মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৯ অপরাহ্ন

রাজশাহীর পুঠিয়াই স্ত্রীর অধিকার ফিরে পেতে মানবাধিকার সংস্থায় দ্বারস্থ্য পম্পা রানি।।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২১
  • ১৫৫ বার পঠিত

রাজশাহীর পুঠিয়াই স্ত্রীর অধিকার ফিরে পেতে মানবাধিকার সংস্থায় দ্বারস্থ্য পম্পা রানি।।

মো: তরিকুল ইসলাম তারেক রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি: :

রাজশাহীর পুঠিয়ায় স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে স্বামীর বাড়িতে অনশন করা,পুলিশ প্রশাসন ,স্থানীয় ইউনিয়নের মেম্বার, চেয়ারম্যন এবং বিভিন্ন্ পত্রিকার সংবাদিকদের প্রতিবেদন প্রকাশের পরও কোন প্রতিকার না পাইয়া পম্পা রানির চাচা শ্বশুড় (তপন কুমার দাস),ফুফু শ্বাশড়ি নমিতা রায় এবং আরেক চাচা শ্বশুড় অমিয় দাস এর সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক মানবাথিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক ও রাজশাহী জেলা স্পেশাল কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর সর্বোচ্চ অধিকার পাওয়ার লক্ষে সজিব দাস পার্থ দিং এর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৫ অক্টোবর সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় সরেজমিন তদন্তে যান আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক/রাজশাহী জেলা স্পেশাল কমিটি। সে সময় গৃহবধু পম্পা রানি বয়েন পরামানিক এর বাসায় অবস্থান করছিলেন। সে বাসায়  পম্পা রানি, (২১),  আমাদের কে জানান সে কুড়িগ্রাম জেলার রাজাহাট থানার তৈয়ব খাঁ গ্রামের মৃণাল কান্তি রায়ের মেয়ে ।

