বিশেষ প্রতিনিধি সারোয়ার মৃধা ঃঃ মহামারি করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও কাগজ-পত্রে লেখা রয়েছে লকডাউন কিন্তু রূপগঞ্জে কেউ মানছে না। কঠোর লকডাউনের নির্দেশের ফাঁকে রুগি বহনের নাম করে এম্বুলেন্সগুলো অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে যাত্রীদের পকেট থেকে।
রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের সামনেই চলছে বাস-লেগুনা। গাদা-গাদি করে তোলা হচ্ছে যাত্রী তাও অধিকগুণ ভাড়ায়। সোমবার (২৮জুন) সকালে উপজেলার ভূলতা-গোলাকান্দাইল এলাকা ঘুরে দেখা যায়,রূপগঞ্জ থানার এসআই সাইফুল ও হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন শফিক ডিউটি থাকা অবস্থায় কঠোর লকডাউনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ,পায়রা পরিবহন, সজিব পরিবহন, সততা এক্সপ্রেস প্রাঃ লিঃ পরিবহন, শুভ যাত্রা নামক বাসে ও লেগুনাসহ পিকআপযোগে মানুষকে চলাচল করতে দেখা যায়। শুধু তাই নয় পুলিশের সামনেই লেগুনা ও বাস হেলপারদের হাঁকডাকে যাত্রী উঠা-নামা করতে দেখা গেছে। রাস্তায় যেসব বাস-লেগুনা চলতে দেখা গেছে চালক এবং তাদের সহকারীর মুখে কোন মাস্ক পরিধান করতে দেখা যায়নি। অথচ কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। লকডাউনের আওতায় থাকা বাস ও লেগুনা চালকরা জানান, এটা কেমন লকডাউন? সব অফিস আদালত খোলা, শুধু শুধু বাস-লেগুনায় লকডাউন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি পরিবহন চালক ও হেলপাররা মানতেই চায় না। এক বাস চালককে প্রশ্ন করলে আপনার মাস্ক কই এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখন আগের মতো কেউ মাস্ক পড়ে না তাই আমরাও ঠিকমতো পড়ি না। তিনি আরো বলেন, দেশে করোনার আসার পর থেকে মানুষের কত বেশ দেখছি! এখন সব কোথায় গেল? বোরকার মতো সাদা পোশাকে বের হতো পুলিশ-প্রশাসন। এখন দেখেন পুলিশের মুখেই মাস্ক নাই। অথচ তারা দাঁয়িত্ব পালন করছে। আর আমরা না পড়লেই যত দোষ! লেগুনা চালক রবিন বলেন, সবাই তো কাজ করে খায়। লকডাউন কয়জনে মানে? লকডাউনে গরীবদের কষ্ট ছাড়া আর কিছু না। সোহেল নামে আরেক লেগুনা চালক বলেন,রাস্তায় পুলিশ না থাকলে কেউই লকডাউন মানতো না। করোনার ঝুঁকি থাকলেও জীবন বাঁচাতে আমাদের রাস্তায় আসতে হয়। আমরা রাস্তায় না আসলে খাবো কি? এছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই। আলমঙ্গীর হোসেন নামে এক লেগুনা যাত্রী বলেন, রাস্তায় লেগুনা না থাকলে মানুষকে আরো দূর্ভোগ পোহাতে হতো। কারণ রিকশাওয়ালা এই চনপাড়া থেকে গাউছিয়া আসছে ভাড়া রাখে ১‘শ থেকে দেড়‘শ টাকা। আর লেগুনাতে মাত্র ২০/৩০ টাকায় আসতে পারি। এই লকডাউনে বেশি ভাড়া দিয়েও গাড়ি পাওয়া যায় না। এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের টিআই সালাউদ্দিন বলেন, যেসব লেগুনা ও বাস আমাদের সামনে পড়ছে আমরা সে সব গাড়িকে মামলা দিচ্ছি।