জসীম উদ্দিন ইতি
ভিন্ন কিছু করার ইচ্ছা অনেকেরই আছে। কিন্তু তেমন মেধা ও যোগ্যতা সবার
থাকে না। কেউ কেউ ব্যতিক্রম কিছু তৈরি করে তাক লাগিয়ে দেন। তেমনই একজন ২২
বছর বয়সী সোহেলি পাল। তিনি ভারতের নদিয়া জেলার সন্তান। ধারণা করা হয়, এ
তরুণী তার কাজের মাধ্যমে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিতে পারেন।
জানা যায়, অন্যরকম কিছু করার ভাবনা মাথায় আসে সোহেলি পালের। সেই ভাবনা
থেকেই জন্ম নেয় নতুন কাহিনি। যা অবাক করে সারা বিশ্বকে। ভারতের নদিয়া
জেলার কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণি এলাকার এ তরুণী পুরো একটি তাজমহল তৈরি করেছেন!
তার সেই সৃষ্টির কারণেই হয়তো একদিন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়ে
নেবেন। ইতিহাস বলছে, মোঘল সম্রাট শাহজাহান স্ত্রী মমতাজকে ভালোবেসে
তাজমহল তৈরি করেছিলেন। সোহেলিও বানালেন তাজমহল। এতে তিন লাখেরও বেশি
দেশলাই কাঠি ব্যবহার করা হয়েছে। হুবহু তাজমহলের ছবি বানিয়েছেন তিনি। যার
উচ্চতা ৬ ফুট, চওড়া ৪ ফুট।
সোহেলি জানান, রাতের তাজমহলকে দেশলাই কাঠির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে তিনি
দুটি রঙ ব্যবহার করেছেন। এর আগে ২০১৩ সালে ইরানের মেয়স্যাম রহমানি ১ লাখ
৩৬ হাজার ৯৫১টি দেশলাই কাঠি দিয়ে ইউনেস্কোর লোগো তৈরি করে গিনেস বুকে নাম
লিখিয়েছিলেন। সোহেলির আশা, সেই নামকে ছাপিয়ে নতুন বিশ্বরেকর্ডের মালিক
হবেন তিনি। গত আগস্টের মাঝামাঝি কাজ শুরু করেন সোহেলি। গিনেস বিশ্ব
রেকর্ড কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আগেই সব গাইডলাইন জেনে নিয়েছিলেন। সে হিসেবেই
কাজ এগিয়েছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পুরো তাজমহল বানিয়ে একটি ভিডিও
কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান।
তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগে ২০১৮ সালেও বিশ্বের সবচেয়ে ছোট মাটির দুর্গা
প্রতিমা গড়ে বিশ্বরেকর্ড করেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের
এ ছাত্রী। তখন ২.৫৪ বাই ১.৯৩ বাই ০.৭৬ সেন্টিমিটার আয়তন ও ২.৩ গ্রাম
ওজনের মূর্তি বানিয়ে তাক লাগিয়েছিলেন তিনি। এবার তার হাতে তৈরি তাজমহল
নতুন ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায়। আসলে পরিবার সূত্রেই এমন হাতের কাজের প্রতি
ভালোবাসা তার। সোহেলির বাবা ও ঠাকুর দাদা মূর্তি গড়ার জন্য রাষ্ট্রপতি
পুরস্কার পেয়েছিলেন।