স্টাফ রিপোর্টার : করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে চলমান সর্বাত্মক লকডাউনে জরুরি পরিষেবা ছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চতুর্থ দিনে রবিবার রাজধানীর সড়কগুলোতে গাড়ির চাপ বেড়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চেকপোস্টে সব গাড়ি থামিয়ে অহেতুক ঘোরাঘুরি করছে কিনা তা যাচাই ও কাগজপত্র চেক করছে। এ কারণে পুলিশের অনেক চেকপোস্টে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারা ব্যক্তিগত গাড়িগুলোকে ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, চলমান লকডাউনে ব্যক্তিগত গাড়ি রাস্তায় চলার কোনো সুযোগ নেই। তবে প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা গাড়িগুলো রাস্তায় চলতে পারবে।
রাজধানীর সাত মসজিদ রোড, মিরপুর রোড ও গাবতলী চেকপোস্ট ঘুরে দেখা যায়, রাসেল স্কয়ার, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে, কল্যাণপুর, টেকনিক্যাল মোড় ও গাবতলী চেকপোস্টে গাড়ির ব্যাপক জটলা। এসব চেকপোস্টে প্রত্যেকটা গাড়ি থামানো হচ্ছে। অপ্রয়োজনে বের হওয়া গাড়িগুলোকে মামলাও দেয়া হচ্ছে।
সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও বেশ কিছু অফিস খোলা রয়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করেন তারা কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বের হয়েছেন। সেক্ষেত্রে কেউ ব্যক্তিগত গাড়িতে বা অন্যের গাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রজ্ঞাপনে বলা ছিল, কোনো ব্যক্তিগত গাড়ি রাস্তায় নামবে না। প্রয়োজনে অফিস তার কর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করবে। মূলত এই বিষয়টি মাথায় রেখেই পুলিশ গাড়িগুলোকে কঠোরভাবে চেক করছে।
বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্টগুলোতে মানুষকে বিভিন্ন অজুহাতও দিতে দেখা গেছে। দেখা গেছে চিকিৎসকের ব্যক্তিগত গাড়িতে তার পরিবারের লোকজন যাতায়াত করছেন, বিজিএমইএর দেয়া অনুমতিপত্রের সাথে গাড়ির নম্বরের মিল নেই, প্রতিষ্ঠানের কর্মী পরিবহনের গাড়ি না হওয়ার পরও বলা হচ্ছে কর্মী পরিবহনে নিয়োজিত, জরুরি সেবার কথা বলে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করাসহ নানা বাহানায় রাস্তায় গাড়ি চলাচল করছে। এসব গাড়িকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ।
এছাড়া পায়ে হেঁটে বা রিকশায় বিনা কারণে ঘোরাঘুরি বন্ধ করতেও তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে অভিযান চালাচ্ছেন। এসময় জরিমানাসহ গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে।