মোঃ সারোয়ার মৃধা ঃ সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় একটি হাসপাতালে নার্স দিয়ে ডেলিভারি করায় দুই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সানারপাড় এলাকার হেলথ কেয়ার আধুনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নবজাতদের স্বজনরা জানায়, অন্তঃস্বত্বা শাহিনূরের বাসা ফতুল্লার রঘুনাথপুরে মুন্সি বাড়ীর এলকার বাসিন্দা। তার ব্যথা উঠার পর মঙ্গলবার সকালে তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ডাক্তার না থাকায় আমেনা নামে এক নার্সের মাধ্যমে ডেলিভারি সম্পন্ন করা হয় বলে অভিযোগ স্বজনদের।
এ বিষয়ে নবজাতকের পিতা মোহাম্মদ শাহ্ আলম জানান, ডেলিভারির পর আমরা প্রথমে অন্য হাসপাতালে নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা দুই ঘন্টার মতো বাচ্চাদের এই হাসপাতালেই রেখেছেন। এতে আমার এক বাচ্চা এ ক্লিনিকে মৃত্যু বরণ করে।
এসময় আরেক বাচ্চাকে পার্শ্ববর্তী হাসপাতাল প্রো-এ্যকটিভ ক্লিনিকে নেয়া হলে সেখানে ডাক্তাররা আমার বাচ্চার চিকিৎসা করাতে দেরী করায় তার মৃত্যু হয়। তবে প্রো-এ্যাকটিভ ক্লিনিকের ডাক্তারারা তাদের দায়িত্ব অবহেলার কথা অস্বীকার করে আমারা বাচ্চাকে দেরীতে আনায় মৃত্যু হয়েছে বলে তারা আমদের জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ওই হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আবুল বাসার নার্স দিয়ে ডেলিভারি করানোর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, শাহিনূর ৬ মাসের অন্তঃস্বত্বা ছিলেন। তাছাড়া বাচ্চার পা বের হয়ে যাচ্ছিল। ডেলিভারী না করালে বাচ্চা এবং বাচ্চার মায়ের জীবন সঙ্কটে ছিল। এ কারণে আমরা তাদের অনুমতি নিয়েই ডেলিভারি কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাজেদা বেগম ও ওই নার্স আমেনার নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৌহিদুজ্জামান জানান, নবজাতকের পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে প্রো-এ্যকটিভ হাসপাতালে ডাক্তারেদের অবহেলায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমন কাজীর ভাবীসহ অনেক রোগী মারা গিয়েছে।
