মোঃ সাইফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ
করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজশাহীর বাগমারায় একই দিনে একজন এনজিও কর্মকর্তাসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে এক নারী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে এবং আরেকজন নিজ বাড়িতে মারা গেছেন। এঁরা হলেন ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সাদোপাড়া গ্রামের মুকুল হোসেন (৫৬) ও শ্রীপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের স্ত্রী রহিমা বেগম (৬৪)। আজ সোমবার সকালে তারা মারা যায়।
স্বজনদের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, সোমবার সকালে করোনার উপসর্গ নিয়ে শ্রীপুর গ্রামের রহিমা বেগমকে (৬৪) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। করোনা পরীক্ষার আগে চিকিৎসা করা যাবে না বলে জানিয়ে হাসপাতালের বারান্দায় তাকে রাখা হয়। সকাল নয়টায় ল্যাব টেকনিশিয়ান হাসপাতালে আসলে বৃদ্ধার অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়। এরপরেই চিকিৎসকদের সামনে বৃদ্ধা ছটফটিয়ে মারা যায়। মারা যাওয়ার পর তাঁর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
স্বজনেরা অভিযোগ করেন, রহিমার শ্বাসকষ্ট ছিল। অক্সিজেনের প্রয়োজন থাকার পরেও হাসপাতাল থেকে এর ব্যবস্থা করা হয়নি এবং চিকিৎসায় চিকিৎসকদের চরম অবহেলা ছিল বলে অভিযোগ করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, মৃত্যুর পরেই রহিমা বেগমের করোনা পজিটিভ প্রতিবেদন আসে। তবে চিকিৎসকদের অবহেলার বিষয়ে কিছু বলেননি।
অপরদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে উপজেলার সাদোপাড়া গ্রামের এক এনজিও কর্মকর্তা মুকুল হোসেন (৫৬) মারা যায়। রংপুরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন তিনি। লকডাউন ঘোষণার পর মুকুল বাড়িতে ফিরে আসে। করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়াতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নমুনা দেওয়া হয়।
এরপর পজিটিভ প্রতিবেদন আসার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের পরামর্শে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এনিয়ে উপজেলায় করোনায় চারজনের মৃত্যু হলো।
এছাড়াও উপসর্গ নিয়ে আরও ৫০ জন মারা গেছেন। আজ পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে মাত্র তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে ।