শহীদ বীর মুক্তিযুদ্ধো মৌলভী সৈয়দ বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের কিংবদন্তি।
নজরুল ইসলাম সিকদার চট্টগ্রাম জেলা বুরোচীফ।
মৃত্যুঞ্জয়ী মৌলভী সৈয়দ একটি নাম নয় ইতিহাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
আদর্শের উত্তরসুরীর হিসাবে স্বাধীন যুদ্ধে করেন।মৌলভী সৈয়দ একটি বীরের নাম।বর্তমানে রাজনীতিতে ইতিহাসের নায়ককে চিনে কিনা সন্দেহ। তার কেউ জানে,তিনি কে,কি তার পরিচয়,কেন যুদ্ধ করেন,কিজন্য বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে শহীদ হন।এসব প্রশ্ন আজ ঘুরপাক খাচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের অনেকে তার নাম জানে কিনা সন্দেহ আছে।তবুও ইতিহাসের রাখাল রাজা এই মহান মানুষটির নাম চট্রগ্রাম জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল বাশখালী শেখেরখীল গ্রামের সুর্য সন্তান বীর মৌলভী সৈয়দ আহমেদ।
বাল্যকালে মাদ্রাসায় শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পরে চট্রগ্রাম মুসলিম হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন।
চট্রগ্রামের রাজনীতির তীর্থ স্থান সরকারি সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।
আদর্শিক,তাত্ত্বিক,অসম্ভব দুরদর্শিতার, সাহসী,মেধাবী,
ও দেশপ্রেমিক বীর ছিলেন।
১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পুরো পরিবারকে নির্মম হত্যার পর যখন কেউ মুখ খোলার সাহস করেননি এমনকি সবাই পালিয়ে যায় সেই কঠিন দুঃসময়ে যে লোকটা তখন প্রকাশ্যে চট্টগ্রামের রাজপথে নেমে প্রতিবাদ করেছিলেন তার নাম বীর মৌলভী সৈয়দ আহমেদ। জাতির পিতার হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে অনেক লোকজনকে সংগঠিত করে অবস্থান নেন। খুনিদের প্রতিরোধ করার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন।
মৌলভী সৈয়দ চট্টগ্রামে তাঁর কর্মীদের নিয়ে সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগ্রামের চেষ্টা করেন।মুক্তিযুদ্ধ করতে গিয়ে নিজের জীবন দিতে কার্পণ্য করেনি। প্রতিরোধ সংগ্রামে জড়িয়ে পড়ায় তিনি বিয়ের কথা চূড়ান্ত হলেও বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নেন।কারণ তাকে সশস্ত্র বিপ্লবে অংশগ্রহণ করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে ১৯৭৫ সালে ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে এক
অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমানকে বন্দী করা হয়।এই অভ্যুত্থানের পক্ষে ঢাকায় অনুষ্ঠিত মিছিলে
নেতৃত্বদানকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মৌলভী
সৈয়দ।৭ নভেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থানে খালেদ মোশারফ
নিহত হলে মৌলভী সৈয়দ বেশ
কয়েকজন সঙ্গীসহ ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেন।ভারত থেকে আসা-যাওয়া করে দেশের অভ্যন্তরে সহকর্মীদের নিয়ে তিনি স্বশস্ত্র সংগ্রামের নেতৃত্ব দেন।এ সময় তারা কিছু জায়গায় টার্গেট করে আক্রমণ করতেন।চট্রগ্রাম নিউ মার্কেট সংলগ্ন সড়কে, দামপাড়াস্থ পুলিশ লাইনসহ কয়েক স্থানে
গ্রেনেড হামলায় তিনি নেতৃত্ব দেন।প্রতিটি সংগ্রামে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী জড়িত ছিলেন।মূলত সামরিক সরকারকে অস্থিতিশীল করতে তিনি ভিন্নমাত্রায় এসব কর্মকান্ড চালাতেন।১৯৭৩ সালের সংসদের এমপিদের নিয়ে তিনি প্রবাসীসরকার গঠনের চেষ্টা করেন।এতে তিনি ব্যর্থ হন।বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের এক পর্যায়ে ১৯৭৬ সালের ৭ নভেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকার মৌলভী সৈয়দ ও তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামষড়যন্ত্র মামলা-১, মামলা-২, মামলা-৩ নামেতিনটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মৌলভী
