হরিণের ০৫টি চামড়া সহ এক জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬
মোঃ মামুন হাচান স্টাফ রিপোর্টার
র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, প্রতারক ও বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ঘটনার আসামী গ্রেফতারসহ সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষনে বিভিন্ন অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে জনগনের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ ২৩.০৫ ঘটিকায় র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বাগেহাট জেলার মোংলা থানাধীন বিদ্যাবাহন খেয়াঘাট এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি অবৈধভাবে আহরিত সুন্দরবনের হরিণের চামড়া ক্রয়-বিক্রয় করছে। উক্ত সংবাদের সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্দেশ্যে তাৎক্ষনিক বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে আভিযানিক দলটি বাগেরহাট জেলার মোংলা থানাধীন বিদ্যাবাহন খেয়াঘাটে পৌঁছামাত্র কতিপয় ব্যক্তি র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালানোর চেষ্টা কালে আসামী ১। মোঃ আল আমিন শরীফ (২৪) পিতাঃ মৃত ফারুক শরীফ, সাং-উত্তর বানীশান্তা, থানা- দাকোপ, জেলা-খুলনাকে গ্রেফতার করে। এ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে তার নিজ হেফাজত হতে ১। হরিণের চামড়া (ট্রফি)-০৫ টি, ২। মোবাইল ফোন-০১টি, ৩। সীমকার্ড-০২টি, ৪। মেমোরি কার্ড-০১টি, ৫। নগদ-১৮৭৫/-(এক হাজার আটশত পচাত্তর) টাকা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, আসামী ১। মোঃ আল আমিন শরীফ(২৪) পলাতক আসামী ২। আলতান সরদার ওরফে কালু(২২), পিতা-কালাম সরদার, সাং-ঢাংমারী পশ্চিম পাড়া, থানা-দাকোপ, জেলা-খুলনাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১/২ জন ব্যক্তি সুন্দরবনের সংরক্ষিত এলাকায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে বিশেষ ধরনের ফাঁদ ব্যবহার করে হরিণ শিকার করে হরিণের চামড়া (ট্রফি) সংগ্রহ করে এবং পরে তা বিক্রয় করে থাকে। ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই চক্রটির মূল হোতা সহ অন্যান্য সদস্যদের আটক করতে র্যাব-৬ এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
একটি সক্রীয় চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ সুন্দরবনের হরিণ শিকারের মাধ্যমে চামড়া সংগ্রহ করে আসছে যা বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের প্রতি হুমকি স্বরুপ। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় র্যাব-৬ এর এই ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পরবর্তীতে জব্দকৃত আলামত ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে বাগেরহাট জেলার মোংলা থানায় হস্তান্তর করতঃ বন্যপ্রানী সংরক্ষন আইন ও বন আইনে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।