সাভার পৌরসভা এলাকায় দাফনের ২২ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
সাভার থানা প্রতিনিধঃ
রোববার (০৮ অক্টোবর) সকালে সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নূর এর উপস্থিততে পৌরসভার ঘাসমহলের আল বেদা বাইতুল নুর জামে মসজিদ কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়৷
পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃত ব্যক্তি মো: জামাল (৫৩) সাভারের দক্ষিণ রাজাশন এলাকার মৃত ফরিদ গোলদারের ছেলে। তিনি তেল-মোবেল ও খামার ব্যবাসায়ী ছিলেন।
অভিযুক্তরা হলেন- ফোরকান হাকিম (৪৮), লোকমান হাকিম (৫১), গোফরান হাকিম (৪৫) ও কাঞ্চন শীয়ালি ওরফে দ্বীন মোহাম্মদ (৫৫)।
মামলার বাদী ও নিহতের ছোটো ভাই ইমরান হোসেন গোলদার বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ১১ টার আমাদের বাড়ির পাশেই ফোরকান হাকিমের বাসায় ফোনে ডেকে নিয়ে যায় আমার ভাইকে। রাত ১২ টার দিকে আমার কাছে ফোন আসে আমার ভাই নাকি অসুস্থ হয়ে গেছে। পরে আমি সেখানে গিয়ে দেখি আমার ভাই অজ্ঞান হয়ে পরে আছে তার মাথায় আঘাত ও পায়ে আঘাত। এরই মধ্যে সেই বাড়ির লোকজন আমাকে বলে আমার ভাই স্টক করেছে। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন, পরে সে সময় পরিস্থিতি না বুঝে শোকে মর্মাহত হয়ে আমার ভাইকে দাফন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এরপর থেকে ফোনকান হাকিমের বাড়ি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এতে আমাদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। আমার ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। আমরা ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে গিয়ে একটি মামলা করি। আজ আদালত থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নির্দেশ দিলে।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) আব্দুল্লাহ বিশ্বাস ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহদোয়ের উপস্থিততে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। অপরদিকে আসামি ফোরকান রিপোর্টার বাংলা টিভি কে বলেন ঘটনার রাত আনুমানিক ১০.৩০ মিনিটের সময় কমিশনার সেলিমের চাচাতো ভাই মনা সহ প্রতিবেশী জামাল আমার বাড়ির গেইট ধাক্কাইতে থাকে একপর্যায়ে আমি গেইট খুলে বাহিরে দাঁড়িয়ে দেখি জামাল এর সাথে মনা আছে, প্রতিবেশী হিসেবে কুশল বিনিময় করতে করতে জামালের মুখ থেকে প্রচন্ড মদের দুর্গন্ধ বের হতে থাকে হঠাৎ দেখি জামাল অসুস্থ হয়ে আমার গেটের দেওয়ালের সাইডে পড়ে যায়, আমি দ্রুত হসপিটালে নেওয়ার চেষ্টা করি ইতি মধ্যে মনা আমাকে বলেন ভাই মান-সম্মানের ব্যাপার জামাল সাহেব প্রচন্ড মদ খেয়েছে এমতাবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া ঠিক হবে না, আমি মনার কোনো কথা কর্ণপাত না করে জামালের ভাইকে সংবাদ দেই এবং জামালের আত্মীয় স্বজনদের সাথে করে এনাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে ডাক্তার জামাল কে মৃত্যু ঘোষণা করেন। পরদিন আনুষ্ঠানিকভাবে জামালের মরাদহ দাফন সম্পন্ন করি।