সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন

সাংবাদিক নাদিমের বিরুদ্ধে ছবি দিয়ে মিথ্যা খবর প্রচার করে টাকা দাবির অভিযোগ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৯৬ বার পঠিত

সাংবাদিক নাদিমের বিরুদ্ধে
ছবি দিয়ে মিথ্যা খবর প্রচার করে টাকা দাবির অভিযোগ

সোহেল রানা রাজশাহী ব্যুরো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নারীর ছবি ব্যবহার করে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও মিথ্যা থানায় মামলা করে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কৃঞ্চ গোবিন্দপুর গ্রামের ক্যাইঠাপাড়ার ফিরোজা আখতার (৪৫)। ভারত থেকে রাজশাহীর বিভিন্ন সাংবাদিকদের হোয়াটসঅ্যাপে এমন অভিযোগ দেন। সেইসাথে বিভিন্ন অনলাইনে ও একটি পত্রিকায় তার নামে এমন মিথ্যা সংবাদ প্রচার করায় প্রতিবাদ জানান। তার লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো।

প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা সালাম নেবেন। আমি চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেয়ে ফিরোজা আক্তার। আপনারা অবগত আছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাদিম নামে একজন সাংবাদিক গত দুই তিন দিন থেকে আমার ছবি দিয়ে মিথ্যা সংবাদ বিভিন্ন অনলাইন ওয়েবসাইটে পত্রিকায় প্রকাশ করেছে। সে সাথে কোন ডকুমেন্ট ছাড়াই থানায় আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে। আমি এমন মিথ্যা মামলা ও আমার নামে বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রিকায় হওয়া এমন মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সাংবাদিক ভাইয়েরা এবার আমি নাদিমের সাথে আমার লেনদেনের ব্যাপার টা জানাচ্ছি, আমি পর্তুগাল যাওয়ার জন্য সরাসরি পর্তুগাল এর কোম্পানির লয়ারের মাধ্যমে কোম্পানির এইচআর এর কাছে ইন্টারভিউ দিয়ে তাতে পাশ করার পর পেমেন্ট কমপ্লিট করি।লয়ার DHL এর মাধ্যমে সরাসরি পর্তুগাল থেকে আমার ঠিকানায় ওয়ার্ক পারমিট ও স্পন্সার লেটার পাঠিয়ে দেয়। আমার পর্তুগাল যাওয়ার কথা শুনে নাদিম ভাইও পর্তুগাল যাওয়ার কথা বলেন, তখন আমি তাঁকে লয়ারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। তারপর উনি সরাসরি লয়ারের মাধ্যমে ইন্টারভিউ দিয়ে DHL এর মাধ্যমে সরাসরি তাঁর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঠিকানায় ডকুমেন্টস নিয়ে আসে।আমরা যেভাবে পর্তুগালে লয়ারকে পেমেন্ট করি উনিও আমাকে অনুরোধ করে সেভাবে লয়ারের পেমেন্ট করার জন্য। নাদিম ভাই তিন লক্ষ আঠারো হাজার টাকা আমার একাউন্টে দিলে আমি তা পর্তুগাল পাঠানোর ব্যবস্থা করি।এবং পরে দিল্লিতে পর্তুগাল এর এম্বাসির vfs global এ ফাইল সাবমিসান করার জন্য আমি ও নাদিম সহ আরও দুই জন দিল্লি যায়। কিন্তু ওখানে সাবমিসান এর ডেট পেতে অনেক সমস্যা হয় এবং এক সময় নাদিম,বদরুল (নোয়াখালী) এর সাথে মিলে ওরা দুজন আমাকে না জানিয়ে এক এজেন্টের মাধ্যমে টাকা দিয়ে সাবমিসান করে এবং আমি আমার সাবমিসান তার মাধ্যমে করাতে চাইলে সে আমাকে কোনো সহযোগিতা না করে আমাকে মিথ্যা কথা বলে দিল্লির হোটেলের বিল পরিশোধ না করেই দেশে চলে যায়। দেশে গিয়ে হোটেলের বিল পাঠানোর কথা থাকলেও একটা টাকাও পাঠায়নি। পরে আমি সেই টাকা পরিশোধ করি।পরে তার ভিসার ইমেইল গেলে এবং আমি তাঁকে দিল্লি গিয়ে তা সংগ্রহ করার কথা বললে সে আমাকে জানায় যে, সে আর পর্তুগাল যাবে না,দিল্লিও যাবে না।উল্টো পর্তুগালে ওয়ার্ক পারমিট এর বাবদ যে ফিস প্রদান করে সেটা আমার কাছে দাবি করে এবং বিভিন্ন রকম হুমকি দিতে থাকে।
শেষে আমিও তাকে তার তিন লক্ষ টাকা নিজের কাছ থেকে ফেরত দিতে চাই কিন্তু উনি আমার কাছে আট লক্ষ টাকা দাবি করেন এবং বলেন এই টাকা না দিলে আমার নামে সংবাদ প্রচার করবেন। আর উনি সাংবাদিক, উনার অনেক পাওয়ার, উনি অনেক কিছু করতে পারেন আমার এমন হুমকি দেন।তার সাথে গত দুই দিন আগে তারেক নামে একজন আমাকে ফোনে অনেক গালিগালাজ করেন এবং হুমকি দেন। আমি আপনাদের কাছে সহায়তা কামনা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..