স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে সরকারি ঔষধ বিতরনে চরম অনিয়ম।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:লিটন বিশ্বাস (তন্ময়)।
সরকারি আইন নয় বরং উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) নিজের নিয়মেই চলতেন গোপালগঞ্জ কাশিয়ানীর মাহমুদপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে।
সুবিধামত কেন্দ্রে আসা-যাওয়া ,রোগীর সেবা না দেওয়া,এমনকি ঔষধ থাকতে বঞ্চিত করা হয়েছে মা ও শিশু সহ বিভিন্ন রোগিদের।ফলে মেয়াদ উর্ত্তীন হয়ে যায় বিপুল পরিমাণ ঔষধ।
এসব তথ্যের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় আরও কিছু ভয়ঙ্কর চিত্র।
প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে বিকাল ৩টা পর্যন্ত স্বাভাবিক নিয়মে রোগীদের সেবা বা ঔষধ বিতরন করার কথা থাকলও এসব নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা করেননি দায়িত্ব থাকা স্যাকমো নুরুল ইসলাম।
ভবনের বাহির এবং ভিরতের পরিবেশ দেখলে বুঝার উপায় ছিল না ,এখানে আদৌ কোন মানুষের চলাচল আছে।
দ্বিতলা বিশিষ্ট ভবনটি অপরিচ্ছন্ন ও ময়লা আবর্জনার স্তুপ। কক্ষের ভিতরে পড়ে আছে বস্তাবন্দি ঔষধ আর রান্না করার জ্বালানি।
এমম দৃশ্যের বিযয়ে বর্তমান, অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা স্যাকমো সারোয়ার হোসেন বলেন- রোগীর সেবা ও ঔষধ বিতরন করলে এ পরিমান মেয়াদ উর্ত্তীন ঔষধ মজুদ থাকার কথা না।তিনি বিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ অর্থাৎ পরিপরিকল্পনা অফিসার জহিরুল ইসলামকে জানিয়েছেন।
রোগিদের বঞ্চিত করা ও বস্তাবন্দি অবস্থায় ঔষধ রেখে আসা সময়ের দায়িত্বরত স্যাকমো নুরুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে এ বিষয়ে কোন তথ্য দিতে তিনি রাজি নন। তিনি তার কতৃপক্ষ জহিরুল ইসলামের সাথে কথা বলতে বলেন।এবং তিনি এ বিষয়ে সব কিছু জানেন বলে প্রতিনিধিকে বলেন।
তবে এতটুকু স্বীকার করেছেন- মাহমুদপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার কেন্দ্রে তিনি অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন। সপ্তাহে একদিন যাওয়ার নির্দেশনা থাকলেও তিনি মাসে দুই – এক বার যেতেন।পাশাপাশি ঔষধ উত্তোলনের কথা ও স্বীকার করছেন এবং কতৃপক্ষ থাকে এও বলেছেন যে,বাৎসরিক প্রতিবেদন দিলেই হবে।
প্রকৃত পক্ষে কুড়ি একুশ প্রকারের ঔষধ বিতরনের দায়িত্ব থাকলেও তিনি তা না করে মেয়াদ উর্ত্তীন করে দায়িত্বের অবহেলা ও রোগীর সেবা প্রদান না করায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের নিকট এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন-
এখানে দীর্ঘদিন স্যাকমো,এফ ড্যাবলু পদ শূন্য থাকার কারনে একটু সমস্যা হয়েছে।২০২২ সনের কিছু ঔষধ মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে ।এগুলি উপজেলা স্বাস্থ্য কমিটির সভার মাধ্যমে জেলা পর্যায় পাঠিয়েছি। পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ইতোমধ্যে গোপালগঞ্জ জেলার উপ পরিচালক একজন এফ ড্যাবলু ভি পদায়ন করেছে এবং একজন স্যাকমোকে সপ্তাহে দুই দিন দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।পরবর্তীতে এ ব্যাপারে আমাদের সর্তক থাকার চেষ্টা থাকবে।