রংপুর নগরীর মডার্ন মোড়ে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সড়ক
অবরোধ প্রত্যাহার,কর্মস্থল ঢাকায় ফিরছে ঝুকি নিয়ে
রংপুর প্রতিনিধি।
কঠোর লকডাউনের দশম দিনে আজ দুপুরে ঢাকার উদ্দেশ্যে মর্ডানমোড়ে জড়ো হওয়া শ্রমিকরা যানবাহন না পেয়ে রাস্তা অবরোধ করে। ৪ ঘন্টা ধরে অবরোধ চলাকালে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতায় যাতায়াতের জন্য বিআরটিসি বাস প্রতিসীট ৮ শ টাকায় ঢাকায় নিয়ে যাবে এমন আশস্থ্যে অবরোধ প্রত্যাহার করে তারা।
গতকাল মোবাইলে মেসেজ পাওয়ার ঢাকা,গাজীপুর ও নারায়নগঞ্জের গার্মেন্টস ও কারখানায় কর্মরত রংপুর অঞ্চলের শ্রমিকরা শনিবার সকাল থেকে রংপুর ও আশেপাশের জেলার শ্রমিকরা ঢাকায় ফিরতে নগরীর মডার্ন মোড়ে আসলে হাজার হাজার শ্রমিকদের ভীড়ে জনসমুদ্রে পরিনত হয়।এসময় ঢাকায় ফেরার কোন গাড়ি না পাওয়ায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।বিক্ষোভে সকল প্রকার পণ্যবাহী ট্রাক ও যানবাহন আটকিয়ে দেয় তারা।এসময় রাস্তাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিকেল ৪ টার পর তারা ট্রাক,পিক-আপ, কাভার্ড ভ্যান,ও বিআরটিসি ও অন্যান্য পরিবহনের বাসে করে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে।
এসময় তারা গাদাগাদি করে পরিবহগুলোতে বসে যাচ্ছে।ফলে চাইলেও সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারছেন না অনেকে। এদিকে পরিবহন সংকটকে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া গুনছেন পরিবহন মালিকরা।ট্রাক,পিক আপ,কাভার্ডভ্যানে প্রতিজনের ভাড়া ১ হাজার টাকা এবং বাসের ভাড়া প্রতিজন ১৫শ টাকা।
সেলিম নামের একজন গার্মেন্টস কর্মী জানান,চাকরি বাঁচাতে ঢাকা যাওয়াই লাগবে। ভাড়া যতই হোকনা না কেন বুদ্ধি তো আর নাই।
তবে পুরুষ শ্রমিকরা ট্রাকে-পিক আপে এভাবে গাদাগাদি করে যেতে পারলেও বিপাকে নারী শ্রমিকরা।তাদের মধ্যে কেউ কেউ ১৫শ টাকা খরচ করে বাসে করে গেলেও বেশিরভাগই দাঁড়িয়ে আছে। সুফিয়া নামের একজন জানান,পুরুষ মানুষেরা এভাবে যেতে পারলেও আমরা তো যেতে পারছিনা।বাসে ১৫শ টাকা ভাড়া দিয়ে যাওয়াও সম্ভব হচ্ছেনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ট্রাকের হেলপার জানায়,রাস্তায় অনেক খরচ আছে তাই ভাড়া বেশি নেয়া হচ্ছে।
রংপুর মহানগর কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার আলতাফ হোসেন জানান,শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহার করে বিআরটিসির বাস ও বিভিন্ন পরিবহন ভাড়া করে কর্মস্থলে ফিরছে।
সালাউদ্দিন সুমন,রংপুর-01712814922