রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে হঠাৎ কাঁচা মরিচে বেড়ে গেছে ঝাল।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৭ আগস্ট, ২০২১
  • ১৫৯ বার পঠিত

 

রাজশাহীতে হঠাৎ কাঁচা মরিচে বেড়ে গেছে ঝাল।

তরিকুল ইসলাম তারেক রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি ঃ

রাজশাহীতে হঠাৎ কাঁচা মরিচে বেড়ে গেছে ঝাল। শুক্রবার থেকে প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। অথচ এক সপ্তাহ আগেও এই শহরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে মাত্র ৪০ টাকা কেজি দরে। এক দিন আগে বৃহস্পতিবারও নগরের বিভিন্ন বাজারে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে।

তবে শুক্রবার জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাজারে দাম এর চেয়ে বেশ কম ছিল। মোহনপুর উপজেলার মৌগাছি বাজারে ১২৫ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়। হঠাৎ কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় হকচকিয়ে গেছেন ক্রেতারা।

নগরের লক্ষ্মীপুর বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারুক হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার তিনি ১৬০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনেছেন। এক দিনের ব্যবধানে মরিচের দাম ২০০ টাকায় উঠে যাওয়ায় রীতিমতো বিস্মিত তিনি।

নগরের সাহেববাজার থেকে ছাত্রাবাসের জন্য নিয়মিত বাজার করেন পল্লব কুমার পাল। তিনি বলেন, তিন দিন আগে সাহেববাজার থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনেছেন তিনি। তারও তিন দিন আগে কিনেছেন মাত্র ৪০ টাকা কেজি দরে।

রাজশাহীর সবচেয়ে বড় মরিচের পাইকারি বাজার বসে পবা উপজেলার খড়খড়ি বাইপাসে। রাস্তার দুই পাশে আড়তদারেরা কাঁচা মরিচের স্তূপ সাজিয়ে রাখেন। ব্যবসায়ীরা জানান, সেখানে প্রতিদিন দেড় থেকে তিন হাজার মণ কাঁচা মরিচ কেনাবেচা হয়। সেখানকার মরিচ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে যায়। গতকাল এই পাইকারি বাজারে ১৩০ থেকে ১৩২ টাকা কেজি দরে মরিচ কেনাবেচা হয়েছে।

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মরিচচাষি আফসার উদ্দিন জানান, কোরবানির ঈদের পর ২০-২৫ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করতে হয়েছে। এক সপ্তাহ আগেও মরিচের বাজার ভালো ছিল না। তবে গতকাল খড়খড়ি বাজারে ১৩০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করেছেন তিনি। এই বর্ষায় তাঁর কিছু গাছ নষ্ট হয়েছে। তবে এখন ভালো দাম পেলে ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..