শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫১ অপরাহ্ন

সামরিক সহযোগিতা চায় হাইতি, যুক্তরাষ্ট্রের ‘না’

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১১ জুলাই, ২০২১
  • ১৬৯ বার পঠিত

 

স্টাফ রিপোর্টার জসীমউদ্দীন ইতি

হাইতির রাজধানী পোর্টো প্রিন্সের যে পাহাড়ে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ,
ভারী অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত একদল লোক বুধবার গভীর রাতে (স্থানীয় সময়
রাত একটায়) সেখানে এসে হানা দিল। তেপান্ন-বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট জোভনেল
ময়েসের ওপর অস্ত্রধারীরা কয়েকবার গুলি চালায় এবং তিনি ঘটনাস্থলেই মারা
যান।

এ ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে তার এখনো কোনো কুলকিনারা হয়নি। এদিকে,
প্রেসিডেন্ট হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন
হাইতি। এমন প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সেনা সহায়তা
চেয়েছিল দেশটি। নিরাপত্তায় হাইতি যুক্তরাষ্ট্রকে সেনা পাঠানোর অনুরোধ
করলেও ওয়াশিংটন তাতে সাড়া না দিয়ে এক ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা জানায়,
এখন সেখানে সেনা সহায়তা পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। এক প্রতিবেদনে
এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনবিসি।
এদিকে, এ ঘটনায় প্রায় ২৮ জনের একটি দল হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল ময়িজ
হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল বলে
জানিয়েছে হাইতি পুলিশ। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র এবং কলম্বিয়ার নাগরিকদের
নিয়ে এই ‘হিট স্কোয়াড’ গঠন করা হয়। এদের মধ্যে আটজন এখনও পলাতক। এছাড়া এই
হিট স্কোয়াডের তিনজন পুলিশের অভিযানে নিহত হয়েছেন। বাকি ১৭ জনকে গ্রেফতার
করেছে হাইতির পুলিশ।

বৃহস্পতিবার হাইতির পোর্ট অব প্রিন্সের পুলিশ সদর দপ্তরে কলম্বিয়ান
পাসপোর্ট এবং অস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃতদের সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির করেছে
হাইতি পুলিশ। এসময় হাইতি পুলিশের মহাপরিচালক লিওন চার্লস জানান, এই নৃশংস
ঘটনায় যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত তারা তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা এ
ঘটনার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত, আমরা এখন তাদের খুঁজছি।

এসময় তিনি আরও বলেন, এই হত্যা মিশনে ২৮ জনের একটি দল ছিল। এদের মধ্যে ২৬
জন কলম্বিয়ার নাগরিক। তারাই প্রেসিডেন্টকে হত্যার অভিযানে অংশ নিয়েছে।
আমরা দুইজন হাইতিয়ান বংশোদ্ভূত মার্কিনিসহ  ১৫ কলম্বিয়ান নাগরিককে
গ্রেফতার করেছি। বাকি আট অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।

এর আগে, নিজ বাড়িতে অস্ত্রধারীদের হামলায় হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল
ময়েস নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িত চার সন্দেহভাজনকে গুলি করে হত্যা করে দেশটির
পুলিশ বাহিনী। এর আগে, হাইতিতে জরুরি অবস্থা জারি করেন দেশটির
অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ক্লড জোসেফ। খবর বিবিসির।

প্রেসিডেন্টের হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক বিবৃতিতে
তিনি জানান, আমি সবাইকে শান্ত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি । খবরটি
ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে আমি এবং সব মন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছি এবং আমরা
আপনাদের আশ্বাস দিতে চাই যে, হত্যাকারীরা বিচারের আওতায় আসবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..