তরিকুল ইসলাম তারেক রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহীতে বিধিনিষেধ শিথিলের পরে আবারো চলছে কঠোর ভাবে বিধিনিষেধ। শুধু রাজশাহী নগরী নয় উপজেলাগুলোতেও চলছে ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ আর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকাল থেকেই রাজশাহী নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও পাড়া-মহল্লায়, অলিতে-গলিতে টহলে ছিলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর। সাথে নগরীর বাইরে কাটাখালি, বেলপুকুর,কাঁশিয়াডাঙ্গা, আমচত্বর, বানেশ্বর, পুঠিয়া এলাকায় বসেছে পুলিশের চেকপোস্ট। বাইরে বের হওয়া মানুষ পড়ছেন পুলিশের জেরার মুখে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে চলাফেরা করতে দেওয়া হচ্ছে না।
সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুরে বেলপুকুর চেকপোস্টে গিয়ে দেখা যায়, দুই পাশে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ মহাসড়কের যানবহন থামাচ্ছে। সকলকে জেরা করছে, সঠিক উত্তর দিতে পারলেই কেবল তাদের শহরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে। বানেশ্বর কাটাখালিতে গিয়েও একই চিত্র দেখা গেছে। অনেকে মাস্ক পরছে না আবার পকেটে মাস্ক রেখে ঘুরছে। প্রশাসন ও পুলিশের সদস্যদের দেখলে তড়িঘড়ি করে মাস্ক পরে নিচ্ছে। মঙ্গলবার ও গতকাল সোমবার সাহেববাজার ও মাস্টারপাড়া কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায় মানুষের ভিড়। রাস্তায় স্বাস্থ্যবিধি মানলেও কাঁচাবাজারে ঢুকেই মানুষ সামাজিক দূরত্ব মানছে না। এদিকে রাজশাহী নগরী ও জেলায় জরুরি সেবাসমূহ চালু রয়েছে আগের মতোই। রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, ওষুধ ও খাবার পরিবহণের যানবাহনগুলো স্বাভাবিক নিয়মেই চলাচল করছে। যারা জরুরি প্রয়োজনে ওষুধের প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়ে বাইরে বের হচ্ছেন তাদেরও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে।
নগরী ও উপজেলাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে জেলাতে র্যাব-৫ এর ৫ টি টিম, ও ৬ টি জেলায় প্রতিদিন ৩০ টিম কাজ করছে। এছাড়াও জেলায় সেনা বাহিনির তিন প্লাটুন, বিজিবির তিন প্লাটুন, ও আনসার সদস্যদের তিন প্লাটুন টিম কাজ করছে। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে রয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলায় ২২ টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম কাজ করছে। নগরীতে ৪ টি, উপজেলাগুলোতে ১৮ টিম এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। নগরীর চারটি প্রবেশমুখসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। চারটি প্রবেশমুখ বেলপুকুর, আমচত্বর, কাশিয়াডাঙ্গা ও কাটাখালী এলাকায় পুলিশ সদস্যরা ব্যারিকেড দিয়ে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছেন। এসব পয়েন্ট মানুষ ও যানবাহনের অবাধ প্রবেশ ঠেকাতে কড়া বিধিনেষেধ চলছে। পণ্যবাহী পরিবহণ, পিকআপ ভ্যান ও মালবাহী ট্রাক ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন জেলা থেকে নগরীতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।