বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও কর্মদক্ষতায় নারায়ণগঞ্জ জেলার ইতিহাসে ইতিহাস হয়ে থাকতে চলেছেন মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা
এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ :
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক হিসেবে মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঞা ১৪ ই জানুয়ারি যোগদান করেন। তার কার্যক্রমে নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মী সহ ব্যবসায়ী শ্রমিক কর্মচারী সুশীল সমাজ নাগরিক সমাজ ও সাধারণ জনগণ সহ সকলেরই মন জয় করতে পেরেছেন। যে কাজটা এত অল্প সময়ে কারো পক্ষেই করা সম্ভব হয়ে ওঠে নাই। সদিচ্ছা থাকলে সবই সম্ভব তিনি তাই করে দেখালেন। যোগদানের পরেই নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক,জেলার সকল প্রেসক্লাব ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে দিনের পর দিন মতবিনিময় সভা করেন ও মূল্যবান পরামর্শ গ্রহণ করেন। বেশিরভাগ মহলের প্রধান দাবি ছিল যানজট নিরসনের দাবি সহ চাঁদাবাজি, ভূমি দস্যু, চুরি ছিনতাই মাদকদ্রব্য, লুটতরাজ বন্ধ করা ও সরকারি অফিসগুলোতে ঘুষ ও দুর্নীতি বন্ধ করে সেবার মান বৃদ্ধি করার জন্য। সর্ব মহলের পরামর্শের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঞা তার কার্যক্রম শুরু করেন। প্রথমই যানজট নিরসনের এর কার্যক্রম শুরু করেন এবং অনেক কঠোরতার মধ্য দিয়ে ও মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম অব্যাহত রেখে ও বিভিন্ন মহলের সহযোগিতায় যানজট নিরসন করতে সক্ষম হয়েছেন। এর সুফল ভোগ করছে শহররবাসী।যদিও আপাতত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এর ড্রেনের কাজ উন্নয়নের জন্য কিছুটা ব্যাঘাত হচ্ছে। আশা করি খুব শীঘ্রই এর থেকেও পরিত্রান পাওয়া যাবে। জিগু বাজার মীর জুমলা সড়কটি কারো পক্ষেই দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়নি কার পক্ষেই। জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঞা এই সড়কটি দখলমুক্ত করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে দিয়ে যানজট নিরেশনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। এবং যাতায়াতের আরো সুবিধার জন্য ঢাকা নারায়ণগঞ্জ রুটে আট জোরা কমিউটার মেট্রো ট্রেন এর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসকের বিশেষ অনুরোধে ও আপ্রাণ প্রচেষ্টায়। যা ২৬ মার্চ তারিখ থেকে উদ্বোধন হয়েছে।নারায়ণগঞ্জবাসী এর সুফল ভোগ করছেন। এতে যাত্রীদের অনেক টাকা সাশ্রয়ী হচ্ছে ট্রেনের টিকিটের মূল্য কম হওয়ায়। যোগদানের প্রথম দিন থেকেই মানবিক ও মানবতার কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে একের পর এক দুস্থ, অসহায়, চিকিৎসা করাতে অপারগ ও স্বাবলম্বী হতে চাওয়া ব্যক্তিদের আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কে নারায়ণগঞ্জকে মাদকমুক্ত করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলেন। নারায়ণগঞ্জে মাদককে জিরো টলারেন্সে আনতে হবে। কারণ মাদক হচ্ছে সকল অপকর্মের মূল। মাদককে আমরা নির্মূল করতে পারলে বিভিন্ন প্রকার অপকর্ম গুলি অনেকটাই কমে আসবে।তাই মাদক নির্মূলে আমাদের জোরালো ভুমিকা পালন করতে হবে।এত নারায়ণগঞ্জে মাদকদ্রব্য বিক্রেতা ও ক্রেতা অনেক কমে আসছে। এবং প্রতিদিনই মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। নারায়ণগঞ্জ শিল্প প্রতিষ্ঠানের শহর। দেশের উন্নয়নে শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সহ বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের যোগান দিচ্ছে। তাই গ্যাস ও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছেন যত প্রকার অবৈধ সংযোগ আছে তা খোঁজ নিয়ে অপসারণ করার জন্য। কারন আমরা শিল্প প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছি না। তাদের এই চাহিদা পূরণে আমাদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। নারায়ণগঞ্জে জেলায় পাঁচটি উপজেলা ৩৯ টি ইউনিয়ন পাঁচটি পৌরসভা ৪৩টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও উপজেলা ভূমি অফিস সহ সরকারি সমস্ত অফিসকে নির্দেশনা দিয়েছেন সেবার মান বৃদ্ধি করার জন্য। যাতে কোন প্রকার অনিয়ম অবহেলা না করা হয় এবং ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত রাখার জন্য। ইতিমধ্যেই জনগণ এর সুফল ভোগ করছে কাঙ্খিত সেবাগুলি খুব সহজেই পাচ্ছে বলে জানা যায়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা নারায়ণগঞ্জ কে গ্রীন এন্ড ক্লিন শহর তৈরীর কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। এবং কর্মসূচি বাস্তবায়নের কাজ অব্যাহত রয়েছে। গ্রীন