র্যাব-৬ এর মোবাইল কোর্টে ০৮ প্রজাতির ১২টি বন্যপ্রাণী ও পাখি উদ্ধার
মোঃমামুন হাচান স্টাফ রিপোর্টার
র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, প্রতারক ও বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ঘটনার আসামী, গ্রেফতারসহ সুন্দরবনের বন্যপ্রানী সংরক্ষনে ভুমিকা পালনের মাধ্যমে জনগনের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৮ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ ১১.০০ ঘটিকা হতে ১৫.০০ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব-৬ (সদর কোম্পানী) খুলনার একটি চৌকস আভিযানিক দল যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট এবং খুলনা বন্যপ্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রানী পরিদর্শকের সহায়তায় যশোর জেলাধীন মনিরামপুর থানার রাজগঞ্জ বাজার সংলগ্ন ঝাপা বাওড়ের পাড়ে “ঝুমা চিড়িয়াখানায়” মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে International Union for Conservation of Nature (IUCN) ঘোষিত বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির প্রানীসহ সর্বমোট ০৮ প্রাজাতির ১২টি বন্য প্রানী ও পাখি উদ্ধার করে। এই সকল বন্য প্রানী ও পাখির মধ্যে রয়েছে , উল্লুক ০১টি, বানর ০২টি, সজারু ০১টি, মেছো বিড়াল ০১টি, গন্ধগোকুল ০১টি, অজগর ০১টি, খৈয়া গোখরা ০২টি ও তিলা ঘুঘু ০৩টি। এসময় অনুমোদনহীনভাবে বিলুপ্ত প্রজাতির প্রানী দখলে রেখে প্রতিপালন ও প্রদর্শন সংক্রান্ত অপরাধের জন্য ঝুমা চিড়িয়াখানার সত্ত্বাধিকারী মোঃ শামসুদ্দিন সরদার (৬২), পিতাঃ তালেব আলী সরদার, সাং-রামকৃষ্ণপুর, থানাঃ কলারোয়া, জেলাঃ সাতক্ষীরা’কে বন্যপ্রানী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর ৩৭(২) ধারায় ০২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডসহ ৫,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়।
উদ্ধারকৃত প্রানীগুলোর মধ্যে ০৩টি তিলা ঘুঘু সদর কোম্পানী, র্যাব-৬, খুলনা এর কোম্পানী কমান্ডার, স্কোয়াড কমান্ডার, মনিরামপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট এবং খুলনা বন্যপ্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রানী পরিদর্শকের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থলে অবমুক্ত করা হয়। অন্যান্য প্রানীগুলোকে পরবর্তীতে অনুকূল পরিবেশে অবমুক্ত করার জন্য খুলনা বন্যপ্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
বন্যপ্রাণী প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। তাই বিশ্ব উষ্ণায়নের বর্তমান এই পরিস্থিতিতে সুন্দরবনসহ বন্যপ্রানী সংরক্ষনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা এবং সেই সাথে সাধারণ জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে র্যা বের এই ধরনের অভিযান সব সময় অব্যাহত থাকবে।