শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

লকডাউনে ভাড়া লুটছেন রাজশাহীতে রিক্সা চালকরা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১
  • ১৫৩ বার পঠিত

 

তরিকুল ইসলাম তারেক রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি
কঠোরের পরে চলছে সর্বত্মক লকডাউন। এমন অবস্থায় কেটেছে মাসখানেক। এতে করে সড়কে অটো, সিএনজি ও ইমাগুলো চলাচল করতে পারেছে না। তবে অলি-গলি চোষে বেড়াচ্ছে রিক্সা চালকরা। জরুরী প্রয়োজনে বের হাওয়া মানুষগুলোকে গুনতে হচ্ছে তিন থেকে চারগুন বেশি ভাড়া। এমন বিড়ম্বনায় পরেনি এমন মানুষ খুবই কম।
সাধারণ সময়ে উপশহর নিউ মার্কেট থেকে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চিড়িয়াখানা পার্কের গেটে ভাড়া ৩০ টাকা। বর্তমানে সারাদিন ৫০ টাকা। সন্ধ্যার পরে ৬০ থেকে ৭০ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের থেকে। উপশহর নিউ মার্কেট থেকে লক্ষ্মীপুরের ভাড়া ২০ টাকা। বর্তমানে রিক্সা চালকরা নিচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। এছাড়া নগরীর চৌদ্দপায়া এলাকা থেকে সাহেববাজারের অটোরিক্সার ভাড়া ১২ থেকে ১৫ টাকা। লকডাউনের সময়ে ২ থেকে ৩ টাকা বেশি নিতো। সাধারণ সময়ে এই পথে রিক্সার ভাড়া ছিলো ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বর্তমানে সেই ভাড়া ৯০ থেকে ১০০ টাকা।
জানারুল ইসলাম নামে এক রিক্সা চালক জানান, কেউ সরাসরি বাজার গেলে ৯০ থেকে ১০০ টাকা ভাড়া। সকালের দিকে অনেকেই ঢেড়স নিয়ে যায়। তাদের থেকে ১০০ টাকা ভাড়া নেয়।
এছাড়া অন্য রিক্সা চালকরা জানান, লকডাউনের কারণে তেমন কাজ নেই। আর রিক্সা চলালে পুলিশ দেখলে চাকার বাতাস ছেড়ে দেয়। তাই ঝুঁকি নিয়ে চলাচলে ভাড়াটা একটু বেশি নেন তরা বলে রিক্সা চালকরা দাবি করেন।
অন্যদিকে, কামারুজ্জামান চত্বর থেকে সাহেববাজার জিরোপয়েন্টের অটোরিক্সার ভাড়া ৫ টাকা। আর রিক্সা ভাড়া ১০ থেকে ১৫ টাকা। তবেই এই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। এছাড়া কামারুজ্জামান চত্বর থেকে কাশিয়াডাঙ্গা পর্যন্ত অটোরিক্সার ভাড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকা। আর রিক্সার ভাড়া ছিলো ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। বর্তমানে সেই ভাড়া চাওয়া হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। তবে রিক্সা চালকদের যুক্তি এলাকার ভেতরের রাস্তা নিয়ে যেতে হবে তাই ভাড়া বেশি।
তবে রিক্সা চালকরা জানান- কোন সড়কে পুলিশ থাকে। তাই সেই সড়কগুলো শুধু এলাকার মধ্যে দিয়ে চলাচল করছে। বাকি পথ মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করছেন তারা।
উপশহর এলাকায় কথা হয় সজল নামের এক যাত্রীর সাথে। তিনি জানান, ‘কাশিয়াডাঙ্গা থেকে আসলাম। ভাড়া নিয়েছে ১০০ টাকা। চেয়েছিলো ১৫০ টাকা।
রিক্সা চালক বলছিলেন- মামা লকডাউন পুলিশ দেখলে বাতাস ছেড়ে দিচ্ছে। এতে চাকা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আপনি গেলে ১০০ টাকার কম হলে যাবো না। আমার জরুরী ছিলো, আর অটোরিক্সাও পাচ্ছিলাম না। তাই চলে আসলাম।’
নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার একটি ক্লিনিকে কাজ করেন (ছদ্মনাম) শামিমা। তিনি নগরীর ভদ্রা মোড় এলাকায় আসলেন অটোরিক্সা। ভাড়া দিতে হয়েছে ৬০ টাকা।
তিনি বলেন, ‘অন্য দিকে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ভাড়া নেয় রিক্সা চালকরা। তবে অটোরিক্সা হলে ১৫ টাকা। কখনও কখনও ১০ টাকাও নেয়।’
অটোরিক্সা চালক জানান, লকডাউনে কাজ নেই। সড়কে লোকজন অল্প। তাই ভাড়াও অল্প হচ্ছে। আমাদের তো সংসার চালাতে হবে। আর করোনার ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি। ভাড়া তো বেশি নিবই।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..