এন্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ কার্যক্রমের আওতায় শহরের যত ফেস্টুন ব্যানার ও শহরের রাস্তার উপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা দোকানপাট অবসারণের কাজ চলছে। এতে শহরবাসী জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ প্রকাশ ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ শহরের মধ্যে এক লক্ষ বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। এবং এর কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য একের পর এক মানবিক কাজ করে যাচ্ছেন। গত রোজার ঈদে মুসলিম নগর এতিমখানার এতিম ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের ঈদ উপহার প্রদান সহ একসাথে ইফতার করেন। এতে সুবিধা বঞ্চিত শিশু ও এতিমরা প্রাণ ভরে দোয়া করেন জেলা প্রশাসকের জন্য। ঝরাঝীর্ণ নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ কে পূর্ণ সংস্কারের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে একটি পানির পাম্প ও পাকা বাথরুমের করে দিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের অর্থায়নে একটি গভীর নলকূপ বসিয়ে দিয়েছেন।নারায়ণগঞ্জের কৃষকদের মাঝে হাসি ফুটিয়েছেন। তাদেরকে উন্নত প্রযুক্তিতে দুইবারের বদলে তিনবার ফসল ফলানোর উদ্ভাবনের কথা বলেছেন। কৃষি জমি কমানো যাবে না আমাদেরকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। শুধু শুধু কৃষি জমি ফেলে রাখা যাবে না সেই জমি আমাদের ফসল লাগিয়ে কাজে লাগাতে হবে।তার এই উদ্যোগকে কৃষকরা প্রশংসা করেছেন। যোগদানের পর থেকেই প্রতিবন্ধীদের জন্য একের পর এক শহায়াতার হাত বাড়িয়েছেন তিনি। শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে নতুন আশার আলো সঞ্চার দেখা দিয়েছে । শারীরিক প্রতিবন্ধী ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের হুইল চেয়ার ও শিক্ষা সহায়তা উপকরণ বিতরণ করেছেন। নারায়ণগঞ্জের মাটিতে পা রেখেই সর্বপ্রথম নজর দিয়েছেন প্রতিবন্ধীর দিকে। তাই বুঝতে বাকি থাকে না ডিসি কতটা দূরদর্শী কতটা মানবতা ও কল্যাণকামী। তার এই কার্যক্রমে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ জেলা বাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। জেলা বাসির মুখে মুখে একই নাম জাহিদুল ইসলাম মিঞা। বলাবলি করে আরো আগে কেন নারায়ণগঞ্জে আসলো না এমন একজন জেলা প্রশাসক। আরো আগে আসলে আরো আগে আমরা এই সুফল গুলি ভোগ করতে পারতাম। ২০ রোজার ভিতর শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলেন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের। এটা নিয়ে কোন তালবাহানা না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবং তা বাস্তবায়ন হয়। ঈদের সময় শ্রমিকরা যারা নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তাদের জন্য নিরাপত্তার মধ্যে নিরাপদে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং মোবাইল কোর্ট অভিযান অব্যাহত রেখেছিলেন যাতে গাড়ির ভাড়া বৃদ্ধি করতে না পারে । একের পর এক পদক্ষেপ ও কার্যক্রম হাতে নিচ্ছেন। শুধু মুখে নয় তা কাজে ও প্রমাণ করে দিচ্ছেন মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।সম্প্রতি সারা বাংলাদেশের মত নারায়ণগঞ্জ জেলায় ও তেলের সংকট দেখা দিয়েছিল।গোডাউনে পর্যাপ্ত তেল থাকার পরেও দোকানে তেল পাওয়া যেত না। পাওয়া গেলেও বেশি দামে ক্রয় করতে আহত। তাই জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঞা মেঘনা গ্রুপ ও সিটি গ্রুপ কে অনুরোধ করেন ট্রাক সেল এর জন্য। তার আহবানে সাড়া দিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের পাঁচটি স্পটে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত স্বল্প মূল্যে সরাসরি শহরবাসী তেলসহ অন্যান্য পণ্য গুলি খুব সহজেই ক্রয় করতে পেরেছিছেন। ও শিল্প প্রতিষ্ঠান এর শ্রমিকদের সুবিধার্থে টিসিবি ও ট্রাকসেল এর কার্যক্রমের সময় বৃদ্ধি করে দিয়েছিলেন। এত শ্রমিকরা প্রতিষ্ঠান ছুটির পর ক্রয় করতে পেরেছেন। এতে হাজারো শ্রমিকরা ধন্যবাদ জানিয়েছেন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ডিসির প্রতি। জেলা প্রশাসক বাউন্ডারির ভিতরে দীর্ঘ বছর যাবত চলমান একটি রাস্তা বন্ধ থাকায় হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তিতে পড়তে হতো। ঘটনাটি তার দৃষ্টিগোচর হলে সাথে সাথে রাস্তাটি খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে গিয়েছেন । এবং হাজার হাজার মানুষ আর সুফল ভোগ করছেন এখন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে হাসপাতালও ক্লিনিক গুলিকে সেবার মান বাড়ানোর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং