১০ পরিবারকে নিঃস্ব করে আড়াই কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ছেলে আর বাবা।
মুন্সিগঞ্জ থানা প্রতিনিধ
১০টি পরিবার থেকে কমপক্ষে ২.৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন মাকসুদুর রহমান আসিফ (২৮) ও তার বাবা মোহাম্মদ আলী দালী। মাকসুদুর রহমান বাড়ি মুন্সীগঞ্জ সদর থানার মহাখাল ইউনিয়নের মধ্য মহাকালি গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে।তারা বাবা আর ছেলে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আদালত ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছে। ১০ পরিবারের কয়েকজনই জানিয়েছেন আসিফের প্রতারণার ঘটনা। কয়েকটি রাষ্ট্র থেকে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আনা এবং স্মার্ট ফোন এনে মুন্সীগঞ্জে বিক্রি করার নাটক সাজায় আসিফ ও তার বাবা । লোভনীয় অফারের মাধ্যমে ব্যবসার কথা বলে তারা ১০টি পরিবারের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় ২.৫ কোটি টাকা।
বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীরা একাধিক সিআর মামলাও করেছেন। মামলা করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না।আসিফ সিআর মামলা নং ৮৮৮/২২, ৮৮১/২২, ৮৯০/২2, 09/23,১০/২৩,১১/২৩।মোহাম্মদ আলী ঢালী সি,আর মামলা নং ১০/২৩ মামলাগুলো চলমান। তাদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও তাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারছে না। কারণ অন্য জেলায় আত্মগোপন করে আছে। পঞ্চসার ইউনিয়নের নয়াগাও গ্রামের সবুজ মাদবরের ছেলে সুজনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে।টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সুজন জানান, সে তার ঘনিষ্ঠ জনের কাছ থেকে হাওলাদ
নিয়ে টাকা দিয়েছে এখন পাওনাদার টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। ভুক্তভোগী গোসাইবাগ এলাকার আবুলের ছেলে তারেক হোসেন জানান, তার কাছ থেকে ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়েছে। এই টাকাগুলো অগ্রণী ব্যাংক মুন্সীগঞ্জ শাখা থেকে লোন নিয়ে দিয়েছি এখন টাকা ফেরত না পাওয়ায় ব্যাংকের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছিনা। বড় ধরনের হতশায় রয়েছি। আসিফ ও তার পরিবারের কোন সদস্যকেই এখন আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। অপরাপর ভুক্তভোগী মো:কায়ছার হামিদের কাছ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা, রাসেলের কাছ থেকে ৩০ লক্ষ, কামাল ৩৫ লক্ষ, রিনা ৩৫ লক্ষ, আরমান ২৮ লক্ষ ও রিয়াদের কাছ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়। এ ছাড়াও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় আরো অনেকের কাছ থেকে এভাবে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এলাকাবাসীর দাবি যত দ্রুত সম্ভব আসিফ ও তার বাবা মোহাম্মদ আলী দালী গ্রেফতার করে প্রতারণার মাধ্যমে সংগ্রহ করা সকল টাকা উত্তোলন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কর্তৃপক্ষ এমনটাই আশা করছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।