লোহাগড়ায় অতিরিক্ত সারের দাম বৃদ্ধির কারনে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক |
মোঃ এনামুল হক নড়াইল জেলা প্রতিনিধি |
নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায় সারের দোকানে অতিরিক্ত দাম দিয়ে সার ক্রয় করছে কৃষকেরা|
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে কৃষকদের ভর্তুকি দিয়েও সেখানে কৃষকরা ক্ষতি গ্রস্থ|
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে কলংকিত করার জন্য একটি মহল এই কর্মে লিপ্ত হয়েছে|
লোহাগড়া উপজেলায় বেশ কিছুদিন ধরে সরকার কতৃক নির্ধারিত মুল্য ব্যতিত অধিক দামে সার বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ীরা|
লোহাগড়া উপজেলার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা ও অবাক| একজন ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা বাজারে উচ্চ মুল্যে সার বিক্রি করার জন্য ডিলার ও সাব-ডিলারদের নির্দেশ দেন|
সকল ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা যদি সারের দোকান মনিটরিং করতে পারতো তাহলে হয়তো সারের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব|
সার ডিলারদের থেকে জানা যায়, বর্তমান যে বরাদ্দ দিয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম| প্রতি বছরে যে বরাদ্দের চাহিদা দেওয়া হয় তার চেয়ে যদি বৃদ্ধি করতো তাহলে সমস্যা হত না বলে মনে করেন|
লোহাগড়া উপজেলায় কৃষকদের সার সংকট পড়ার কারন চাহিদা মোতাবেক সার না থাকার জন্য|
এ কারনে নড়াইল জেলা কৃষি কর্মকর্তার সুদৃষ্টির প্রয়োজন|
তা নাহলে কৃষকরা আর্থিক ভাবে চরম ক্ষতি গ্রস্থের মধ্যে পড়তে হবে|
কিছু ভুক্তভোগীর নাম তুলে ধরা হলো যেমন- কৃষক আবু সোনা,গ্রাম কুমড়ি| নুরকান মিয়া,গ্রাম সারোল| বুলু গ্রাম চরদিঘলিয়া| কিবরিয়া গ্রাম গাজীপুর| মোস্তফা গ্রাম কুমড়ি|মিঠু গ্রাম কাঞ্চনপুর| সামাদ গ্রাম হালদা| কাদের গ্রাম রায়গ্রাম|হাফিজ গ্রাম ব্রাম্মন ডাংগা। সাইফুল গ্রাম গন্ডব| বোরাক গ্রাম ধানাইড়| শরাফত গ্রাম মানিকগঞ্জ| জিয়া,গ্রাম নোয়াখোলা| শিক্ষক আবু বক্কর মরিচপাশা| আরো ৩৫/৪০ জন কৃষক বলেন সকল সারের দোকানদার আমাদের নিকট থেকে সারের দাম অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে|
ডিলার প্রতিবস্তা ইউরিয়া সারের দাম ৯০০ টাকা কখনও ৮৫০ টাকা কখনও ৯২০ টাকা নিয়ে থাকে|
আমরা নিরুপায় হয়ে দোকানদারের কথা মত সার কিনতে হচ্ছে। কারন জমিতে সার দিতেই হবে| আমরা জানি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারের একটা নির্ধারিত দাম দিয়েছেন কিন্ত সে দামে আমাদের কোন সারের দোকানদার সার বিক্রি করে না| আল্লাহপাক ছাড়া আমাদের কোন উপায় নাই|কৃষকদের কস্টের আহাজারি|
লোহাগড়া উপজেলায় ১২ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা|আনুমানিক লোহাগড়া উপজেলায় ১৩ জন সার ডিলার আছে।ডিলাররা সকলে স্বেচ্ছাচারিতা করে সার বিক্রয় করে|
হাবিবুল্লাহ বাহার নামে একজন সারের ডিলার তার একই পরিবারের আত্মীয় স্বজন দিয়ে লোহাগড়া উপজেলার ৪ টি এবং নড়াইলে ২ টি সারের লাইসেন্স আছে|
হাবিবউল্লাহ বাহার বলেন আমি বিধি মোতাবেক লাইসেন্স করেছি| আমার পরিবারের কথা বলেছেন তা সঠিক না|এছাড়া আরো জানা যায় অনেক সার ডিলার খুচরা বিক্রি করেন না|
ডিলাররা সময় মত দোকান খোলে না| সাব ডিলারগন খেয়াল খুশি মত চড়া দামে সার বিক্রি করে| ওদের তদারকি করার তমন কেহ নাই| দেশটি অরাজকতার দেশ মনে হচ্ছে|
সাব ডিলার মানিকগঞ্জ বাজার হায়াতুর রহমান চড়ামুল্যে সার বিক্রি করে| তিনি বলেন আমাদের নিকট থেকে ডিলার ১ বস্তা ইউরিয়া মুল্য রাখেন ৮৫০ টাকা আমরা বিক্রি করি ৯০০টাকা থেকে ৯২০ টাকা করে| এসময় সাংবাদিকগন সারের উচ্চ মুল্যের কারন জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে এড়িয়ে যান|
নলদী বাজারের সাব-ডিলারগন ১৮ থেকে ১৯ টাকা দরে ইউরিয়া সার বিক্রি করছেন| তারা কোন নিয়মনীতি মানতে বাধ্য নয়|
লোহাগড়া বাজারের কুন্ডুল|জয়পুর এর নুরইসলাম| কাঠাল তলার জিয়াউর রহমান| মরন মোড়ের ওহিদুল ইসলাম|এড়েন্দা বাজারের মানিক। কলাগাছি বাজারের নারায়ন ঘোষ| পাচুড়িয়া বাজারের ইমরুল|দিঘলিয়া বাজারের লিটন সাহা|
আরো ৮/৯ জন সাব ডিলার সাংবাদিকদের বলেন ডিলার আমাদের নিকট থেকে বেশী দাম নেওয়া কারনে আমাদের ও উচ্চ মুল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে|
কোন কোন সাব-ডিলার ৭৮০টাকা দরে ইউরিয়া সার ডিলারের নিকট থেকে ক্রয় করেন নাই বলে জানায়|
এ সকল সাব ডিলারগন কোন প্রকার ক্রয় মেমো সাংবাদিকদের দেখাতে পারে নাই|
এবিষয়ে কয়েকজন ডিলার জানায় আমরা যে বরাদ্দ পাই তা সমানভাবে বন্টন করা হয়|যদি কেহ আমাদের নামে মিথ্যা বলে আমাদের বলার কিছু নাই|
লোহাগড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রইচ উদ্দিন বলেন আমি শুনেছি খুচরা দোকান ও ডিলারগন উচ্চ মুল্যে সার বিক্রয় করতেছে| মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে| বর্তমান যে সারের সংকট দেখা দিয়েছে তার একমাত্র কারন সারের গোডাউন পরিবর্তনের কারনে|সঠিক সময় সারের যোগান দিতে পারে নাই|
মৎস ঘেরের জন্য কোন বরাদ্দকৃত নেই| তবে ঘের মালিকগন অতিরিক্ত সার ব্যবহারের কারনে সংকটের সৃষ্টি হতে পারে|