মরুভূমির মিষ্টি ফল ত্বীনের বাণিজ্যিক চাষ হচ্ছে রংপুরে। মিঠাপুকুর উপজেলার শাল্টিগোপালপুরে ত্বীন এগ্রো ফার্ম চাষ করছে মরুর এই সুস্বাদু ফলটি যা একেকটি বিক্রি হচ্ছে ১ ডলারে।
ডুমুর আকৃতির এই ফল সহজে সবার দৃষ্টি কাড়ে। অন্যান্য চাষি ও সাধারণ মানুষও ত্বীন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
ত্বীন এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী দুই ভাই রাহাত ও রাতুল শখের বসে ত্বীন চাষ শুরু করলেও বাণিজ্যিকভাবে এখন চাষ হচ্ছে এই ফল। গত ৮ মাস আগে এর চারা রোপণের পর থেকে আশার আলো দেখছেন তারা।
ত্বীন এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী রাহাত হাসান জানান, বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়ায় ত্বীন চাষে সাফল্যের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এগুলোর ফল নীল, মেরুন, লাল, হলুদসহ বিভিন্ন বর্ণের হয়ে থাকে। এখানকার গাছে প্রতিটি ত্বীন ফল ওজনে ৭০ থেকে ১১০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এ সময় তিনি বলেন, ফল ও চারা বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবানের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে রপ্তানির জন্য কৃষি অধিদপ্তরের সহায়তা প্রয়োজন।
ত্বীন ফল ও গাছের ব্যাপক চাহিদার কারণে প্রকল্প হাতে নিয়েছে ফার্ম কর্তৃপক্ষ। এখান থেকে কলম তৈরি করে চাষিদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।
রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে ফল বিক্রেতারা ত্বীন কিনে নিয়ে যান। প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজির মূল্য এক হাজার টাকা।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে গবেষণায় রয়েছে ত্বীন ফলটি। গবেষণায় ফলাফল ভালো ও লাভজনক হলেই ফলটি চাষে প্রান্তিক কৃষকদের উৎসাহিত করা হবে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ত্বীন ফল। দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোসহ এটি নানা রোগ নিরাময়েও সহায়ক। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়ামসহ নানা ভেষজ গুণ। এছাড়াও ক্যানসার রোধে এই ফলটি খুবই উপকারী।