরা গ্রামে। তার বাবাও একজন হাফেজ ও মাদরাসা শিক্ষক। তার নাম আব্দুর রহমান। হাফেজ তাকরীমের মা একজন গৃহিণী।
হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় দেশের মাটিতেই চমক দেখিয়েছিল হাফেজ তাকরীম। ২০২০ সালের রমজান মাসে বেসরকারি টেলিভিশনে বাংলাভিশনে আয়োজিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়। মাত্র সাড়ে ৯ বছর বয়সে সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্ত করে।
জাতীয় দৈনিক সন্ধ্যাবাণী পত্রিকার সাংবাদিক নজরুল ইসলাম সিকদার বলেছেন, আমাদের যে সক্ষমতা আছে, সেটা আমাদের মেয়েরা প্রমাণ করেছে। এতদিন ঘুমিয়ে থাকার পর আজ আমাদের মেয়েরা প্রমাণ করেছে যে কতটুকু সক্ষমতা। এজন্য নারী ফুটবল টিম এবং টিমে থাকা সবাইকে জাতীয় দৈনিক সন্ধ্যাবাণী ও রিপোর্টর বাংলা টিভির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নেপালকে ৩–১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
সাংবাদিক নজরুল ইসলাম সিকদার বলেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নেতৃত্বে যতো দেরিতে সালাউদ্দিনদের সরাবেন তত দেরি হবে আমাদের ফুটবলের পুনর্জাগরনের। তাই অনুরোধ করবো, এদের এই বৃত্ত থেকে, এদের দুষ্টচক্র থেকে আমাদের বাঁচান। দেখবেন আমাদের ফুটবল কোথায় নিয়ে যাই। এই শেখ কামালের ফুটবল হবে, যে ফুটবল সাউথ এশিয়া কেন, পুরো এশিয়াকে নেতৃত্ব দেবে।
সাংবাদিক নজরুল বলেন, বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন দলকে অভিনন্দন। প্রথমেই নারী ফুটবল টিম এবং টিমে থাকা সবাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মেয়েরা যে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে জিতেছে এটাই ছিল বাংলাদেশ। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে একটা সময় ছিল, কায়সার হামিদদের সময়ে, কোনো দেশকে পাত্তাই দিতো না। তখন বাংলাদেশ হেসেখেলে সাতটা-আটটা করে ভুটানকে গোল দিয়েছে। বাংলাদেশ এখন নিচে নামতে নামতে, বারবার বলি যে এই বাংলাদেশ থেকেই আমার ফুটবল একাডেমির জন্ম। এখন সারা বাংলাদেশেই ফুটবল খেলে বেড়াই। দেখুন ৪৩ বছর বয়সে এতগুলো ট্রফি অর্জন করেছি। বলেন, আমি শুধু এইটুকু বলতে চাই, কোনোদিন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নেতা হতে যাবো না। কিন্তু বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সালাউদ্দিন সাহেব, এই সালাম মোর্শেদী সাহেব যারা আছেন, তারা থাকলে দেশের উন্নয়ন তত বেশি দেরি হবে। এরা হচ্ছে গিয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যর্থ হওয়া নেতৃত্ব। যারা বাংলাদেশের এই ছেলেদের ফুটবলটারে অন্তত ৫০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে।