যৌতুকের দায়ে ০৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যাকারী ঘাতক স্বামীকে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানাধীন ঘাগড়া সাকিন্থ আত্মীয়ের বাড়ি হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪।
রিপোর্ট ও প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা থেকে মোঃমাসুদ আলম ভূঁইয়া,
মোছাঃ মীম আক্তার (২০) জামালপুর সদর থানাধীন জনৈক পিতা- মোঃ মোক্তার হোসেন (৪৫) সাং-আমিন নগর এর কন্যা সহিত মোঃ আরিফ (২২), পিতা- আলী আকবর সাং- গহের পাড়া নিশিন্দি, জামালপুর সদর, জেলা জামালপুর এর ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের সময় মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ভিকটিমের বাবা বিভিন্ন আসবাবপত্র এবং নগদ তিন লক্ষ টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন আরো যৌতুকের জন্য ০৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ভিকটিমের উপর অমানুষিক নির্যাতন এবং নিপীড়ন করতে থাকে। গত ১৮/১০/২০২০ ইং তারিখ রাত অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় ১ নং বিবাদী ভিকটিমের বাবাকে ফোন করে জানায় ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা অজ্ঞান অবস্থায় জামালপুর মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমের অবস্থার অবনতি দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে ২৫-১০ ২০২২ ইং তারিখ অনুমান ০২.০০ঘটিকার সময় উক্ত ভিকটিম মৃত্যুবরণ করেন।
উক্ত ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তি পর থেকে র্যাব-১৪,সিপিসি – ১, জামালপুর ক্যাম্প ঘটনাটি ছায়া তদন্ত শুরু করে আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রাখে। পরবর্তীতে বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে আসামীর অবস্থা নিশ্চিত করে অদ্য ০৩/১১/২০২২ ইং তারিখ অনুমান ২৩.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১৪, সিপিসি-১ জামালপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল স্কোয়াড্রন লীডার আশিকুজ্জামান ও সিঃ এস পি সবুজ রানা এর নেতৃত্বে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানাধীন ঘাগড়া এলাকায় আত্মগোপনে থাকা উক্ত মামলার প্রধান আসামি মোঃ আরিফ (২২) কে তার আত্মীয়র বাড়ি হতে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী মোঃ আরিফ (২২) নির্মম হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা দেয় এবং এই হত্যাকাণ্ডটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে আসামীর ১। পিতা- আলী আকবর (৫৫), ২। মাতা- মোছাঃ পারুল বেগম(৪৫), ৩। ভাই মোঃ পলাশ (২৭), ৪। ভাবি- মোছাঃ-নিলুফা (২৫), ৫। বোন- মোছাঃ আল্পনা (৩০) এর সহায়তায় ভিকটিমের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের ভীমের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এমতাবস্থায় জামালপুর সদর থানার মামলা নং- ৮১, তারিখ -২৫/১০/২০২২ ইং, ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ( সংশোধনী/ ২০২০) এর ১১(ক)/৩০, তৎসহ পেনাল কোড ৩১৬ মূলে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।