মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন

২ব্যাক্তির লাশ দাফনের পরে জোয়ারে ভেসে যায় পরে আবার দাফনআশাশুনিতে বিকল্প পদ্ধতিতে চলছে মানুষের দাফনের কাজ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২০ জুন, ২০২১
  • ১৭৯ বার পঠিত

 

আকাশ হোসেন,সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি
 ২ব্যাক্তির লাশ দাফনের পরে জোয়ারে ভেসে যায় পরে আবার দাফনআশাশুনিতে বিকল্প পদ্ধতিতে চলছে মানুষের দাফনের কাজ
 আকাশ হোসেন,সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলা প্রতাপনগরের বিকল্প পদ্ধতিতে চলছে মানুষের দাফনের কাজ।নদীতে ভাটার সময় জোয়ারের পানি কিছুটা নেমে গেলে ইট গেথে কবর তৈরি করে শেষ যাত্রা সম্পূর্ণ করা হচ্ছে সেখানে। আর দাফনের পরে জোয়ার আসলে সন্তানদের অপেক্ষায় থাকতে হয় যাহাতে স্রোতে কবর ভেঙে লাশ চলে না যায়।কারণ ইতিপূর্বে প্রতাপনগরের হরিষখালি গ্রামে ২ব্যক্তির লাশ দাফনের পরে জোয়ারে ভেসে যায় পরে আবার তাদের দাফন করা হয়েছিল। এর থেকে নির্মম আর কি হতে পারে? হ্যা এভাবেই চলছে উপকূলের প্রতাপনগর ইউনিয়নের মানুষ। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ২৪দিন অতিবাহিত হলেও আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরের ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ এখনো সংষ্কার করা হয়নি। গত ২ দিনে জলাবদ্ধতার কারনে কবর না খুঁড়ে ২ জনের দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়েছে।  শুক্রবার ও শনিবার (১৮ ও ১৯ জুন)  এ হৃদয় বিদারক কবর দেওয়া হয়।  প্রতাপনগর প্রামের শহিদুল ইসলাম গাজীর বড় ছেলে মাহমুদুল হাসান (৩৩) নিজ কর্মস্থল কলারোয়ায় স্ট্রোক করে ইন্তেকাল করেন। একই দিন মাত্র ৫ ঘন্টার ব্যবধানে একই গ্রামের ডা: আক্তারুজ্জামানের পিতা হাজী আরশাদ আলী সানা (৭৮) বার্ধক্য জনিত কারনে নিজ বাস ভাবনে মৃত্যুবরণ করেন। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গোটা ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। বর্তমানে ইউনিয়নের ২১টি গ্রামের মধ্যে ১৭টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে আছে। এমনকি এলজিইডির কার্পেটিং রাস্তা ছাড়া এক খন্ড ভূমি পানি মুক্ত নয়। সেখানে জানাজা নামায তো দূরের কথা কবর দেওয়ার মত জায়গাও নেই। পানিতে দাড়িয়ে সমাপ্ত হচ্ছে মৃত্যু ব্যক্তির নামাজে জানাজা। কবর না খুঁড়ে সম্পূর্ণ পানির নিচ থেকে ইট দিয়ে ভিট তৈরি করে তার চারপাশ দিয়ে দেয়াল গেথে অভিনব কায়দায় তাদের দাফন কার্য সম্পন্ন করা হচ্ছে।প্রতাপনগর গ্রামের ডাঃ আক্তারুজ্জামান বলেন, দুনিয়া থেকে মানুষের প্রস্থান স্বজনদের হৃদয়কে ব্যাথিত করে। তবে আমাদের ব্যাথার মাত্রাটা বহুগুণ বেশি। প্লাবনের কারণে আজ বাবাকে মাটিতে দাফন করতে পারছি না। এর থেকে কষ্টের আর কি হতে পারে?কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের কৃতি সন্তান মাওঃ আবুল কাশেম ইন্তেকাল করেন। বাড়িতে পানি থাকার কারণে তাকেও নিজ মাতৃভূমি কুড়িকাহুনিয়াতে দাফন করা সম্ভব হয়নি। স্বজনরা ব্যথিত হৃদয়ে লাশ কাধেঁ নিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা শ্যামনগরে নিয়ে তাকে দাফন করেন। ###

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..