সাকিব আহম্মেদ বাপ্পি মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
জেলার বিভিন্ন স্থানের হাটগুলোতে আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশু । ঈদকে সামনে রেখে এখনও পুরোপুরি হাটগুলো প্রস্তুত না হতেই বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রলারযোগে কোরবানির পশু নিয়ে আসছেন খামারিরা। আর মাত্র ৭ দিন বাকি মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদু-উল-আজহার। ২১ জুলাই সারাদেশে পালিত হবে পবিত্র ঈদু-উল-আজহা। ঈদকে সামনে রেখে জেলার গরুর হাটগুলোতে আসতে শুরু তরেছে কোরবানির পশু। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে হাট বসতে আর দু’দিন বাকি। তবে দূর-দূরান্তের বিক্রেতারা নিজেদের গরু নিয়ে একটু আগেই চলে এসেছেন।
সরেজমিনে বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, নদীপথে পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কোষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গরু নিয়ে আসছেন খামারি ও বেপারীরা। কোন কোন হাটে অধিক পরিমান কোরবানির পশু ইতোমধ্যে চলে আসছে। খামারিদের থাকা,খাওয়ার এবং কোরবানির পশুর চিকিৎসাসেবার সকল আয়োজন করেছেন হাটইজারাদাররা। পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ থেকে আসা একাধিক খামারি জানান, এই মুহূর্তে প্রতিটি গরুর প্রতি বিশেষ যতœ নিচ্ছেন। খাবার থেকে শুরু করে বাইরের চাকচিক্য বাড়াতে গরুর প্রতি যতœআত্তির শেষ নেই। তবে গেল বছরের মতো এবারও যদি ঈদের আগ মুহূর্তে হাটে গরুর দাম কমে যাওয়াতে লোকসানের মুখে পড়েছিলো অনেকে। তারা আশাবাদি এবছর তারা বেশ লাভবান হবেন।
হাট সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, সারা বছর ধরে এই সময়টার জন্যই অপেক্ষায় থাকেন দেশিয় খামারিরা। দেশের হাজার হাজার খামার থেকে লাখ লাখ গরু ও মহিষ সরবরাহ করা হয় কোরবানির পশুরু হাটে। সব ব্যবসায়ীরাই পুরো বছরের শ্রম ঘাম আর বিনিয়োগ থেকে দু-পয়সা লাভের মুখ দেখতে মুখিয়ে থাকেন। খামারিরা দেশি জাতের পাশাপাশি বিদেশি জাতের গরু-মহিষও পালন করেন ঈদকে টার্গেটে রেখে। তবে ভারতীয় গরুর দাম দেশি গরুর চেয়ে কম হওয়ায় হাটে ভারতীয় গরু প্রবেশ করলে ক্রেতারা সেদিকেই ঝুকে পড়েন। তখনই লোকসান গুণতে হয় দেশিয় খামারিদের। অন্যদিকে জেলার সকল খামারিরা সম্পৃর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানোর পর কোরবানির পশুকে ভালোদামে বিক্রির আশায় হাটে নিয়ে আসেন। জেলার বাইরে থেকে বেশি পরিমান গরু আমদানি হলে দাম কমে যায়, তখন স্থানীয় খামারিরা বেশি লাভবান হতে পারেনা। তবে এবছর করোনার কারনে জেলার বাইরে থেকে অতিরিক্ত কোরবানির পশু আশার সম্ভাবনা কম। ফলে জেলার খামারিারাও ভালবান হবে ।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. কুমুদ রঞ্জন মিত্র বলেন, কোরবানির হাটের পশুদের চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য ১২ জন ভ্যাটেরেনারী চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ১২টিম কাজ করবে। হাট বাজারের খামারিদের কাছে তাদের ফোন নাম্বার দেয়া থাকবে। তারা ভ্রাম্যমান চিকিৎসক টিম হিসেবে কাজ করবে। আসন্ন কোরবানির হাটের পশু চিকিৎসাসেবার জন্য জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..