মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে বাসাবাড়ি নির্মাণে মা মেয়ে ও জামাইয়ের বাঁধা!

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৯৪ বার পঠিত

রাজশাহীতে বাসাবাড়ি নির্মাণে মা মেয়ে ও জামাইয়ের বাঁধা!

সোহেল রানা রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো

রাজশাহীর কাজলা এলাকায় মৃত মনিরুল ইসলামের স্ত্রী মোসাঃ বাবলী বেগম, মেয়ে নিশি ইসলাম ও মেয়ে জামাই মোঃ রাজিবের চক্রান্তে নিজেদের জমিতে বাসা বাড়ি করতে পারছেন না। ভাইবোনদের ইচ্ছে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হলেও ডেভেলপার দিয়ে বড় বাড়ি তৈরী করতে পারছেন না। বাঁধা প্রদান করছেন মৃত মনিরুল ইসলামের স্ত্রী, মেয়ে ও জামাই এমনটি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের মোঃ মইনুল ইসলাম।

এমন অভিযোগে কাজলা এলাকায় বুধবার (২৫ জানুয়ারী) সরজমিনে জানা যায়, মৃত নজরুল ইসলামের সন্তান মৃত মনিরুল ইসলাম (দিগর), মোঃ মইনুল ইসলাম (কালু), মাহবুব আলম, তাজমুল ইসলাম (উজ্জ্বল), মোসাঃ নাজমা বেগম, বিউটি আক্তার (হাজেরা), আয়েশা খাতুন, সখিনা বেগম। সন্তানদের মধ্যে মৃত মনিরুল ইসলামের স্ত্রী মোসাঃ বাবলী বেগম ও মেয়ে নিশি ইসলাম (মৌ) এবং মেয়ে জামাই মোঃ রাজিব।

মৃত মনিরুল ইসলাম মারা যাওয়ার পর স্ত্রী মোসাঃ বাবলী বেগম ও মেয়ে নিশি ইসলামকে চাচারা জমিজমা ভাগ করে দিয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা। এরপর মইনুল ইসলামের ভাই বোনদের সম্মতিতে ডেভেলপার দিয়ে বাসা বাড়ি নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে ভাই মৃত মনিরুল ইসলামের স্ত্রী মোসাঃ বাবলী বেগম, ভাতিজি ও ভাতিজি জামাই রাজি হলেও পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন। এরপর থেকে মোঃ মইনুল ইসলামের পরিবার ঐ জমিতে গেলেই ভাবি, ভাতিজি ও ভাতিজি জামাইয়ের পক্ষ থেকে মামলা মোকদ্দমা, গালিগালাজ ও হুমকি ধামকি পাচ্ছেন এই ভুক্তভোগী পরিবার।

এ বিষয়ে নগরীর মতিহার থানায় মোঃ মইনুল ইসলাম একটি অভিযোগও দায়ের করেন। অভিযোগে বলেন, গত ১৯ জানুয়ারী বেলা সাড়ে ১১টায় মোঃ মহিউদ্দিনের ছেলে মোঃ রাজিব অর্থাৎ আমার ভাতিজি জামাই, ভাই মৃত মোঃ মনিরুল ইসলামের স্ত্রী মোসাঃ বাবলী বেগম ও মেয়ে নিশি ইসলাম অবৈধ ভাবে আমার ভোগ দখলীয় বসত জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করে আমাকে আমার পরিবারের লোকজনকে এবং আমার লেবারদের কে ভয়ভীতি গালাগালি ও কাজে বাঁধা প্রদান করে এবং হুমকি ধামকি দেয়। আমার পূর্বে রাখা ইট বালি খোয়া নিয়ে যেতে নিষেধ করে এবং কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। নিজের ভোগ করা জমিতে তারা কেন বাঁধা দিবে!”।

অভিযোগকারী বলেন, এইটা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। দলিলে চৌহদ্দি উল্লেখ না থাকায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এই অকৌশল অবলম্বন করছে। বসতবাড়ির জমিজমা নিয়ে ঝামেলা হলে স্থানীয় কাউন্সিলর আপোষ মিমাংসা করে সকলের সম্মতিক্রমে একটি চৌহদ্দি নির্ধারণ করে দিয়েছেন কিন্তু সেটা মানতে তারা অস্বীকার করছেন। সেই সাথে আমার নামে তারা মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলা করেছেন। মামলার বাদী আমার আপন ভাতিজি। মৃত মনিরুল ইসলাম আমার বড় ভাই। আমার ভাতিজি জামাই রাজিব একজন খারাপ প্রকৃতির লোক তার চক্রান্তে ও কুবুদ্ধিতে আমার ভাবি বাবলি ও ভাতিজি আমাদের সাথে বিবাদ করছে। আমাদেরকে সমাজে হেও প্রতিপন্ন করতে মামলা সহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন করছে। আমরা উক্ত সম্পত্তির ওয়ারিশ গণ সকলেই একমত ও সুসম্পর্ক নিয়ে এখনো বসবাস করে আসছি।

এদিকে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা হলে ভুক্তভোগীর ভাতিজি জামাই মোঃ রাজিব বলেন, আমি আমার স্ত্রীর সম্পত্তির বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতেই পারি এটা অস্বাভাবিক কিছুনা। আমরা আমাদের সুবিধা মতো কয়েকটি চৌহদ্দির প্রস্তাব দিয়েছি সেটা তারা মানছে। একটা বাড়ি নির্মাণ করার জন্য ১২/১৪ ফিট রাস্তার প্রয়োজন হয় সে মোতাবেক আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। সুষ্ঠু বিচারের জন্য আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছি আদালতে যা রায় দিবে তা মেনে নিবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..