৩টি চাঁদাবাজির মামলা দায়েরের পর
ভেজাইল্যা সুলতান মাহমুদ পলাতক
স্টাফ রিপোর্টারঃ বহু অপকর্মের হোতা ভেজাইল্যা সুলতানের বিরুদ্ধে পর পর তিনটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের হয়েছে। ফতুল্লা থানায় একটি এবং নারায়ণগঞ্জ আদালতে দুটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের হলে খবর পেয়ে প্রতারক সুলতান মাহমুদ অবশেষে গাঁ ঢাকা দিয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার হাড়িয়া গ্রামের মৃত চাঁন মিয়া সরকারের কুলাঙ্গার পুত্র সুলতান মাহমুদ নারায়ণগঞ্জ জেলার মানুষদের অতিষ্ঠ করে তুলেছে। কখনো ম্যাজিস্ট্রেট, কখনো সাংবাদিক, আবার কখনো সংগঠক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন শিল্প কল কারখানা এবং ব্যবসায়ীদের ব্ল্যাকমেইল করে দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁদাবাজি করে আসছে। বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হয়ে জেলও খেটেছে। তারপরও এই অপরাধী শোধরায়নি। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ, সাংবাদিক ও প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজ সুলতানের অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। চাঁদা না দিলে বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক হোয়াসএ্যাপ ম্যাসেঞ্জার ও বিভিন্ন ভুয়া অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করে অপপ্রচার চালায়। চরিত্র হরন করে মানুষকে জিম্মি করে আবার মিথ্যা মামলা মোকদ্দমায় ফাসিয়ে চাঁদা আদায় করে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে মম নামে এক নারী উদ্যোক্তা ফতুল্লা মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে। এছাড়া আরেক ভুক্তভোগী তরুন ফখরুল হাসান এবং ব্যবসায়ী দিলশাধ আলীফ কোন উপায়ন্তুর না পেয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে দুটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে। মামলা দুটির মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা এবং পিবিআইকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। যার কারণে মামলার খোজ খবর পেয়ে আমলাপাড়ায় ব্যনার্জি রোডে অবস্থিত সুলতানের অফিসটি তালাবদ্ধ করে পালিয়েছে। জামতলার হীরা কমিউনিটি সেনটারের ভিতরের রোডে মালেক মসজিদের পাশে ভাড়া বাসাটিতেও এখন থাকছে না বলে জানা গেছে। এছাড়াও চাষাড়া প্রাইম জেনারেল হাসপাতালে তার অস্থায়ী অফিসে এখন আর আনাগোনা নেই। ৬৯নং উত্তর চাষাড়ায় তার ফ্ল্যাট বাসায়ও নেই। ফতুল্লা মাহমুদ নগরের নেকবর মাতবর রোডে আরেকটি অফিসেও তার অবস্থান নেই বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। আর সোনারগাঁ তার নিজ বাড়ীতেও থাকতে পারছেনা ভয়ে আতংকে। তবে ভেজাইল্যা সুলতান মাহমুদ বিভিন্ন ঠিকানা ব্যবহার করলেও বর্তমানে ঢাকা শান্তি নগরের চামেলী বাগ রয়েছে বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় এবং র্যাবে সুলতান মাহমুদকে গ্রেফতারের জন্য বলা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তবে সুলতান মাহমুদ যেখানেই থাকুক খুব দ্রুত গ্রেফতার হবে বলে পুলিশ প্রশাসন নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে বির্ভিন্ন ভুক্তভোগী এবং সুলতান মাহমুদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে।