শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন

লোহাগড়ায় ইউপি সদস্য প্রার্থী যুবলীগ নেতার হাত ভাংলো বিএনপির নেতার আত্মীরা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১৫৮ বার পঠিত
লোহাগড়ায় ইউপি সদস্য প্রার্থী যুবলীগ নেতার হাত ভাংলো বিএনপির নেতার আত্মীরা
স্টাফ রিপোর্টার:
নড়াইলের লোহাগড়ার শালনগর ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সদস্য প্রার্থী হামিদ ফকিরের (৪৫) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার শিকার হামিদ শালনগর ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী। তিনি নওখোলা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁকে গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার শালনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হামিদ ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। হামলায় তাঁর বাম হাতের কবজি ও কনুই থেকে ভেঙে গেছে। হাতে, পায়ে ও পিঠে আঘাত করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানান, শালনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে খোকন শেখের চায়ের দোকানে হামিদ ফকিরসহ কয়েকজন বসে চা খাচ্ছিলেন। তখন ২৫-৩০ জন রড ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামিদ ফকিরের ওপর অতর্কিত হামলা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত হামিদ ফকিরের ভাগ্নে রহিম শেখ জানান, হামিদ ফকিরের সমর্থকেরা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কাশেম ও এস এম মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষে কাজ করায় নৌকার প্রার্থী লাবু মিয়ার সমর্থকেরা এ হামলা চালিয়েছে। উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব সেলিম কাজীর ভগ্নিপতি নৌকার প্রার্থী লাবু মিয়া। মূলত সেলিম কাজীর ভাই, ভাতিজা ও ছেলে এ হামলা চালিয়েছে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কাশেম বলেন, ‘সেলিম কাজী জেলা ও উপজেলা বিএনপির বড় নেতা। নৌকার প্রার্থী লাবু মিয়ার আত্মীয় তিনি। সেলিম কাজী ও তাঁর বিএনপির লোকজন লাবু মিয়ার পক্ষে কাজ করছে। তাই আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা লাবু মিয়ার পক্ষে নেই। এখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির হাতে মার খাচ্ছে।’
সেলিম কাজী বলেন, ‘আমার লোকজন এর মধ্যে নেই।’
নৌকা প্রতিকের প্রার্থী লাবু মিয়া বলেন, ‘চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কাশেমের নওখোলা গ্রামের সমর্থকেরা আমার এক সমর্থকেরা বাড়ি ভাঙচুর করেছে। এতে উত্তেজিত হয়ে আমার লোকজন তাঁকে মারধর করেছে।’
লোহাগড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শেখ আবু হেনা বলেন, ‘হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, আগামী ২৬ ডিসেম্বর  লোহাগড়া উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..