রুপগঞ্জের কায়েতপাড়ার জমি রক্ষার ও হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন।

নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ১৩ টি মৌজার ৭৫০০ বিঘা কৃষি জমি মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে ভূমিদস্যু চক্র দ্বারা বালু ভরাটের প্রতিবাদে ও হাইকোর্টের নির্দেশ জেলা প্রশাসক কর্তৃক বাস্তবায়নের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে কায়েতপাড়া ভূমিদস্যু প্রতিরোধ আন্দোলন।

রবিবার (২৭জুন) দুপুরে নারায়নগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবনের ৫ম তলায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কায়েতপাড়া ভূমিদস্যু প্রতিরোধ আন্দোলন এর আহবায়ক ও সাবেক সেনা সদস্য মঈনউদ্দিন আহ্ম্মেদ মানিক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সন্ত্রাস নির্মূল কমিটি ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক  রফিউর রাব্বি,নারায়নগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এড এবি সিদ্দিক,বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পাটি জেলা সভাপতি শ্রমিক নেতা হাফিজুল ইসলাম,বাসদ জেলা কমিটির সংগঠক আবু নাইম খান বিপ্লব,গণসংহতি আন্দোলন জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন,সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এড মাহফুজা আক্তার,  জমির মালিক মুকুল আহমেদ , রিয়াজউদ্দিন প্রমুখ।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে  উল্লেখ করেন, রুপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ১৩টি মৌজার প্রায় ৭৫০০ বিঘা ফসলী জমি এবং একই এলাকার ভিটাবাড়ি বিভিন্ন আবাসন প্রকল্পের নামে জোরপূর্বক, অন্যায় ও অবৈধ ভাবে বালু ভরাটের মাধ্যমে ভূমি দখলের বিরুদ্ধে মহামান্য   সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে দায়ের কৃত রিট পিটিশন নং ৮০৪০/২০ এর আদেশ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন পূর্বক রিপোর্ট প্রদানের মাধ্যমে ন্যায় বিচার চাই।

তারা আরো উল্লেখ করেন,একটি দুষ্কৃতকারী ভূমিদস্যু চক্র বিভিন্ন আবাসন প্রকল্পের নাম ব্যবহার করে ৩০টির অধিক ড্রেজার বালু নদী ও শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে এসে সরকারী রাস্তা কেটে পাইপ বসিয়ে ১৩টি মৌজার ৭৫০০ বিঘা কৃষি জমি ও ভিটা বাড়ি ভরাট করে চলছে।জমি রক্ষার্থে হাইকোর্টে রিট পিটিশন নং-৮০৪০/২০,পিটিশন নাম্বার ৮২১১/২০,৯৩৯৩/২০ইং দায়ের করা হয়।রিট পিটিশন নং-৮০৪০/২০ রিট মামলার দীর্ঘ শুনানি পরে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীম এর ডিভিশন বেঞ্চ বিগত ১১/১১/২০২০ ইং তারিখে এক আদেশ দ্বারা উক্ত বিষয়ে রুল নিসি জারী করেন এবং জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জ কে সরেজমিন পরিদর্শন পূর্বক রিপোর্ট দাখিলের জন্য নির্দেশনা জারী করেন এবং জমির অবস্থা ও দখল বিষয়ে ২ মাসের জন্য স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে আদেশ প্রদান করেন যা পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে বর্ধিত করা হয়।

সর্বশেষ গত ৭/৬/২০২০ইং তারিখে এক আদেশের মাধ্যমে আরো ৩ মাসের জন্য বর্ধিত হয় যা অধ্যাবধি বলবৎ আছে।

গত ২১/৩/২০২১ ইং তারিখ এক পত্রের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক কে ভূমিদস্যু কর্তৃক বালু ভরাটের মাধ্যমে গ্রামবাসী কে বেদখলের কথা জানানো হলেও কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।বরং ভূমিদস্যুদের বালু দিয়ে ভরাট করা নিঃসন্দেহে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিগত ১১/১১/২০২০ইং তারিখের আদেশের পরিপন্থী এবং আদালত অবমাননার শামীল।

বিগত ১৬/৬/২০২১ইং তারিখে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নং ৮০৪০/২০ এর দীর্ঘ শুনানি অনুষ্ঠিত হলে আমাদের নিযুক্ত আইনজীবী ভূমিদস্যু চক্র দ্বারা চলমান বালু ভরাটের বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে মহামন্য আদালত ১৬/৬/২০২১ ইং তারিখের এক আদেশ দ্বারা জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জ কে আগামী ২ সপ্তাহের মাধ্যমে  উক্ত বিষয়ে সরেজমিনে প্রদর্শন পূর্বক তদন্ত রির্পোট আদালত বরাবর দাখিল করার আদেশ দেন।

অপর দিকে কৃষক ও জমির মালিক গন দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরন করতে জেলা প্রশাসক কে অনুরোধ করেন।