সৈয়দকে প্রধান আসামি করে এ.বি.এম মহিউদ্দিন,কেশব সেন,কাজী এনামুল হক দানু,
সৈয়দ মাহামুদুল হক সহ অনেকে আসামি ছিলেন।তিনি আন্দোলন সংগ্রামের পুরোধা ছিলেন বলে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে বিভিন্ন জায়গায় সংগঠিত করতে ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন জায়গায় যান।এমনকি চোরাগুপ্ত হামলা পরিচালনা করেন। চট্রগ্রাম, ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় তার অবস্থান ছিল ছদ্মবেশ।কাউকে তিনি বুঝতে দিতেন না।কিভাবে, কোথায় অপারেশন হবে তার জানা ছিল।একসাথে তিনি অনেক জায়গা টার্গেট করে কাজ করতেন। নিজে ছিলেন অসম সাহসী বীর। নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে কখনো আপোষ কিংবা পিছপা হয়নি।মৃত্যু আলিঙ্গন করে জাতির পিতার আদর্শের উজ্জীবিত হয়ে প্রতিশোধ নেওয়া ছিল তার প্রধান কাজ।দেশ ও বঙ্গবন্ধুর জন্য তিনি ছিলেন অকুতোভয় দুঃসাহসী যোদ্ধা।
ভারতে নির্বাচনেইন্দিরা গান্ধীর সরকার পরাজিত হলে
মোরারজি দেশাই এর সরকার ক্ষমতায় আসে।বাংলাদেশের জিয়া সরকারের সাথেমোরারজি দেশাই এর সরকারের এক চুক্তিবলেময়মনসিংহ বর্ডার দিয়ে ভারত থেকে মৌলভীসৈয়দ ও তার সহকর্মীদের বাংলাদেশে পুশব্যাককরা হয়।বর্ডার থেকে মৌলভী সৈয়দ ও বগুড়ার খসরুসহ অনেককেই গ্রেফতার করে ঢাকা
ক্যান্টনমেন্ট নিয়ে যাওয়ার পর জি.জি.এফ আইয়ের জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে নিয়ে যাওয়া হয়।জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে অমানবিকনির্যাতনের মাধ্যমে বিনা বিচারে ১৯৭৭ সালের১১ আগস্ট বগুড়ার খসরু ও চট্টগ্রামের বীর মৌলভী সৈয়দকে হত্যা করা হয়। মৌলভী সৈয়দকে হত্যারপর তার পিতাকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে লাশ শনাক্ত করান।আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে
চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম থেকে লঞ্চ যোগে মৌলভী সৈয়দের লাশ বাঁশখালীতে নেওয়া হয়।পুলিশ,বিডিআর ও আর্মির উপস্থিতি সত্ত্বেও বাঁশখালীতে মৌলভী সৈয়দের জানাজায় মানুষের বিশাল সমাবেশ হয়।মৌলভী সৈয়দকে দাফন করা হয়।প্রায় ১ মাসের বেশী তার লাশের আশেপাশের এলাকায় পুলিশের পাহাড়া দেওয়া হয় যাতে তার অনুসারীরা বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে না পারে।সরকারের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করতে না পারে।চট্রগ্রাম বাশখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চল শেখেরখিল গ্রামে আজও সমাহিত আছে দেশপ্রেমিক,বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর মৌলভী সৈয়দ আহমেদ। যুগে যুগে তিনি তার কর্ম দিয়ে দেশ ও জাতির নিকট বিপ্লবী প্রেরণা,আদর্শিক,দুঃসাহসিক,বঙ্গবন্ধু প্রেমিক হিসাবে মানুষের মণিকোঠায় বেচে থাকবে।
ইতিহাসের নায়ক,বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম
প্রতিবাদকারী,মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা কমান্ডার,বেইজ গ্রুপ কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।দেশের জন্য জীবন বিলিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঝাপিয়ে পড়েন।রাজনীতির আদর্শিক ও পরিক্ষীত যোদ্ধা বীর মৌলভী সৈয়দ মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চট্টগ্রাম সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস ও মহানগর ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,চট্রগ্রাম জেলা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বাকশালের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক বিপ্লবী,সাহসী,
আদর্শিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মৌলভী সৈয়দ আহমদ। খুনী জিয়া’র নির্মম নির্যাতন-হত্যাকাণ্ডের শিকার সেসব ভয়াবহ দিনের স্মৃতি আজ কল্পনাতীত।
১৯৭৭ সালে সামরিক স্বৈরশাসক খুনী জিয়ার নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে কারাগারে শহীদ হন বীর মৌলভী সৈয়দ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রামে গেরিলা বাহিনীর প্রধান (মুক্তিযুদ্ধকালীন) শহীদ মৌলভী সৈয়দ আহমদ দারুণ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে তিনি সে দিন চট্টগ্রাম শহরের উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে শেখ মুজিব রোডস’ ভাণ্ডার মার্কেট সংলগ্ন সৈয়দ মাহমুদুল হকের বাড়িতে গোপন আস্তানা শুরু করেন। আন্দোলন সংগ্রামের জন্য তিনি প্রথমে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে তুলেন।বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোস্তাক সরকারের বিরুদ্ধে বেশকটি সফল অপারেশন করতে সমর্থ হন। ১৯৭৭ সালের জুলাই মাসে তৎকালীন ভারতের সরকার প্রধান মোরারাজি দেশাই স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের যোগসাজশে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর মৌলভী সৈয়দ ও তাঁর সাথে থাকা ক’জন সহযোগীকে ময়মনসিংহ সীমান্ত দিয়ে পুশব্যাক করান। সে সময় মৌলভী সৈয়দকে ঢাকা ক্যান্টেনম্যান্টে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতারের পর অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েও মৌলভী সৈয়দ নিজের পরিচয় গোপন রেখেছিলেন। এক পর্যায়ে খুনিরা তার গ্রামের বাড়ি বাঁশখালীর শেখেরখীল ইউনিয়নের লাল জীবন গ্রাম থেকে তাঁর বৃদ্ধ পিতাকে ধরে এনে সুকৌশলে তাঁকে সনাক্ত করে। এর পর ১১ আগস্ট প্রত্যূষে কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মৌলভী সৈয়দ আহমদকে। বিচারের নামে সেই দিন প্রহসন হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের এই গেরিলা সংগঠক ১৯৩৮ সালের ৪ মার্চ বাঁশখালী উপজেলা শেখেরখীল ইউনিয়নের লাল জীবন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম একরাম সিকদার ও মাতা উম্মে উমেদা খাতুন। পরিবারের পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিটি কলেজে (বর্তমান সরকারি সিটি কলেজ) শুরু হয় তাঁর সংগ্রামী জীবন। ১৯৬৭-৬৮ সালে প্রথমে ছাত্র সংসদের জি.এস ও পরবর্তীতে ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।১৯৬৮ সালে রাজনৈতিক সংগ্রাম আন্দোলনে প্রথম কারারুদ্ধ হন। জেলে বন্দী থাকা অবস্থায় কৃতিত্বের সাথে ডিগ্রি পাশ করেন। ’৬৯ এর গণ-আন্দোলনে তিনি চট্টগ্রামের ছাত্র ও যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করেন। ’৭১ এ মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে ছিলেন মৌলভী সৈয়দ। এ সময় “জয় বাংলা বাহিনী” গঠন করেন তিনি।চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র ছাত্র ও যুবকদের নিয়ে গড়ে তুললেন গেরিলা বাহিনী। রাজাকার, আল বদর, আল শামসদের অবস্থান জেনে সেখানে তিনি আক্রমন করতেন। এটাই ছিল তাঁর নেতৃত্বের বিচক্ষণতা। সে সময় তাঁর প্রতিষ্ঠিত গেরিলা বাহিনীর শক্ত অবস্থান ছিল উত্তর আগ্রাবাদ, পাঠানটুলী, মনছুরাবাদ, রামপুরা, গোসাইলডাঙ্গা ও হালিশহরসহ গ্রামীণ জনপদে। তিনি স্থাপন করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অনেক আশ্রয়স্থল।যা ছিল তার কৌশল ও ছদ্মবেশ।
