তরিকুল ইসলাম তারেক রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি ঃ
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজশাহী নগরীতে টানা এক মাস চার দিনের লকডাউন শেষে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন বিরতি। এতে করে বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই নগরীতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।
আর এরই মধ্যে আসন্ন ঈদকে ঘিরে জমে উঠেছে রাজশাহীর মার্কেটগুলো। করোনার সময়ও বাড়িতে বসে নেই লোকজন। ঈদ মার্কেট করতে বেড়িয়ে পড়েছে শপিংমল গুলোতে। তবে যানবাহন কিংবা মার্কেট কোন জায়গাতেই স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে তেমন গুরুত্ব নেই। অধিকাংশ মানুষের কাছে মাস্ক থাকলেও তা সঠিক নিয়মে পরছেন না। অনেকের মুখ থেকে নাকে উঠছে না মাস্ক। আবার কারো থুতনির নিচেই থাকছে।আজ শনিবার (১৭ জুলাই) নগরীর সাহেব বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় দেখা যায়, ঈদকে ঘিরে নগরীজুড়ে ব্যাপক কর্মচঞ্চলতা শুরু হয়েছে। শপিংমল ও দোকানপাট, যানবাহন পরিপূর্ণ খোলা থাকায় স্বস্থি প্রকাশ করছে যাত্রী, চালকসহ ক্রেতা-বিক্রেতারা।
নগরীর সাহেব বাজার, আরডিএ মার্কেট, কাপড়পট্টি, গণকপাড়া, নিউ মার্কেট, কোর্ট বাজার এলাকায় বেশি মানুষের সমাগম দেখা গেছে। সাথে ফুটপাতের দোকানগুলোতেই ছিল ক্রেতাদের উপস্থিতি। ফলে মার্কেট গুলোতে এতো বেশি ভীড়, তাতে মনেই হয় না দেশে করোনা বলে কোন রোগ আছে। সকলে নির্দিধায় কেনা কাটা করছেন। ঈদের আনন্দ যেন আটকানো দায়। তবে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে জানতে চাইলেই বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছেন তারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃহস্পতিবার থেকে লকডাউন খুলেছে। সকাল থেকেই তারা দোকান খুলেছেন। কিন্তু ক্রেতা বলতে হাতেগোনা কয়েকটা। তবে শুক্রবার থেকে মার্কেটে বেশ লোকসমাগম। এরমধ্যে অনেকে দেখছেন। অনেকে কেনা দামও বলছেন।
স্বাস্থবিধি বিষয়ে তারা বলেন, ‘আমরা যতটুকু সম্ভব স্বাস্থবিধি মেনে চলছি। তবে ক্রেতাদের দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে অনুরোধ করলেও তারা শুনছেন না। বলতে গেলে বরং বিপরিত ফল হয়।’এদিকে, ক্রেতারা বলছেন-করোনায় এমনিতেই মানুষের আয় করেছে। এরমধ্যে সন্তানদের বায়না মেটাতে বা দীর্ঘ দিন পোশাক কেনেনি একারণে বাজারে এসেছেন। কিন্তু বিক্রেতারা বেশি দাম চাচ্ছেন।
নগরীর নিম্মি খাতুন জানান, লকডাউনের কারণে অনেক দিন বাজারে আসেন নি তিনি। সামনে ঈদ। ছোট একটা ছেলে ও একটা মেয়ে আছে। বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না থাকা সত্বেও তাদের জন্যই মূলত বাজারে আসা।
এ বিষয়ে আরডিএ মার্কেট ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী জানান, শুক্রবার থেকে মার্কেটে কেনাবেচা ভালোই হচ্ছে। তবে এটা আরো বাড়বে। তবে স্বাস্থ্যবিধি সেভাবে নিশ্চিত হচ্ছে না এটা ঠিক। এটা শুধু মার্কেটে না পুরো নগরীর চিত্রও এমন।
এছাড়া ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে তারা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে ব্যবসায়ীক নেতা ও প্রশাসনের সমন্বয়ে কমিটি করে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।