শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:০৫ অপরাহ্ন

সাভারে প্রতারক সেলিম মিয়া সোনালী ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছে ৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০২২
  • ১৮৭ বার পঠিত

সাভারে প্রতারক সেলিম মিয়া।
সোনালী ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নেয় ৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।

নাজমুল ইসলাম ঢাকা জেলা ব্যুরো প্রধান:

সাভার মজিদপুর এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে অনেকের মাঝে বিশ্বাস স্থাপন করে হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক সেলিম লক্ষ লক্ষ টাকা।

প্রতারক সেলিম সাভার মজিদপুর মুদি দোকানদার মাহবুব আলম ও তার স্ত্রী পারভীন বেগম এর সাথে বিশ্বাস স্থাপন করে, মাহাবুবের ভাতিজা সাদ্দাম কে সোনালী ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নেয় ৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।

মাহবুবের স্ত্রী পারভীন আক্তার রিপোর্টার বাংলা টিভি কে বলেন, আমি মাহবুবকে নিজের সন্তানের মতো মনে করতাম কারণ আমার শ্বশুর বাড়ি কুষ্টিয়া ভেড়ামারা গোবিন্দপুর গ্রাম আর প্রতারক সেলিমের দেশে বাড়ি কুষ্টিয়া দৌলতপুর গাছেরদিয়ার গ্রামে বাড়ি, সে সুবাদে আমার স্বামী মাহবুবের সাথে প্রতারক সেলিমের বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমার স্বামীর কথায় প্রতারক সেলিমকে আমি বিশ্বাস করি, সাদ্দামের চাকরি বাবদ ৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা প্রতারক সেলিমের হাতে দেই।

একপর্যায়ে প্রতারক সেলিমকে বিশ্বাস করে আমার বাবার বাড়ি নাটোর জেলা লালপুর থানা কলসনগর গ্রামে বেড়াইতে যাই। প্রতারক সেলিম আমাদের স্থানীয় মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে স্থানীয় মুরব্বিদের সাথে মিথ্যা পরিচয় দেয় এবং, প্রতারক সেলিম বলেন আমার ভাই উপসচিব ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় চাকরি করে। আমি আপনাদের মসজিদে সরকার থেকে মোটা অংকের অনুদান এনে দিবো, বলে মসজিদ কমিটির সভাপতির থেকে মসজিদের কাগজপত্রসহ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় ও প্রতারক সেলিম আমাদের গ্রামে চা খেতে গিয়ে গ্রামের সহজ সরল লোকদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পরিচয় দিয়ে সরকারিভাবে হতদরিদ্র লোকদের অনুদান এনে দিবে বলে প্রতিটি পরিবার থেকে ১০,০০০/দশ হাজার টাকা করে মোট ১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।

আমরা বিশ্বাস করে প্রতারক সেলিমকে নিয়ে ঢাকা সাভারে চলে আসি। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর সাদ্দামের সোনালী ব্যাংকের চাকরির কথা জিজ্ঞাসা করলে, প্রতারক সেলিম ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের ভুয়া উপসচিব পরিচয় দানকারী বাদল এর সাথে ফোনে কথা বলিয়ে দেয় এবং বাদল মোবাইলের মাধ্যমে আমাকে বলেন চাকরি হবে কোন চিন্তা করবেন না, আমরা আবার কিছুদিন অপেক্ষা করি, দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর সেলিম কে বলি আমার চাকরির দরকার নেই আমার টাকা ফেরত দাও সেলিম বলে আরো কিছুদিন ধৈর্য্য ধরো টাকা দিয়ে দিবো।

একপর্যায়ে সেলিম ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় ভুয়া উপ সচিব বাদলের মোবাইল নাম্বার দেন। বাদলের সাথে কথা বলার সুযোগ হয় আমি বাদলের কাছে টাকা চাইলে বাদল বলে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বারটি আমাকে দেন আমি টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছি ডাচ বাংলা ব্যাংকে। বাদল আমার ব্যাংক একাউন্টে টাকা না দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে রাখে। প্রতারক সেলিম, গডফাদার বাদল,পলাশ ও জামান সিন্ডিকেট টাকা না দেওয়ায় আমাদের হতদরিদ্র পরিবার থেকে একজন টাকার শোকে স্ট্রোক করে মারা যান কারণ টাকাগুলো সুদে করে গ্রামের থেকে এনে দিয়েছিলাম।

প্রতারক সেলিম গডফাদার বাদল পলাশ ও জামান সিন্ডিকেটের কারণে আমি আজও গ্রামের বাড়িতে যেতে পারি না। প্রতারক গডফাদার বাদলকে সাংবাদিকরা মোবাইলে প্রশ্ন করলে আপনি কোন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিবের দায়িত্ব পালন করতেছেন, বাদল সাংবাদিকদের বলেন আমি উপসচিব নয় আমি তদন্ত কর্মকর্তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আছি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায় বাদল নামে কোন তদন্ত কর্মকর্তা নেই। সাভারে বাদলের নেতৃত্বে প্রতারক সেলিম প্রতারক পলাশ প্রতারক জালাল সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থেকে অসহায় নিরীহ মানুষকে চাকরি দেয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

One thought on "সাভারে প্রতারক সেলিম মিয়া সোনালী ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছে ৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।"

  1. Right here is the perfect webpage for everyone who would like to understand this topic. You understand a whole lot its almost tough to argue with you (not that I really will need toÖHaHa). You certainly put a fresh spin on a subject that has been discussed for a long time. Wonderful stuff, just excellent!

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..