সিলেট থেকে সানোয়ার আলী
আমি মি. মাইকেল মিয়া, পিতাঃ আব্দুল গফুর, মাতাঃ রুফ মেরিসো, সাং- দক্ষিণ খুলশি, পোঃ মঈনপুর, থানাঃ ছাতক, জেলাঃ সুনামগঞ্জ আমার একটি অতি জরুরি বিষয়ে দেশ-বিদেশের সবাইকে অবগতি করার জন্য আজকের এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করি। অসুস্থতা জনিত কারণে আমি উপস্থিত থাকতে না পারায় আমার মনোনিত এডভোকেট প্রিন্স আলম হাওলাদার আমার পক্ষে আমার লিখিত বক্তব্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবেন।
সুপ্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, আমি একজন যুক্তরাজ্য প্রবাসী। ১৯৮৭ইং সনে আমি বাংলাদেশের সিলেটের সদর উপজেলার ঘোপাল গ্রামের ছিদ্দেক আলী সাহেবের মেয়ে মিনারা বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিয়ের পর থেকে আমাদের সংসার জীবন বেশ সুন্দরভাবেই চলছিল। আমার শশুর বাড়ীর সবার সাথে সব সময়ই ভালো সম্পর্ক ছিল। আমি প্রায়ই আমার শশুর বাড়ীর লোকজনদের বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সহযোগিতা করে আসছিলাম। এখনও আমার শাশুড়ীর প্রতি মাসের ঔষধ খরচ আমি প্রদান করছি। আমাদের সংসারে আমাদের ৬টি ছেলে-মেয়ে রয়েছে। প্রায় ১৮/২০ বছর আগে আমার শশুর বাড়ীর লোকজন আমাকে জানায় ঘোপাল এলাকায় কিছু জায়গা বিক্রি হবে। ঐগুলো কিনে রাখলে ভবিষ্যতে ভাল হবে। তাদের কথামত সরল বিশ্বাসে তখনকার সময় জায়গা কিনার জন্য প্রায় ১৮/২০ লক্ষ টাকা তাদেরকে পাঠাই। তারা জায়গা ক্রয় করে এবং আমাকের জানায় আমার নামে জায়গা কিনা হয়েছে। বিগত জ্জ বছর আগে আমি ক্রয়কৃত ভূমিতে গৃহ নির্মান করতে উদ্যোগি হই। তখন আমার শশুর বাড়ীর লোকজনের কাছে জায়গার কাগজপত্র চাইলে তারা নানা ধরনের টালবাহানা শুরু করে এভাবে কয়েকদিন চলার পর এইসব বিষয় নিয়ে আমার স্ত্রীর সাথে আমার মনোমালিন্য শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা তিক্ততার দিকে গড়ালে আমার শশুর বাড়ীর লোক ইলিয়াছ আলী (বাবুল মিয়া), ইসমাইল আলী, ইব্রাহিম আলী, সর্ব পিতাঃ মৃত ছিদ্দেক আলী, আমার স্ত্রী কুমন্ত্রনা দিয়ে সুনামগঞ্জের ছাতক থানায় আমার বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা দায়ে করে। এই মামলায় আমি দুই বার কোর্টে হাজির হই এবং বাদী উপস্থিত থাকে নাই। বাদী পক্ষ উক্ত মামলায় এখনও পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে কোন ধরনের প্রমান দাখিল করতে পারে নাই। আমি আশাবাদী অচিরেই এই মামলা থেকে আমি অব্যাহতি পাব। বিষয়টি আন্দাজ করতে পেরে আমার শশুর বাড়ীর লোকজন নতুন নতুন আরো অনেক কোটকৌশল অবলম্বন করে বিভিন্ন মাধ্যমে আমার চরিত্র হননের ঘৃন্য চেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছে। এতে করে আমার সামাজিক মান মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাদের ধারনা তাদের এই কোটচালে আমি বিধস্ত হয়ে যাবো আর তারা আমার সম্পত্তি (যার বর্তমান মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকার কাছাকাছি) দখল করে নিবে। কিন্তু আমি বৃটিশ হাইকমিশনে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমি এর প্রতিকার কামনা করছি। উপস্থিত সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনাদের সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে আমার দেশে বিদেশের বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনদের জানাতে চাই আমার সম্পদ আত্মসাতের অসৎ উদ্দেশ্যে আমার শশুর বাড়ীর লোকজনের নেতিবাচক প্রপাগান্ডা ও প্রচার প্রচারনায় বিভ্রান্ত হবেন না। মূলত সিলেট সদর উপজেলার ঘোপাল এলাকায় আমার প্রায় ৩ কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই তারা এই অপকর্ম করছে। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমি যেন তাদের নোংরা ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে আমার লক্ষে এগিয়ে যেতে পারি। পরিশেষে সকল সাংবাদিক ভাইদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার আজকের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য।