সেই মহান শিক্ষক মাহরিনের বীরত্বের প্রশংসায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা
এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও আহত ও নিহতদের পরিবারদের সমবেদনা প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
তিনি বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ের জন্য শিক্ষক মাহরিনের আত্মত্যাগের প্রশংসা করেন।
একান্ত সাক্ষাৎকারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, তিনি শুধু একজন শিক্ষক নয় একজন মাতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছেন। এটা ইতিহাসের বিরল ঘটনা হয়ে থাকবে।
শিক্ষকরা জাতি গড়ার কারিগর। সে ইচ্ছে করলে নিজের জীবন বাঁচাতে পারতো কিন্তু তিনি তা না করে ছাত্র-ছাত্রীদের সন্তান সমতুল্য মনে করে ছাত্র-ছাত্রীদের বাঁচাতে নিজের জীবন উৎসর্গ করে দিলেন নির্দ্বিধায়। শিক্ষক হিসাবে তিনি জ্বলন্ত উদাহরণ রেখে গেলেন আমাদের শিক্ষকদের মাঝে। প্রতিটা শিক্ষকদেরই উচিত এ রকম ভালোবেসে ছাত্রছাত্রীদেরকে কাছে টেনে নিয়ে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা। জানা জায় শ্রেণিকক্ষেও তিনি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ক্লাসের ভিতর মায়ের মত করে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতেন। তার এই ত্যাগ কে অবিস্মরণীয় করে রাখতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন রইল নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
আমি যখন শুনলাম স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর। খবর শুনেই মানুষের জন্য আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। বহু প্রাণহানি ঘটেছে, যাদের অধিকাংশই শিশু। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক।আমি সারারাত ঘুমোতে পারিনি কোমলমতি শিশুদের কথা ভেবে। , বারবার আমার চোখে ভেসে আসছে এই কোমালমতি ছাত্র-ছাত্রী সহ আরো নিহত ও আহতদের চিত্র ।
এ মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার মধ্যে ছিলেন মাহরিন চৌধুরী, একজন শিক্ষক যিনি সাহসিকতার সঙ্গে তার নিজের জীবন বাজি রেখে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যান এবং এরপর ধোঁয়া ও আগুনের মধ্যে আরও শিক্ষার্থীকে বাঁচাতে যান। তার এ অসীম সাহস ও আত্মত্যাগ কখনো ভোলার নয়। তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে তার এই ত্যাগের স্বীকৃতি দেওয়ার আবেদন করছি।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর ২টার পর জানায়, দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা ৩১ জনের মৃত্যু ও ১৬৫ জন আহত হওয়ার তথ্য পেয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নাফি নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এজন্য নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং নিহত ও আহতদের পরিবারদের সাথে সমবেদনা প্রকাশ করছি।