মামুন, স্টাফ রিপোর্টার
সুন্দরবনের বাঘের চামড়া চড়াদামে বিক্রির ও পাচারের সাথে জড়িত তাকার অভিযোগ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬ সদস্যরা। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি মৃত বাঘের বড় চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রবিবার (১২ ডিসেম্বর) রাব-৬’র অধিনায়ক (সিও) লেঃ কর্নেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমদ প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর কোম্পানী কমান্ডার (এসপি) আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম, স্কয়াড কমান্ডার লেঃ আবুল কালাম আজাদ, লিগ্যাল ও মিডিয়া কর্মকর্তা এএসপি বজলুর রশিদ।
ব্রিফিংয়ে র্যাব-৬’র সিও বলেন, ২০১৮ সালের ১নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সুন্দরবনকে জলদস্যু মুক্ত ঘোষণার পর থেকে সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র পুনরায় ফিরে আসছে। সুন্দরবনে হরিণ, বাঘসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সুযোগকে ব্যবহার করে কিছু দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিবর্গ বণ্যপ্রাণী শিকারসহ এদের চামড়া পাচার করছে। এ সকল দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে র্যাব-৬ সুন্দরবনে আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনায় আরও তৎপর ভূমিকা পালন করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১১ ডিসেম্বর র্যাব-৬ (সদর কোম্পানী), খুলনার একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানাধীন কাটাখালী বাজার এলাকায় সুন্দরবনের ঐতিহ্য বাঘ (রয়েল বেঙ্গল টাইগার)’র চামড়া ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। আভিযানিক দলটি উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করলে পালানোর চেষ্টাকালে ডুমুরিয়ার কাঞ্চনপুর এলাকার মৃত কোরেশ মাহমমুদের ছেলে মোঃ আজিজুর রহমান (৪৫) ও কেএমপি’র সোনাডাঙ্গা থানার গ্রামিন আবাসিক এলাকার গামা সড়কের মোঃ জামাল খানের ছেলে মোঃ সাইদ খান (৩৫)কে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি বাঘের চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেও বিরুদ্ধে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানায় মামলাসহ হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।