বাংলার তরুন- তরুনি স্মার্ট বাংলাদেশের কর্ণধার
সোহেল রানা রাজশাহী বিভাগীয়ব্যুরো
তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এড. জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের আজকের তরুণ-তরুণী ভবিষতের স্মার্ট বাংলাদেশের কর্ণধার। একুশের চেতনায় দেশের তরুণ-তরুণীদের জাগ্রত হতে হবে। একুশ মানে মাথা নত না করা। একুশ মানে নিজের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হওয়া। এজন্য আমাদের একুশের চেতনায় জাগ্রত হতে হবে।শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সিংড়া গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজ মাঠে আইসিটি চাকরি উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষা বাংলার দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি রফিক, জব্বার, বরকতসহ অসংখ্য তাজা প্রাণের বিনিময়ে আমরা মায়ের ভাষার মর্যাদা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু বলতেন সোনার বাংলা গড়তে হলে, সোনার মানুষ চাই। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে সোনার বাংলা গড়তে হলে দেশের মানুষকে আদর্শ মানুষ হতে হবে। আমাদের কর্মঠ ও মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে।আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মাননীয় জননেত্রী শেখ হাসিনা চলনবিলের কাদামাটি থেকে তুলে নিয়ে আমাকে সিলিকন ভ্যালি পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তোমরা যদি কঠোর পরিশ্রম কর। তোমাদের লক্ষ্য যদি ঠিক রাখো, তাহলে অবশ্যই জীবনে সফল হবে এবং সারাবিশ্বকে জয় করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী অসংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। আমাদের সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কাজ করতে হবে।পলক আরও বলেন, দীর্ঘ ৩৭ বছর সিংড়ায় বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, অবকাঠামোসহ সবক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল। গত ১৪ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিংড়ার মানুষকে অসংখ্যক উন্নয়ন উপহার দিয়েছেন।সিংড়ায় আজ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে। গ্রামকে সড়কে সংযুক্ত করেছেন। ইন্টারনেটের সংযোগ দিয়ে ১২টি ইউনিয়নে ডিজিটাল এলাকায় রুপান্তিত করেছেন। আজ সিংড়ায় বসে ই-কর্মাস উদ্যোক্তারা বিভিন্ন দেশে ব্যবসা করছেন। সরকার, দেশের সমাজব্যবস্থা, মানুষসহ সবক্ষেত্রে স্মাট দেশ গড়ে তুলতে কাজ করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলার।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, সিংড়া পৌর মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ।জানা গেছে, সিংড়া উপজেলার ৮০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। শিক্ষার্থীরা উৎসবে ২০টি তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের স্টলে জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। যোগ্যতা অনুযায়ী তাঁরা চাকুরী পাবেন। উৎসবে চাকুরী সহায়ক তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক ৫টি সেশন থাকছে।প্রথম সেশনে ‘স্মার্ট চাকুরীর মাধ্যমে স্মার্ট সিংড়া’ সেশনে আফসানা ইয়াসমিন, শিবলী সাদিকসহ ৫জন সফল উদ্যোক্তা তাদের সফলতার গল্প শোনান। অনুষ্ঠানে র্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে আকর্ষনীয় পুরস্কার দেওয়া হয়।