লাশ দাফনে পৌর মেয়রের বাঁধা এলাকাবাসীর প্রতিরোধ,
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাকেরগঞ্জে লাশ দাফনে পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়ার বাঁধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে পরে লাশ দাফন করা হয়।অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের দিনমজুর ছিদ্দিকুর রহমান রবিন হুডের স্ত্রী আয়শা বেগম শাহনাজ শনিবার রাত ১২ টায় মৃত্যুবরণ করেন। রবিবার সকাল ১০টায় মরহুমার জানাজার নামাজ শেষে এলাকাবাসী তার লাশ বাকেরগঞ্জ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার কবরস্থানে দাফন করতে গেলে পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া ওই জায়গা দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করবেন বলে সেখানে লাশ দাফনে বাঁধা দেয়।তিনি কবর খোঁড়ার লোকজনকে গালাগালি করে লাশ দাফনের জন্য খোঁড়া কবরে মাটি ভরাট করান।এনিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে মেয়র লোকমান পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে এলাকার অর্ধশতাধিক মহিলা কবরস্থানে ডুকে পুনরায় কবর খুঁড়ে সেখানেই লাশ দাফন করেন।
পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়ার কবরস্থানের মধ্য দিয়ে রাস্তা নির্মাণের দোহাই দিয়ে দিনমজুর রবিন হুডের স্ত্রীর লাশ দাফনে বাঁধা দেয়ার তিব্র নিন্দা জানিয়েছেন এলাকাবাসী।পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আমিরুজ্জামান রিপন জানান,বাকেরগঞ্জ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার কবরস্থানে বহু মানুষের কবর রয়েছে।গত দুই মাস আগে থেকেই পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া জোরপূর্বক মুসলিম কবর স্থানের মধ্য দিয়ে হিন্দুদের শ্মশানে যাতায়াতের জন্য একটি ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
এলাকাবাসীর ক্ষোভ ও প্রতিরোধে কারনে ওই সময় সে চেষ্টা স্থগিত রাখেন মেয়র লোকমান।ওই কবরস্থানের জমির মালিকানা মূলত স্থানীয় বিপ্লব লাহাড়ীর। তার অনুমতি নিয়েই এলাকাবাসী রবিবার সকালে ওই কবরস্থানে মৃত শাহনাজের লাশ দাফনের জন্য কবর খুঁড়লে পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া বাঁধা দিয়ে খোঁড়া কবরে মাটি দিয়ে ভরাট করায়।পরবতীতে স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে পুনরায় কবর খুঁড়ে লাশ দাফন করা হয়।তিনি এ ঘটনায় তিব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।এ বিষয়ে মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
মোঃ মিজানুর রহমান