দালালের খপ্পর থেকে রোগীদের মুক্ত করতে মোবাইল কোর্ট অভিযান অব্যাহত রেখেছেন হাসপাতালে। নারায়ণগঞ্জ বাসীর দীর্ঘদিনের আশা একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য। এই আশা পূর্ণ করার জন্য সে অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছেন ইনশাল্লাহ এটাও বাস্তবায়ন হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলাকে বিশেষ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করার জোরালো চেষ্টা করে যাচ্ছেন। লাঙ্গল বন্ধ স্থানকে পর্যটন কেন্দ্র করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন এবং খুব দ্রুত এটা বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করা যায়। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। সকল ধর্ম দল-মত পথ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষকে তিনি এক কাতারে এনে দাঁড় করিয়েছেন।একটি সম্প্রীতির নারায়ণগঞ্জ গড়ে তুলেছেন। জলাবদ্ধতা নিরসন নারায়ণগঞ্জের একটি অনেক পুরানো সমস্যা । এই সমস্যা সমাধানে তিনি খাল গুলি পরিষ্কার সহ উদ্ধারের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। খাল গুলি উদ্ধার করে পরিষ্কার করে পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা করে দিয়ে খালের দুপারে গাছ লাগানোর কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। সামনে কোরবানি ঈদ এই উপলক্ষে গরুর হাটে কোন প্রকার চাঁদাবাজি দলাদলি মারামারি না হয় সেইজন্য প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। এবং মোবাইল কোর্ট অব্যাহত রেখেছেন। এবং ঈদ উপলক্ষে যাতে নিরাপত্তায় যার যার গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারে বিভিন্ন জেলায় তারও সুব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যাতে বাড়তি কোনো ভাড়া আদায় করতে না পারে তাদের কাছ থেকে সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সকল লোভ লালসা ভুলে বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের অটুট বন্ধন তৈরি করতে সচেষ্ট হই। বিশ্ব ওটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে অটিজম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ২১ শহীদদের পরিবারের মাঝে জেলা পরিষদের অনুদান প্রদানে প্রশংসিত হন। শিক্ষা ক্ষেত্রে ও বিশেষ হাতে নিয়েছেন এবং তা বাস্তবায়নের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এই কার্যক্রম বর্তমানে সারা বাংলাদেশে ব্যাপক আকারে প্রসারিত হচ্ছে। শুধু ফলাফল মুখী শিক্ষা নয় ভালো মানুষের মতন মানুষ হতে হবে। শিক্ষকদের সাথে ছাত্রের সুসম্পর্ক থাকতে হবে। ফাইলিং জটিলতার কারণে ভূমি অধিগ্রহণ এর টাকা উঠাতে অনেক বছরের পর বছর ঘুরতে হতো কিন্তু তিনি তা খুব দ্রুত নিষ্পত্তি করে অনেকেই চেক হাতে তুলে দিয়েছেন। জুলাই আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জ জেলার পাসপোর্ট অফিস টি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। যার কারণে দীর্ঘদিন অফিসটির কার্যক্রম বন্ধ ছিল। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করে খুব দ্রুত গতিতে অফিসটি পূর্ণ সংস্কার করে কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন। এবং দালালমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেন। তাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা আবাসিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ সংস্কার কাজ হাতে নিয়েছেন এবং তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। তার কার্যক্রম গুলি নারায়ণগঞ্জ জেলা বাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তিনি মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। জেলার অসহায় নিপীড়িত,দুস্থ নির্যাতিত মানুষের পাশে ছায়া হয়ে রয়েছেন। কারোর দুর্দিনের কথা কষ্টের কথা শুনলেই ঝটপট সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তদ্রপ নারায়ণগঞ্জে যোগদানের পর জেলা বাসীন্দাদের অসহনীয় দুর্ভোগ লাঘবে কাজ করে যাচ্ছেন মানবতার ফেরিওয়ালা মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিয়া। তার কার্যক্রমে নারায়ণগঞ্জ বাসীর কাছে নিজেকে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে প্রমাণিত করেছেন। মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিয়া ১৯৭৯ সালের অক্টোবর মাসে টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা অগ্রণী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত ম্যানেজার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ চাঁদ মিয়া। তিনি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন। সন্তানের মধ্যে মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। সবচেয়ে বড়। মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঞা ছাত্র জীবন থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পূর্ণ করেন। একই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট থেকে প্রথম বিভাগে কৃতিত্বের সঙ্গে রাশিয়ান ভাষার ডিপ্লোমা অর্জন করেন। পরবর্তীতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বৃত্তির আওতায় আন্তর্জাতিক মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় কৃতিত্বের সঙ্গে যুক্তরাজ্য থেকে এম এস সি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০৬ সালে ২৫ তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী কমিশনার হিসাবে লালমনিরহাট জেলায় যোগদান করেন। জেলার এনডিসি হিসেবে দীর্ঘ সময় লালমনিরহাট ও পরে নীলফামারী জেলায় দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে সহকারী কমিশনার (ভুমি) হিসাবে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী ও মৌলভীবাজারের সদর উপজেলায় দায়িত্ব পালন করেন। তারপর পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ এবং নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কর্মদক্ষতার পুরস্কার হিসেবে কমলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থাকাকালীন ২০১৫ সালে জেলার শ্রেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পুরস্কৃত হন তিনি। তারপর থেকে যে জেলায় তিনি গিয়েছেন যে জেলাতেই তার কর্ম দক্ষতা ও অভিজ্ঞতায় জেলার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। এবং জেলাবাসীর কাছে একজন মানবিক দেশপ্রেমিক জেলা প্রশাসক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। মানুষের দুঃখ দুর্দশা ভালো মন্দের কথা ভেবেই তার বেশিরভাগ সময় কাটে।প্রশাসনিক যত কাজ আছে তা করতে কখনো ধৈর্য হারা হননি। বর্তমানে সে সকাল ৯ টায় অফিসে আসে এবং ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা সাতটা, আটটা, নয়টা, এমনকি দশটাও বেজে যায়।প্রতিদিনের কাজ শেষ না করা পর্যন্ত অফিস ত্যাগ করে না। তার উপর অর্পিত যত প্রকার দায়িত্ব গুলি প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিনে শেষ করেন। কখনোই আজকের কাজ কালকের জন্য রাখেন না। এর জন্য অফিস ছুটির পরেও তাকে কাজ করতে হয়।মানুষ যেন কোন রকম হয়রানির শিকার না হয়ে সঠিক সেবা জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে পান সেদিকে সব সময় নজর থাকে তার। জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঞা কর্মদক্ষতায়, বিচক্ষনতায়, মানবতা ও মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলছেন এবং মানুষের কাছে নিরাপদ আশ্রয় স্থল হয়ে উঠছেন।তাইতো তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার রাজনৈতিক নেতাকর্মী ব্যবসায়ী চাকুরীজীবী, শ্রমিক, সুশীল সমাজ, নাগরিক সমাজ, সাধারণ জনগণ সহ সর্বশ্রেনীর মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তার কর্মদক্ষতায় অভিজ্ঞতায় ও মিষ্টভাষী ব্যবহার ও আচরণে। নারায়ণগঞ্জ জেলা বাসী তাকে পেয়ে অনেক আনন্দিত উচ্ছ্বাসিত ও গর্ববোধ করছেন। এরকম একজন জেলা প্রশাসক আমরা পেয়েছি আমরা অনেক ভাগ্যবান নারায়ণগঞ্জবাসী। এই জেলা বাসী ধন্য হয়েছেন। মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন মানুষের সেবা করার জন্যই প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দিয়েছিলাম। আমি সব সময় চেষ্টা করি মানবিক সাহায্যের আবেদন দ্রুততম সময়ে নিজপত্তি করার। তাদের জরুরী আর্থিক সাহায্য দরকার বলেই আমার কাছে আবেদন করেন। জীবনে যতদিন বাচবো যেখানেই থাকব মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করার প্রত্যাশা নিয়ে বেঁচে থাকব ইনশাল্লাহ।তার এই কার্যক্রমে নারায়ণগঞ্জ জেলা বাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন এবং বর্তমান নারায়ণগঞ্জ জেলায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি। যা নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের ইতিহাসে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটছে। অথচ নারায়ণগঞ্জ জেলা একটি বিরাট জেলা। পাঁচটি এমপির মাধ্যমে ও প্রশাসনিক কর্মকর্তার মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জকে পরিচালনা করে থাকত। কিন্তু বর্তমানে কোন এমপি না থাকায় তাকে একাই পুরা জেলা কন্ট্রোল করতে হচ্ছে এক হাতেই। এবং তিনি তা পারছেন। তার কার্যক্রমে নারায়ণগঞ্জ জেলা বাসী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন এবং তার সমস্ত কাজে তার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।