অধ্যক্ষ কর্তৃক মিথ্যা আশ্বাস ও জালিয়াতি স্বীকার এবং নিজেই সাসপেন্ড হবেন স্বীকারঃ
সোহেল রানা রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো
নওগাঁ জেলার বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন যে অনিয়ম নিয়োগ জালিয়াতি করেছেন তা তিনি নিজের মুখে বিভিন্ন সময়ে স্বীকার করেন। যা কল রেকর্ডিং এ সংরক্ষিত রয়েছে। নিম্নে তারিখ সহ অধ্যক্ষের মিথ্যা আশ্বাস, ছলনা এবং অধ্যক্ষের নিজের জালিয়াতি নিজের মুখে স্বীকার করার তথ্য প্রমাণ সহ সংক্ষিপ্ত ভাবে তুলে ধরা হল।
তারিখ, ০২/০৩/২০২১ঃ অধ্যক্ষ এই দিনে বলেন ৯০% আশাবাদী বেতন হয়ে যাবে, প্রভাষক এরশাদ আলী কে অধ্যক্ষ রেডি হয়ে (টাকা নিয়ে) আসতে বলেন কিন্তু বেতন চালু হয় নাই অধ্যক্ষের অনিয়মের জন্য। যা সম্পূর্ণ ছলনা ছিল অধ্যক্ষের। কল কল রেকর্ডিং সব এ সংরক্ষিত রয়েছে।
তারিখ, ১১/০৫/২০২১ঃ অধ্যক্ষ এই দিনে নিজের অনিয়ম ও এরশাদ আলীর বেতন না হওয়ার ব্যাপারে নিজেই তদন্তের প্রয়োজন তা স্বীকার করেছেন। তিনি আরো বলেন অন্য শিক্ষক দের বেতনের ফাইল এ অনেক কাটাকাটি বা ভুল ছিল তার পরেও আমি বেতন করে দিয়েছি এমন কথাও অধ্যক্ষ নিজেই স্বীকার করেন।
তারিখ, ১২/০৫/২০২১ঃ এই দিনে অধ্যক্ষ আবারও নিজেই স্বীকার করেন যে অধ্যক্ষের জালিয়াতির ব্যাপারে তদন্ত করা দরকার। তিনি আরো বলেন যে তদন্তের দিন কোন শিক্ষক বা মানুষকে জানাজানি করা যাবে না। গোপনে তদন্ত কর্মকর্তাকে মাল ধরিয়ে দিব সব ঠিক হয়ে যাবে।
এখানে অধ্যক্ষ কর্তৃক ভুয়া নিয়োগ দেখানো দর্শন বিষয়ের প্রভাষক মোঃ কামাল হোসেনের কথা নিজেই স্বীকার করেন।
তারিখ, ১৭/০৫/২০২১ঃ এখানে অধ্যক্ষ প্রকৃত নিয়োগ দানের পদ পরিবর্তন করে জালিয়াতি করার কথা স্বীকার করেছেন। সরাসরি দ্বিতীয় পদে নিয়োগ দেখানোর কথা অধ্যক্ষ নিজেই স্বীকার করছেন যা অবৈধ। অধ্যক্ষ আরো বলেন টাকা পয়সা যা লাগুক এবার এরশাদ আলীর বেতন করে দিবই। সকল কাগজ সিলসিলা করে রেখেছি বেতন হবেই। কিন্তু এরশাদ আলীর বেতন চালু হয় নাই। সব ছিল অধ্যক্ষের ছলনা নিজের চাকরি বাঁচানোর জন্য।
তারিখ, ২০/০৫/২০২১ঃ অধ্যক্ষ নিজেই স্বীকার করেন যে, UNO মহোদয় আমার জালিয়াতির সকল কাগজ পত্র দেখার পরে আমাকে (অধ্যক্ষ কে) সাসপেন্ড করে দিবেন। ঐ দিন অধ্যক্ষ এরশাদ আলী কে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে বলেন। ঐ দিনের পুরো রেকর্ড শোনা দরকার।
তারিখ, ২৯/১০/২০২১ঃ এই দিনে অধ্যক্ষ বলেন ২০২১ এর জুন মাসের মধ্যে প্রভাষক এরশাদ আলীর বেতন ভাতা করে দিবেন। কিন্তু সব ছিল অধ্যক্ষের মিথ্যা আশ্বাস ও ছলনা।
তারিখ, ০৮/০৮/২০২২ঃ এই দিনে প্রভাষক এরশাদ আলী অধ্যক্ষের সাথে প্রয়োজনীয় কথা বলতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন যে আমিও মরবো তুমি মরবে। এমন কথা বলে অধ্যক্ষ ফোন কেটে দেন।
তারিখ, ১৬/০৮/২০২২ঃ এই দিনে প্রভাষক এরশাদ আলী জরুরী প্রয়োজনে অধ্যক্ষের সাথে ফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন যে আমি তোমার বউ না যে তোমার সাথে কথা বলতে হবে।
অধ্যক্ষের পুনরায় বর্তমানে ষড়যন্ত্রঃ
অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন নিজের নানা অপরাধ লুকানোর জন্য ও ধারা অনুসারে শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য পুনরায় অধ্যক্ষ প্রভাষক মোঃ এরশাদ আলীর সঙ্গে কলেজে দাপ্তরিক ভাবে নানা অনিয়ম, ষড়যন্ত্র করছেন এবং নানা ভাবে অকথ্য ভাষা প্রয়োগ, পাগল, মাথা টাল মাতাল, মানসিক রোগী এমন মিথ্যা অপবাদ বলা সহ নানা ভাবে হুমকি প্রদান ও প্রভাষক এরশাদ আলী কে কলেজ থেকে সরিয়ে ফেলার নানা ষড়যন্ত্র করছেন।
সুতরাং শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও মাউশি অধিদপ্তরের প্রতি অনুরোধ বৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত অর্থনীতির প্রভাষক মোঃ এরশাদ আলীর ক্ষতি পুরন সহ বেতন ভাতা চালু করে দিন। সেই সাথে অধ্যক্ষের অনিয়মের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তি বাস্তবায়ন করুন। কলেজ এলাকার আমজনতা অধ্যক্ষের স্হায়ী বরখাস্ত দাবি করছেন।