সাভারে সাধারণ মানুষদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার আতঙ্কের নাম রাইটার স্বপন।
ডেক্স রিপোর্টঃ
সাভারে থানার ‘রাইটার’ হিসেবে পরিচিত স্বপনের বিরুদ্ধে ব্যাপক মিথ্যা মামলা বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ মানুষের হয়রানি, নির্যাতন ও দালালি করে স্বপন দীর্ঘদিন ধরে নিজের প্রভাব খাটিয়ে মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে । ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নেয়ার অভিযোগে সাভারের জনগণ ও ভুক্তভোগীদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
স্বপন এর প্রাথমিক জীবন শুরু সাভার ব্যাংক কলোনী খালার বাসায়, সেখান থেকে তিনি ফটো ক্লিক স্টুডিও নামে একটি সাইবার ক্যাফে খুলে নিজের কর্মকাণ্ড শুরু করেন। এরপর সাভার থানায় নিয়মিত দালালির কাজে যুক্ত হন, যেখানে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে থানায় আসা ভুক্তভোগীদের সমস্যার মিথ্যা সমাধানের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেন। একপর্যায়ে স্বপন মহিলা পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজা বেগম ও শুটার বাবুল শরীফের সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলে।
থানার দালালি করতে গিয়ে স্বপনের পরিচয় হয় পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজা বেগমের সঙ্গে। মাহফুজা বেগমের ছত্রছায়ায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাতে থাকে। এমনকি তিনি শুটার বাবুল শরীফের সাথে মিলিত হয়ে ভুক্তভোগী নারীদের ধর্ষণ ও নির্যাতনের মতো কাজেও লিপ্ত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। তার অপরাধ এর বিরুদ্ধে মুখ খুললে ভুক্তভোগীদের মামলার তদন্তে ফাঁসানোর ভয় দেখানো হতো।
সম্প্রতি হাসপাতালের এক পরিচালককে আসামি করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়।
স্বপনের শ্বশুরের চিকিৎসার খরচ কমানোর দাবি নিয়ে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আনোয়ারুল হক নাজিমের কাছে যায় ।পরিচালক বিল না কমানোর কারণে , স্বপন পরিচালক নাজিম এর বিরুদ্ধে হত্যা মামলার এজাহারে আসামি করার কৌশল নেন। থানা থেকে বিষয়টি জানার পর নাজিম নাম এজাহার থেকে বাদ দেয়া হয়।
সাভারে এসআই রাজিব শিকদার ও মামলা বাণিজ্যে
স্বপন ও পুলিশের এসআই রাজিব শিকদারের যোগসাজশে সাভার থানায় মামলা বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়তে থাকে। নিরীহ জনগণের ওপর চাঁদাবাজির ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর, স্থানীয় গণমাধ্যমে এ বিষয়ে খবর প্রকাশ হলে রাজিব শিকদার গা ঢাকা দেন। পরবর্তীতে এ বিষয়ে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের তদন্তের দাবি ওঠে।
রাইটার স্বপনের অতীত ও বর্তমান চক্রের অপকর্ম
স্বপনের প্রবাসী এক বন্ধুর ভাষ্যমতে, স্বপনের কুকর্মের কারণে তিনি বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর, বিএনপি ও জামাতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করলেও এখন তিনি আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও নিরীহ মানুষদেরও একইভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন । থানার মামলাগুলো থেকে মুনাফা অর্জনের চেষ্টায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে মামলার এজাহারে মিথ্যা তথ্য প্রদান করছেন।
জনগণের প্রশ্ন: কে থামাবে স্বপনের কালো চক্র?
একের পর এক অপরাধের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে, কে থামাবে স্বপনের এই কালো চক্রকে? সাভারের জনগণ ও ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ও বিচার দাবি করেছেন।
গণমাধ্যমে স্বপনের বিরুদ্ধে একাধীক সংবাদ প্রচার হওয়ার পর গা ঢাকা দিয়েছে। স্বপন সাভার মডেল থানায় দালালি করে সাধারণ জনগণকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে জোরপূর্ব তাদের থেকে অর্থ আত্মসাৎসহ অবৈধভাবে বাড়ি গাড়ি গড়ে তুলেছে।