রাজশাহীতে জমজমাট পূজার বেচাকেনা
মো: তরিকুল ইসলাম তারেক রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা বাঙালি প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব। এই উৎসবকে ঘিরে এখন চলছে জমজমাট বেচাকেনা। নগরীর সাহেব বাজারে বিভিন্ন শাড়ির দোকানে পূজার শাড়ি কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন নারীরা। এবার নারীদের পছন্দ ভারতীয় কাতান শাড়ির চাহিদা বেশি। এরপরেই রয়েছে হাফসিল্ক আর জর্জেট।
এছাড়াও অনেকে দেশীয় শাড়িও কিনছেন। নগরীর সাহেব বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে প্রচুর ভিড়। সেখানে ক্রেতাদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই অনেক বেশি। পূজার কেনাকাটা করতে এসেছেন অনেকেই। অন্যদিকে বিক্রেতারাও ব্যস্ত সময় পার করছেন।
পূজার বিক্রি কেমন চলছে এ বিষয়ে কথা হয় কয়েকজন বিক্রেতার সাথে-
নগরীর সাহেব বাজারের শাড়ি বিক্রেতা সাহেব আলী জানান, এই সময় হিন্দু কাস্টমার অনেক। তারা আমার এখানে নিয়মিত পূজার শাড়ি কিনেন। কাতান শাড়ির চাহিদা অনেক বেশি। এছাড়াও হাফ সিল্ক ভালোই বিক্রি হচ্ছে।
আসাদুর রহমান নামের আরেক শাড়ি বিক্রেতা জানান, ভারতের কাতান শাড়ির প্রতি নারীদের চাহিদা এবার অনেক। বিভিন্ন রংঙ্গের কাতান শাড়ি এবার নতুন ভাবে কালেকশনে রেখেছি। তবে কাতানের পাশাপাশি জর্জেটও ভালো বিক্রি হচ্ছে।
সাহেব বাজারের আরেক বিক্রেতা রিজভী জানান, বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় বেশী থাকছে। ভারতীয় কালেকশনই বেশী রেখেছি। তবে দেশী কালেকশনও রেখেছি। আর আমাদের কালেকশনের শাড়িগুলোও অনেক সুন্দর। পূজার দিন ঘনিয়ে আসায় সামনের দিনে বিক্রি আরো বাড়বে বলে আশা করছি।
বুধবার সকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিলো। এর পরেও সেটা উপেক্ষা করে ক্রেতারা এসেছেন কেনাকাটা করতে। ক্রেতা রিতা সরকার পূজার কেনাকাটা করতে এসেছেন কাশিয়াডাঙা থেকে। তার মেয়ের নতুন বিয়ে হয়েছে। মেয়ের শ্বশুড়বাড়ির সবার জন্য জিনিসপত্র কিনতে হবে। মেয়ের বাড়ির জন্য সিল্কের শাড়ি কিনছি।
আর জামাই ও বেয়াইয়ের জন্য কিনেছেন পাঞ্জাবি। প্রিয়া দাস নামের আরেক ক্রেতা এসেছেন বানেশ্বর থেকে। লকডাউনের কারণে গত পূজাতে নতুন শাড়ি কেনা হয়নি। তাই এবার পূজাতে অনেকগুলো শাড়ি কিনবেন। তিনি বলেন, দুইটা কাতান আর একটা জর্জেট শাড়ি কিনেছি। আরো দেখছি ভালো লাগলে নেবো।
নগরীর লক্ষীপুর এলাকার আরেক ক্রেতা সম্পা সাহা বলেন, পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি। আমার শাশুড়ি বলে দিয়েছেন তার জন্য কাতান শাড়ি নিতে। আমারও অবশ্য কাতান শাড়িই পছন্দ। যেটা দেখছি সেটাই ভালো লাগছে।
কুমারপাড়া এলাকার আরেক ক্রেতা সন্ধ্যা রানী বলেন, বাড়ির সবার জন্যই নতুন জিনিসপত্র কিনেছি। আমি আর আমার ছেলের বৌ কাতান শাড়ি কিনেছি। এবার নতুন শাড়ি পড়ে অঞ্জজলি দিতে যাবো ।