১৯৭৩ সালের জাতীয় সংসদের নির্বাচনে তাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে আবার তা তুলে নেন।সেই সময় বঙ্গবন্ধু কথা শুনে দলীয় প্রার্থী শাহা জাহান চৌধুরীকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশের পটপরিবর্তনের পর ১৯৭৬ সালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে তিনি আশ্রয় গ্রহণ করেন। সেখানে বসে তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিরুদ্ধে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিরোধ আন্দোলনের ডাক দেন। সেদিন প্রতিরোধ সংগ্রামে চট্টগ্রামের যুবনেতা সৈয়দ মাহমুদুল হক, সৈয়দ আবদুল গণি, মোহাম্মদ জাকারিয়া, এ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দীন, দিপেশ চৌধুরী, মুহাম্মদ ইউনুছ, বাঁশখালীর সুভাষ আচার্য ও শফিকুল ইসলাম সহ অনেককে গ্রেপ্তার করা হয় এবং “চট্টগ্রাম ষড়যন্ত্র মামলা” শিরোনামে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার প্রধান আসামি ছিলেন শহীদ মৌলভী সৈয়দ,এস এম ইউছুফ ও আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরী। এ মামলার বেশিরভাগ আসামি হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের “রাষ্ট্রদ্রোহী” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল এই মামলায়।এটা ছিল জাতির জন্য অত্যন্ত দুঃখ ওলজ্জাজনক ঘটনা।এভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা, চট্টগ্রাম শহর গেরিলা বাহিনীর প্রধান মৌলভী সৈয়দ। নিজের রক্ত দিয়ে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসার স্বাক্ষর রেখে গেছেন যা নতুন প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
পুর্ণভুমি বীর চট্রলার সুর্য সন্তান মৌলভী সৈয়দ জীবন উৎসর্গ করেন বঙ্গবন্ধুর জন্য।তিনি দেখিয়েছেন জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর নামটা অনেক বড়।তার সমসাময়িক কেউ তার মত এত বিপ্লবী কাজ করতে গিয়ে ত্যাগের মহিমান্বিত উদ্ভাসিত হতে পারিনি। শুধু একটি নাম বিপ্লবী বীর মৌলভী সৈয়দ।তিনিই ইতিহাস,তিনিই আমাদের কাছে অনুপ্রেরণা। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ইতিহাসের নায়ক মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক,বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদকারী,বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী,দেশপ্রেমিক,
জীবন উৎসর্গকারী বীর মৌলভী সৈয়দ আহমেদের নাম স্মরণ করে রাখবে।পৃথিবীতে যতদিন বাংলাদেশ নামক দেশটি থাকবে ততদিন কেউই ইতিহাস থেকে মৌলভী সৈয়দের নাম মুছে ফেলতে পারবে না।আজীবন জাতি তাকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে যাবে।আগামী প্রজন্মের জন্য মৌলভী সৈয়দ আহমেদেরা হলো আমাদের আদর্শের প্রতিক ও হাতিয়ার। যতবেশি তাকে নিয়ে চর্চা হবে ততবেশী বাঙালীর ইতিহাস উজ্জ্বল হবে।এই উজ্জ্বল আদর্শিক ও ত্যাগী নক্ষত্রের জন্য আজ আমরা গর্বিত।তার আদর্শ ধারণ করে নতুন প্রজন্মেকে এগিয়ে যেতে হবে তাহলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা হবে।