সাভারে কলাগাথি থানা যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান বিপ্লবকে নির্মম নির্যাতন থানায় অভিযোগ।
সোহেল রানা হাওলাদার চীফ রিপোর্টার
সাভার পৌরসভা শাহীবাগ এলাকায় কলাগাথি থানা যুবলীগ নেতা ও ৮ নং কলাবাড়িয়া গ্রামের সাবেক বারবার নির্বাচিত ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান বিপ্লবকে গত ০৫-০৫-২০২৩ ইংরেজি তারিখে আনুমানিক বিকেল পাঁচটা ৩০ মিনিটের সময়,কথিত আদম ব্যবসায়ী নড়াইল জেলার, কলাগাথি থানার, কলাবারিয়া গ্রামের খবির সরদারের ছেলে ইমরান সরদার (৪০)বিদেশের টিকিট কাটার কথা বলে যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান বিপ্লবকে ডেকে নিয়ে শাহিবাগ একটি পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় নিয়ে যায়,হাফিজুর রহমান বিপ্লব রিপোর্টার বাংলা টিভি কে বলেন, আমাকে পাঁচতলার ভবনের নিচ তলায় নিয়ে সন্ধ্যা ছয় ঘটিকা থেকে রাত বারো ঘটিকা পর্যন্ত নির্মম নির্যাতন করেন, অভিযুক্তরা হলেন আশরাফ মিয়ার ছেলে আজাদ (৩০)খবির সরদারের ছেলে ইমরান সরদার(৪০)আশরাফ মিয়ার ছেলে আরিফ (৩৫)পূজা (৩০) পিতা অজ্ঞাত সহ ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা তাদের নাম জানিনা দেখলে চিনবো,তবে আমার এলাকার কথিত সাংবাদিক মিঠু পিতা একরামুল এ নেতৃত্বে আমার প্রতি নির্যাতন হয়েছে, অভিযুক্তরা আমার নিজ গ্রামের লোক তারা পূর্ব শত্রুতা জের ধরে আমাকে কৌশলে সাভারে ডেকে এনে আমার প্রতি নির্মম নির্যাতন করেছে,আমার কাছে ছিল মোটরসাইকেল FZ যার মূল্য ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা,মোবাইল ফোন দুটি যার মূল্য ৪৩ হাজার টাকা,ঘড়ি যার মূল্য ৩৫ হাজার টাকা স্বর্ণের আংটি যার মূল্য ৪০ হাজার টাকা,নগদ ৩৩ হাজার টাকা। অভিযুক্তরা আমাকে নির্যাতন করতে করতে আমার দুটি পা হাতুর ও শাবল দিয়ে ভেঙে দেয়,নির্যাতন করার সময় আমার মুখের মধ্যেও গামছা ঢুকিয়ে রাখে, আমার দুহাত পিছনে বেঁধে রাখে, দুটি পিস্তল আমার দুই মাথার পাশে ধরে রাখে,একপর্যায়ে আমাকে আনুমানিক রাত্র বারোটা দশ মিনিটের সময় একটি প্রাইভেট কার গাড়ি ভাড়া করে এনে গাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়, কিছুক্ষণ পরে আমি ড্রাইভার কে বিস্তারিত ঘটনা খুলে বললে ড্রাইভার সবুর আমাকে সাভার মডেল থানায় নিয়ে আসে,সাভার মডেল থানা ডিউটি অফিসার আমাকে দেখে, সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেতে,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের ডাক্তার আমাকে দেখে আমার অবস্থা আশঙ্কা মনে করে সাভার এনাম মেডিকেল এন্ড কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য রেফার করে
দেন,বর্তমানে আমি এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি আছি। সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি, সাভার মডেল থানা থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অফিসার এসে আমার খোঁজ খবর নিচ্ছে,এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।হাফিজুর রহমান বিপ্লব বলেন মৃত্যু আমি দেখি নাই তবে আমি মৃত্যুর ঘর থেকে ফিরে এসেছি আমার জীবন বাঁচানোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি গাড়ির ড্রাইভার সবুর সহ এলাকার গণ্যমান্য দুজন ব্যক্তি বিস্তারিত দেখুন আগামী পর্বে।