গৃহবধু পম্পা রানি আসক ফাউন্ডেশন রাজশাহী জেলা স্পেশাল কমিটির প্রতিনিধিদের নিকট বলেন, পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর হাট এলাকার চিকিৎসক স্বপন কুমার দাসের ছেলে সজিব দাস পার্থ (২১) কুড়িগ্রামে পড়াশোনার সুবাদে থাকাকালীন সময়ে তার সাথে দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর পার্থর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়ের বাবা (মৃনাল কান্তি)এবং হিন্দু ধর্মীয় মতে বিয়ের আয়োজন করা হয় ও গত ১৪ আগষ্ট২০১৮ ইং তারিখে পার্থর সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। সে সময়ের বিয়ের  একটি ভিডিও আমার কাছে আছে। বিয়ের পরার দিন আমার শ্বশুড় (ডা.স্বপন কুমার দাস) ও শ্বাশুড়ি (জবা রানি দাস) আমাদের বাসায় (কুড়িগ্রামে) উপস্থিত হোন । তারা আমাদের বিয়ে টি মেনে নিয়ে বলেন যেহেতু রাজশাহী শহরে আমাদের নাম ধাম আছে তাই পরে সময় দিন ধার্য্য করে অনুষ্ঠানিক ভাবে বউ হিসাবে তুলে নিব বলে আমার শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি রাজশাহীতে ফিরে আসে। আমার স্বামী (সজিব কুমার পার্থ ) এক সপ্তাহ আমার সঙ্গে থাকার পর রংপুর কলেজ লেখা পড়ার জন্য ফিরে যান। তারপর পড়াশোনা শেষ করে আমাকে (পম্পা) রেখে রাজশাহীতে ফিরে আসে। পরে আমি মুঠোফোনে বারংবার পার্থকে অনুরোধ করে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য । কিন্ত পার্থ আজ না কাল বলে তিন বছর পার হয়ে গেছে। আমার স্বামী অন্য একটি মোবাইল থেকে কলদিয়ে বলে তুমি চলে আসো রাজশাহীতে মামলা মুকোদ্দমা থাক। তাই আমি গত বুধবার (১৩ ই অক্টোবর) আমার স্বামীর বাড়ীতে পৌঁছানোর পর আমার স্বামীকে আমার শ্বাশড়ি বাড়ি থেকে সরিয়ে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর পার্থ’র মা, বোন ও কাজের মেয়ে আমাকে মারধোর করে বাড়ী থেকে বের করে দেন এবং বাড়ীতে তালা দিয়ে তারাও কোথায় চলে যায়। এরপর আমি ( পম্পা ) আমার স্বামীর বাড়ির গেটে অবস্থান করছিলাম। অবস্থান অবস্থায় আমি নিরুপাই হয়ে ৯৯৯ কল দিলে পুঠিয়া থানা থেকে  জাহাঙ্গীর নামে একজন এসআই আসেন এবং সব কথা শুনে সে বলে  স্থানীয়ভাবে বিষয়টি  মীমাংসা করে নেওয়ার জন্য বলে সে চলে জান।
অনেক রাত হলেও স্থানীয় মেম্বার,চেয়ারম্যান কোন জন প্রতিনিধি আমার খোঁজ খবর নেয়নি ও  আমায় কোন প্রকার সহযোগিতার জন্য এগিয়েও আসেনি। আমার  চাচা শ্বশুড় (তপন কুমার দাস),ফুফু শ্বাশড়ি (নমিতা রায় ) এবং আরেক চাচা শ্বশুড় (অমিয় দাস )এর সহযোগিতায় আমি এই বাসায় অবস্থান করছি।
এই বক্তব্যর প্রদানের /শুনার সময় উপস্থিত ছিলেন তপন কুমার দাস, অমিয় দাস, নমিতা রায়, দিলিপ কুমার দাস, সত্তান দাস, বয়েন পরামানিক, আ: রহমান, মো: মোস্তফা, মো: শহিদুল ইসলাম,মো: সেলিম রেজা তারা সকলে সংস্থার রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক কে বলেন পম্পা যে কথা গুলো বললো তাহা সত্য এই বিয়ের বিষয়ে আমরা তিন বছর আগে থেকে জানি। এর পর প্রায় দুপুর ২ ঘটিকার সময় সংস্থার কমর্তকা গণ বানেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: সুলতান এর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে মতবিনিময় করেন। চেয়ারম্যান মহাদয় বিষয়টি আগে থেকে জানেন বলে তিনি সংস্থার প্রতিনিধিদের জানান। তিনি আরও বলেন আমি ডা. স্বপন কুমার দাস কে মোবাইল  ফোন এর মাধ্যমে বলেছি যে তিনি যাতে তার ছেলের বউকে তার ঘরে তুলে নেয়ার জন্য কিন্তু তিনি রাজি হননি। পরে এই ঘটনার ব্যপারে আসক ফাউন্ডেশন রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক মানসুরুর রহমান পুঠিয়া -দূর্গাপুর আসনের সংসদ সদস্য ডা. মো: মুনসুর রহমান  এর সঙ্গে মোবাইল ফনের মধ্যমে মত বিনিময় করলে তিনি ন্যায় সঙ্গতভাবে আইন গত সহযোগীতা প্রদান করার পরামর্শ দেন।

এ ব্যাপারে পার্থর পরিবার পলাতক থাকায় তাদের সরাসরি  বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু সংস্থার পক্ষ থেকে মোবাইল এর মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তিনি পরিচয় জানার পর বলেন আমরা পরে আপনার সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগ করব। কিন্তু তারা আর কোন প্রকার যোগাযোগ করেনি এবং পরে মোবাইল ফোনে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।

দেশের স্বার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বয়েন পরামানিক এর বাড়ি থেরে পম্পা রানিকে  চাচা শ্বশুড় (তপন কুমার দাস),ফুফু শ্বাশড়ি (নমিতা রায় ) এবং আরেক চাচা শ্বশুড় (অমিয় দাস ) তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত পম্পা রানি তার ফুফু শ্বাশড়ি (নমিতা রায় )এর বাসায় অবস্থান করছে।

বিষয়টি দূত নিষ্পত্তি ও ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষে সকল মানবাধিকার সংস্থা ,বিচার বিভাগ, ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কমনা করেছেন আন্তর্জাতিক মানবাথিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক ও রাজশাহী জেলা স্পেশাল কমিটির সভাপতি মো: মানসুরুর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..