মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:০৭ অপরাহ্ন

শারদীয় দুর্গোপূজায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ। সব ধর্ম মিলে একসঙ্গে কাজ করব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১ বার পঠিত

এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এবারের পূজার আয়োজন খুবই ভালো। এখানে কোনো ধরনের সমস্যা নাই। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ৩২ লাখ টাকা এবং প্রতিটি পূজামণ্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়েছে। পূজা যেন ভালোভাবে উদযাপন করতে পারে।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া এলাকার রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এটার পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে। সব ধর্ম মিলে যেন একসঙ্গে কাজ করতে পারি সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। প্রত্যেক জায়গায় সিসিটিভি ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আরও বেশি উন্নত হবে উল্লেখ করে বলেন, পূজা কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয়েছিলো সেখানে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পূজার শুরু থেকেই ২৪ ঘণ্টায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আমাদের সরকারি বাহিনী ছাড়াও তাদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে আনসার যুক্ত হবে। এবারের পূজা অনেক উৎসবমুখর হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আরও বেশি উন্নত হবে।

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, র‍্যাব-১১ অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা প্রবির কুমার সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপনসহ স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ সময় উপদেষ্টা আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কোন ধরনের শংকা নাই। এই পূজাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকল মণ্ডপে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার পূজা উৎসবমুখর হবে। নিরাপত্তার কোন ঘাটতি নাই। নারায়ণগঞ্জে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সবসময়ই ছিলো। এ বছর সম্প্রীতি আরও ভালো হয়েছে। দেশে এ বছর ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপ রয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে পূজা উদযাপন কমিটি ৭ জন করে ভলান্টিয়ার নিয়োগ দিবে, আনসার সদস্য থাকবে ৮ জন করে। এছাড়াও পুলিশ, র‍্যাব, সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..