২৫ বছরে ও পাকা হয়নি রাস্তা
এ যেন রাস্তা না জলাশয়
মামুন মোল্লা বাউফল ঃ
পটুয়াখালী বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের কর্পূরকাঠী গ্রামের
হারুন মোল্লার বাড়ি হয়ে জাহাঙ্গীর রাস্তা পযর্ন্ত পোনে এক কিলোমিটার কাচাঁ রাস্তায় হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ চরম হয়ে উঠেছে। এই রাস্তা পাকা না হওয়ায় গ্রীষ্মকালে ধুলা আর বর্ষায় হাঁটু সমান কাদায় লুটোপটুি খেয়ে মাদ্রাসা ও বিদ্যালয়ে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের। শুধু শিক্ষার্থীরাই নয় এলাকার জনসাধারণকে ও এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে খুবই অসুবিধায় পড়তে হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, একটু বৃষ্টি হলেই ওই রাস্তায় হাঁটু পযর্ন্ত কাদা হয়ে যায়। ফলে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে। জানা গেছে, বাউফল উপজেলার এই গ্রামটিতে প্রায় ৩৫০০ / তিন হাজার পাচঁশত মানুষের বসবাস। গ্রামে রয়েছে ১টি মাদ্রাসা, ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি হাই স্কুল ও মসজিদ। বতর্মানে গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য একটি মাএ রাস্তা থাকলে ও তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাঁদা মাটিতে একাকার হয়ে যাতায়াত অযোগ্য হয়ে পরে। কাঁচা রাস্তায় কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না। কিন্তু ু বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসির। ওই গ্রামের বাসিন্দা ও মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোহাম্মদ নুরুল্লাহ বলেন, এই রাস্তায় চলাচলে আমরা ও আমার ছাত্র -ছাএীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। মোহাম্মদ লতিফ মাস্টার বলেন, সামনে মসজিদ নামাজ পরতে কাঁদা পানি পেরিয়ে যেতে হয়। বর্ষা মৌসুমে কালাইয়া বাজারে যেতে কঠিন হয়ে পরে। হাই স্কুলের শিক্ষক মোহাম্মদ জালাল আহমেদ জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে। সাধারণ মানুষের এ রাস্তা দিয়ে চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। আমাদের দাবী রাস্তাটি যেন অতি শিগগিরই ব্যবস্তা করেন। বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোশারফ হোসেন খানঁ বলেন, কালাইয়া ইউনিয়নের কর্পূরকাঠী গ্রামের এই রাস্তাটি
দীর্ঘ বছর ধরে কাঁচাই রয়ে গেছে। এ গ্রামের বাসিন্দারা পাঁকা সড়কের অভাবে দুর্ভোগে আছেন। জনগনকে দুর্ভোগের হাত থেকে বাচাঁতে ওই রাস্তাটি পাঁকাকরনের কর্তৃপক্ষের আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই সমাধান হবে। উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান হোসেন বলেন, এ রাস্তার টেন্ডার এখনো জমা হয়নি। রাস্তা পাঁকাকরনে বিষয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে