শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে কনফিডেন্স দারিদ্র্য বিমোচন কল্যাণ সংস্থার স্মরণ সভা ও র্যালী
স্টাফ রিপোর্টার
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে কনফিডেন্স দারিদ্র্য বিমোচন কল্যাণ সংস্থা খুলনার উদ্যোগে ১৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার স্মরণ সভা ও মোটর সাইকেল র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মোটর সাইকেল র্যালী খুলনা শহীদ হাদিস পার্ক থেকে শুরু করে ফেরিঘাট মোড় হয়ে ছোট মির্জাপুর সংগঠনের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। উক্ত র্যালী উদ্বোধন করেন আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক মাননীয় মেয়র খুলনা সিটি কর্পোরেশন, উক্ত র্যালীতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শফিকুর রহমান পলাশ, আহবায়ক খুলনা মহানগর যুবলীগ।
কনফিডেন্স দারিদ্র্য বিমোচন কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম রায়হান এর সভাপতিত্বে স্মরণ সভা ও র্যালীতে বক্তব্য রাখেন
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আরিফ হোসেন মিঠু,খুলনা সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শাহিন জামাল পন, খালিশপুর পৌর সুপার মার্কেটের সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান, প্রভাষক এম,এম,কবির আহমেদ, খুলনা প্রেস ক্লাবের সহ-সম্পাদক নূর হাসান জনি, খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোঃ সায়েম, সাংবাদিক কামরুল হাসান, সাবেক যুগ্ন-সম্পাদক খুলনা প্রেসক্লাব, ইব্রাহিম হোসেন মনির গীতিকার ও নাট্যকার খুলনা বেতার,অন্যান্যের মাধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান রোমানা আক্তার,জেনারেল সেক্রেটারি তাপস কুমার রায়,ফিনান্স সেক্রেটারি শেখ ইসলামুল হক, অনুরুদ্ধ কুমার বাহাদুর,মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, সুরজিৎ ঢালী,সাংস্কৃতিক সম্পাদক তুষার মল্লিক, গোবিন্দ সহ অন্যান্যরা।
আলোচকবৃন্দ বলেন ১৪ ডিসেম্বর; শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর দিন। বাঙ্গালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বেদনাদায়ক দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় যখন নিশ্চিত, ঠিক তখন পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের রাতের আঁধারে চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর ঢাকার মিরপুর, রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রেখে যায়।১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পরপরই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিকট আত্মীয়রা মিরপুর ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে তাদের গলিত ও ক্ষত বিক্ষত লাশ খুঁজে পায়। বুদ্ধিজীবীদের লাশে ছিল আঘাতের চিহ্ন। চোখ, হাত-পা ছিল বাঁধা। কারো কারো শরীরে ছিল একাধিক গুলি। অনেককে হত্যা করা হয়েছিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে। লাশের ক্ষত চিহ্নের কারণে অনেকেই প্রিয়জনের মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারেননি। জাতির বিবেক শ্রেষ্ট সন্তানদের আজ বাঙালি জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে।