সাইফুল ইসলাম স্টাফ রিপোটারঃ সাধনপুর স্কুল এন্ড কলেজ নন এমপি ভুক্ত কলেজ।কলেজ টি ২০১৩ সালে স্থাপিত বলে জানা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১জুলাই দেশ জুড়ে কঠোর লকডাউন
বাস্তবায়নে বাগমারা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান সহ বাগমারা থানার একটি টহল টিম সাথে নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।পরিদর্শন শেষে শিকদারী বাজারে পৌঁছালে লোকজন দিক বিদিক পালাতে থাকে। এক পর্যায়ে কথিত শিক্ষক মাক্স না থাকায় দৌড়ে পালিয়ে সালেহা ইমারত গার্লস স্কুলের দিকে দৌড় দিলে পুলিশও পিছু পিছু ধাওয়া করে।
এবং তাকে ধরে ফেলে। এসময় মুখে মাক্স না থাকায় এবং দৌড়ে পালানোর কথা জানতে চাইলে পুলিশের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন কথিত শিক্ষক । তখন ভূমি কমিশনার মাহদুলুল হাসান গাড়িতে উঠানোর নির্দেশ দিলে ভয়ে আবারও দৌড়ে পালানোর সময় মাটিতে পড়ে আহত হন।
এঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়কিছু মহল লকডাউনে বাধা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে কিছু প্রচার মাধ্যমে অসত্য তথ্য দিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে।
আব্দুল আজিজ শিক্ষা টিভির ভারচুয়াল মিটিং এ অভিযোগ করে বলেন,আমি ডায়বেটিস এর রোগী আমাকে ইনসুলিন নিয়ে চলতে হয়। আর দুই বার হাটঁতে হয়।তারই ধারাবাহিকতায় আমি ১ জুলাই বিকাল ৫ টা ৩০মিনিটের কিছু দুর হেঁটে বাড়ির কেচি গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি।
এমসয় পুলিশের গাড়ির শব্দ শুনে চারিদিকে লোকজন ছোটাছোটি করতে থাকে। আমি লক্ষ করি এসিল্যান্ড লাঠি হাতে মানুষ কে তাড়া করছে এবং লোকজন ছোটাছুটি করছে।জনসাধারণকে তাড়া করার সময় মাটিতে পা পিছলে পড়ে যায় এসিল্যান্ড। মাটি থেকে উঠে আমার কাছে এসে জানতে চান আমি এখানে কেন? আমি তাকে আমার পরিচয় দিই এবং সব খুলে বলি। তখন তিনি পুলিশের কাছ হতে লাঠি নিয়ে আমার হাতে বারি মারলে আমার হাত ভেঙ্গে যায়।পরে চিকিৎসা নেবার জন্য ভবানীগন্জ বাজারে গিয়ে পরীক্ষা করে হাতে দুইটি শেলাই দেওয়া হয়।তাছাড়া হাতের তিনটি হাড় ভেঙে গেছে চিকিৎসা করাতে হবে বলে তিনি জানান।
এছাড়াও শিক্ষা টিভির লাইভে এসে যে সাক্ষাৎকার দেন তাতে কিছু উত্তর সবার মনে ঘোর পাক খাচ্ছে। বিষয় টি হল কথিত শিক্ষক আজিজ বলেন এসিল্যান্ড লাঠি হাতে তাড়িয়ে আসেন,কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পুলিশের হাতে থাকা লাঠি কেড়ে নিয়ে শিক্ষক আজিজের হাতে বাড়ি মারে বলে তিনি বলেন।আসলে ভূমি কমিশনার কখনো হাতে লাঠি নিয়ে জনসাধারণ কে তাড়া করেন না।
তিনি থানা পুলিশ সাথে নিয়ে তদারকির কাজ করেন।প্রশ্ন হলো তাহলে এসিল্যান্ডের হাতের লাঠি গেলো কোথায়?হাতে লাঠি নিতে যদি তাড়া করতেন তবে তার হাতের লাঠি দিয়ে তাকে মারতেন।
পুলিশের হাত থেকে লাঠি নিয়ে মারতে হতো না?সত্য করা লসিল্যন্ডের হাতে লাঠি ছিল না?
মিটিং এ তিনি আরো বলেন যে তিনি ২০ বছর ধরে শিক্ষকতা করেন অথচ সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২০১৩ সাথে স্থাপিত। ২০ বছর ধরে চাকুরী করে সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক আজিজ সাংবাদিকের সামনে মুখ খুলতে চাননি।
তবে শিক্ষক আজিজের তরফ হতে কোন অভিযোগ নেই বলে তিনি বলেন।কেউ যদি বিষয়টি নিয়ে নাড়াচাড়া করে তবে তিনার কিছু করার নাই।
সত্য ঘটনা জানতে তদন্তে নামে ক্রাইম অগ্রযাত্রার অনুসন্ধানি টিম দীর্ঘ ৭ দিন অনুসন্ধানেন বাহির হয়ে আসে সত্য ঘটনা।কেউ হাতে বাড়ি দিয়েছে এমন তথ্য পাওয়া যায় নি।তবে কিছু প্রত্যক্ষ ব্যক্তি বলেন পুলিশের গাড়ি দেখে পালানোর সময় কথিত শিক্ষক আজিজ পড়ে গিয়ে হাতে চোট পেয়েছে।
মাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আছকান আলী আসকান বলেন, যে কোন কারনে দূর্ঘটনা ঘটার পর প্রশাসন সহ আমি পরের দিন শুক্রবার শিক্ষক আজিজের বাড়িতে যাই।সেখানে সব কিছু জানার পর বাগমারা ৪ আসনের সাংসদ ইন্জিঃএনামুল হক মহোদয়ের নির্দেশ ক্রমে ভুল বোঝানবুঝির মিমাংসা করে দেওয়া হয়। মিমাংসাটিকে নিয়ে সামান্য একটি ঘটনা কে কেন্দ্র করে মনগড়া ভাবে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় দুঃখ জনক। সে বাগমারা উপজেলার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে না।লোক মুখে শুনেছি পুঠিয়া উপজেলা নন এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান,লকডাউনের প্রথম দিন শিকদারী বাজারে প্রশাসনের উপস্থিত টের পেয়ে জামায়াতে কৃত জনগন দিক বিদিক ছুটে পালাতে থাকে পরে জানতে পারলাম বির্তকিত কথিত শিক্ষক আব্দুল আজিজের হাত ভেঙ্গে গেছে।
গত ২০২০ সালের ৬ মার্চ থেকে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।
বাগমারা ৪ আসনের সাংসদ ইন্জিঃএনামুল হক এর দির্দেশ ক্রমে,
উপজেলা চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগ,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহমেদ, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ বাগমারা করোনা সংক্রামনে শুরু থেকে অদ্যবদি পর্যন্ত বাগমারা জনগনের স্বার্থে মাঠ পর্যায়ে সর্বক্ষনিক তদারকি অব্যহত রেখেছেন।
তাদের কে ডিটারমাইন্ড করে দেবার জন্য একটি মহল সুপরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনাকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। বাগমারা সচেতন মহল মনে করেন যে সামান্য একটি ঘটনা যা মিমাংশিত।
এবিষয়ে নিয়ে বাড়াবাড়ির কোন প্রশ্ন উঠে না।যা স্থানীয় প্রশাসনকে প্রশ্ন বৃদ্ধ করাই এই কথিত শিক্ষক ও তার সহযোগীদের মুল উদ্দেশ্য।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায় কে এই আজিজ? তাকে নিয়ে সমাজে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। ইদানিং সে শিক্ষক পরিচয়ে বিভিন্ন রকম অসামাজিক কার্যকলাপে সাথে জড়িত রয়েছে।এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায়, সে বিয়ের ঘটক হিসেবে এলাকায় পরিচিত রয়েছে।
সে সুন্দরী মেয়ের সাথে বিয়ে দেবার নাম করে পাত্র পাত্রী ও অভিভাবকের কাছ হতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও সে এলাকার বিভিন্ন গ্রাম্য শালিশে পক্ষদ্বয়ের কাছ হতে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ ঘটনাকে ইশুকে করে কথিত শিক্ষক আব্দুল আজিজের আর্থিক সুবিধা দাবি করেন।এতে প্রমানিক হয় যে সে এই ঘটনাকে পুঁজি করে সমগ্র শিক্ষক সমাজের ভাব মূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, সে আদোও কোন শিক্ষা প্রতিষ্টানে কর্মরত রয়েছে কি না? সেটা নিয়ে জনমতে প্রশ্ন ঘুর পাক খাচ্ছে।
বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফরহাদ হোসেন মজনু বলেন,১লা জুলাই বৃহস্পতিবার আমার শিকদারী বাজারে আমার দোকানে বসে ছিলাম।আগে পুলিশের গাড়ি আসে এবং পরে এসিল্যান্ড এর গাড়ি আসে।এসময় লোকজন দিকবিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে।এরপর এসিল্যান্ড এসে আমার দোকানে ঢুকে আমাকে জিজ্ঞেস করে লকডাউনের সময় দোকান খুলে রেখেছেন কেনো?আমি তখন বলি এটা আমার দোকান এটাই আমার বাসা।তখন তিনি চলতে যান।কিছুক্ষন পর শুনলাম আব্দুল আজিজের হাতে ভেঙে গেছে।
হাতে একটু লেগেছে এবং সে ব্যথা পেয়েছে।তারপর লোকমুখে শুনলাম আজিজ দৌড়ে পালাচ্ছিলো।এসময় তাকে পুলিশ ধরে।
তখন তার হাত দিয়ে রক্ত বাহির হচ্ছিল।
হাতে কেও বারি দিয়েছে কিনা,এসিল্যান্ড বা পুলিশের লোক বারি দিয়েছে কিনা তা সঠিক আমার জানা নাই।তবে ঘটনা যাই ঘটুক না কেনো শুক্রবার ইন্জিঃএনামুল হক এমপি এর পরামর্শে প্রশাসনকে নিয়ে আজিজের বাসায় গিয়ে মিমাংসা করা হয়েছে।এরপরও এটা নিয়ে যা হচ্ছে তা বাড়াবাড়ি ছাড়া কিছুই না।
তিনি কোথাও শিক্ষকতা করেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কি শিক্ষক সেটা জানা নাই শুনেছি সাধনপুর নাকি চাকুরী করেন।নাকী চাকরি করেন?আমাদের সাঁকোয়া কলেজের চাকুরির জন্য দরখাস্ত করেছিল। কাগজ পত্রের সমস্যার জন্য চাকুরী দেওয়া হয় নি?
এবিষয়ে জানতে চাইলে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাক আহমেদ বলেন, কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের সরকারের দেওয়া বিধি নিষেধ মেনে মানুষ চলছে কি না সেটা তদারকি করার জন্য আমাদের কিছু ফোর্স নিয়ে এসিল্যান্ড মহোদয়ের সাথে বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করছিলেন।এসমসয় শিকদারী বাজারে আমাদের গাড়ির শব্দশুনে সাধারন লোকজন ছোটাছুটি করে পালায়।
এসময় আজিজ নামে এক ব্যাক্তি পড়ে গিয়ে হাতে ভেঙ্গে যায়।পরে জানতে পারি তিনি কলেজের শিক্ষক। আমারা দূত তাকে চিকিৎসা নেবার পরামর্শ দিই।
এসিল্যান্ডের লাঠির আঘাতে শিক্ষকের হাত ভাঙেছে জানতে চাইলে মোস্তফা আহমেদ বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।দৌড়ে পালানোর সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে তার হাত ভেঙেছে।এসিল্যন্ড হাতে কেন লাঠি নিবেন? তিনার সাথে যথেষ্ট পুলিশ সদস্যরা ছিলেন।
লকডাউনে পুলিশ প্রশাসন ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য একটি চক্র চেষ্টা চালাচ্ছে।আমরা এধরনের মিথা অপবাদ ছড়ানোর তীব্র নিন্দা জানাই।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসিল্যান্ড জানান, লকডাউন কার্যকর করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলাকালে তিনি লোকজনকে ধাওয়া দিয়ে বাড়িতে পাঠানোর সময় কলেজ শিক্ষক আবদুল আজিজ মাটিতে পড়ে গিয়ে আহত হন।আমার হাতে লাঠি নেবার প্রশ্নই উঠে না।
এ ঘটনায় ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করছিলাম বলে আমাকে দোষ দেওয়া হচ্ছে। তিনি লোকজনের মধ্যে দৌঁড়ে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। তার আঘাত পাওয়ার খবর শুনে আমরা তার সঙ্গে কথা বলার জন্য বাড়িতে গিয়েছিলাম।
এদিকে, ইউএনও শরীফ আহমেদ এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কথিত কলেজ শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তিনি জানান, কলেজ শিক্ষক আব্দুল আজিজের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে আমরা তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম এবং অনেকটা সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলের মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানতে চান না। এখানে লকডাউন কার্যকর করা একটি কঠিন কাজ। লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে কঠোর হওয়ায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।