“নারায়ণগঞ্জে শান্তির ঈদ উদযাপন অপরাধ দমন অভিযানে সেনাবাহিনীর অগ্রণী ভূমিকা”
এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিয়া সেনাবাহিনীর সাথে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন।। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে নারায়ণগঞ্জে বাড়ছে মানুষের ব্যস্ততা, কিন্তু পাশাপাশি বাড়ছে এক অদৃশ্য ভয়—চাঁদাবাজি, ছিনতাই, কিশোর গ্যাং, গরুর হাটে বিশৃঙ্খলা, মাদক কেনাবেচা এবং সন্ত্রাসী তৎপরতা। এসব যেন ঈদের আনন্দকে ঢেকে দিতে না পারে।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে নয়, বরং সৌভাগ্যজনকভাবে, এবারের চিত্রটা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ নারায়ণগঞ্জে শান্তিপূর্ণ ঈদের পেছনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি কাজ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একগুচ্ছ সাহসী ও গোছানো অভিযান।
সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সদর, ফতুল্লা, বন্দরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় গত ১০ দিনে সেনাবাহিনী চালিয়েছে ৮ থেকে ১০টি অভিযান। এসব অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণে জাল টাকা, ছিনতাইকৃত মালামাল, মাদকদ্রব্য, গরুর হাটে অবৈধ লেনদেনের প্রমাণসহ বহু অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
শুধু বড় অপরাধ নয়, ছোট ছোট অলিগলিতেও অভিযান চালিয়ে দমন করা হয়েছে কিশোর গ্যাং ও স্থানীয় চাঁদাবাজদের আস্তানা। এতে করে জনমনে ফিরে আসে স্বস্তি, ভর করে সাহস। আর ঠিক সেই মুহূর্তে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে—সেনাবাহিনী শুধু দেশের সীমানা নয়, রক্ষা করে শহরের প্রতিটি গলিও।
একজন দিনমজুর বলেন:
“এইবার ঈদ করতে ভয় নাই ভাই। আগে ভাবতাম বাচ্চারে নিয়ে মার্কেটে যামু কেমনে, এখন দেখি আর্মি আইছে—সব ঠিকঠাক।”
এই বিশ্বাস শুধু একজনের নয়, পুরো নারায়ণগঞ্জবাসীর।
মানুষ বলছে—এই শহরে এবার ঈদের আগ মুহূর্তে যা ঘটেছে, তা নতুন দিনের ইঙ্গিত।
এবারকার এই শক্ত অবস্থান জনগণের হৃদয়ে সৃষ্টি করেছে সেনাবাহিনীর প্রতি এক গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
ঈদের আগে নারায়ণগঞ্জে এই শান্তি বজায় রাখতে যারা দিনরাত কাজ করেছেন—তাদের জন্য রইল মানুষের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
আর জনগণের আজ একটাই প্রত্যাশা—
“বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দীর্ঘজীবী হোক, তারা থাকুক আমাদের পাশে, আমাদের ঈদ-আনন্দ নিরাপদ রাখার প্রতীক হয়ে।”
এটাই ছিল সকলের পক্ষ থেকে, একটিই বার্তা—সেনাবাহিনী মানেই ভরসা। সেনাবাহিনী মানেই ঈদের নিরাপত্তা।