সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন

স্মার্ট বাংলাদেশে সল্প সময়ে অল্প খরচে স্মার্ট সেবা দিবে পায়রা বন্দর

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩
  • ১০৩ বার পঠিত
স্মার্ট বাংলাদেশে সল্প সময়ে অল্প খরচে স্মার্ট সেবা দিবে পায়রা বন্দর
আবদুল আলীম খান (আকাশ)পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃপায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেছেন, পায়রা বন্দর বাংলাদেশের সার্বিক ভাগ্য বদলে ভূমিকা রাখবে। স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট পোর্ট হবে পায়রা। আমদানি রপ্তানিতে কম সময়ে কম খরচে স্মার্ট সেবা দিবে পায়রা বন্দর।
রবিবার (২৬ মার্চ) সকালে বেলজিয়াম ভিত্তিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জান ডে নুল কর্তৃক রামনাবাদ চ্যানেল ক্যাপিটাল ড্রেজিং কাজের সমাপনী ও আনুষ্ঠানিক ভাবে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
পরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেইনটেনেন্স ড্রেজিং প্রকল্পটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এককভাবে সবচেয়ে বড় প্রকল্প, যা পায়রা বন্দর সফলভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ড্রেজিংয়ের ফলে ১০.৫ মিটার গভীরতার চ্যানেল সৃষ্টি হয়েছে। যা চট্রগ্রাম ও মংলার চেয়ে বেশি। যার কারণে জেটিতে সরাসরি ভিরতে পারবে মাদার ভ্যাসেল। দেশের অর্থনীতে দেখা দিয়েছে নতুন সম্ভবনা। ড্রেজিংয়ের কারণে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, ১০০ মিটার প্রস্থ এবং ১০ দশমিক ৫ মিটার গভীরতার একটির চ্যানেল সৃষ্টি হয়েছে। এখন থেকে ৪০ হাজার ডেডওয়েট টন কার্গো বা তিন হাজার কন্টেইনারবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারবে।
এর মাধ্যমে পায়রা বন্দরের চ্যানেলের গভীরতা ১০.৫ মিটারে উন্নীত এবং জোয়ারের উচ্চতাসহ প্রায় ১৩ মিটারের বেশি গভীরতা নিয়ে পায়রা বন্দর বর্তমানে দেশের গভীরতম বন্দরে রূপান্তরিত হয়েছে।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, আগামী মে মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল উদ্ভোধন করার সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। টার্মিনালটি চালু হলে কন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে এছাড়াও বন্দরের রাজস্ব আয় বাড়বে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ আবদান রাখবে।
চ্যানেলের নাব্যতা ১০.৫ মিটারে উন্নীত হওয়ার ফলে ট্রান্সশিপমেন্ট-এর মাধ্যমে খাদ্যশস্য, পান, আমদানিকৃত গাড়ী ও অন্যান্য বাণিজ্যিক পণ্য রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রায় সকল গুরুত্বপূর্ণ নগরী ও পার্শ্ববর্তী দেশসমূহে পণ্য পরিবহনে খরচ ও সময় উভয়ই সাশ্রয় হবে। ডেলিং এর ফলে বড় বাণিজ্যিক জাহাজ বন্দরে আনয়নপূর্বক আমদানী-রপ্তানী বৃদ্ধিকরতঃ দক্ষিণাঞ্চলকে অর্থনীতির মূলধারার সাথে সম্পদের করার মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটবে এবং দেশের জিডিপি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিএন, স্কিন পরিচালক কমডোর রাজীব ত্রিপুরা, (ই), জান ডে নুল এর প্রকল্প পরিচালক ইয়াং মনস, স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মুহিব এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..