যেসব লক্ষণ জানিয়ে দিচ্ছে সম্পর্ক ভাঙনের দিকে এগোচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার জসীমউদ্দীন ইতি
সাধারণত কোনো সম্পর্কই সবসময় মসৃণভাবে চলে না। সম্পর্কে ভালো-খারাপ লেগেই
থাকে। সম্পর্ককে একটা পরিণতি দেয়ার জন্য পার করতে হয় অনেক চড়াই-উতরাই।
অনেক সময়েই এসব পরিস্থিতি সামাল দেয়াটা কঠিন হয়ে পড়ে। আবার বেশি সমস্যা
হওয়ার কারণে সম্পর্কটাই রাখা কষ্টকর হয়ে পড়ে অনেক ক্ষেত্রে।
এগিয়ে নেয়া যাবে না এমন সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেখা যায় কিছু লক্ষণ। এসব
লক্ষণ দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনার সম্পর্কটি ভেঙে যাওয়ার পথে। জানুন সেসব
লক্ষণ—
১. সঙ্গীর উপস্থিতিতে বিরক্তি
সম্পর্কের মধ্যে অনেক সময় এমন দেখা যায় যে কোনো ছোটখাটো বিষয় বা আচরণে
অনেক বেশি বিরক্ত কাজ করে। এমনকি সঙ্গীর উপস্থিতিটাই হয়ে ওঠে অসহ্যকর।
আপনার ক্ষেত্রেও এমনটি হলে বুঝতে হবে আপনার সম্পর্কটা ভেঙে যাওয়ার পথে
অনেকটা এগিয়ে গেছে।
এ রকম পরিস্থিতি আসলে শান্তভাবে চিন্তা করে খুঁজে বের করতে হবে এমন হওয়ার
কারণ। দুজনে মিলে সমঝোতা করে এর সমাধান বের করতে পারেন। এতে সম্পর্কটি
আবার প্রাণ ফিরে পেতে পারে আপনাদের।
২. সঙ্গী কাছে না থাকলে স্বস্তি লাগে
সম্পর্কের মধ্যে অনেক ঝামেলা হয় তিক্ত পর্যায়ে পৌঁছলে দুজনের কেউ একজন
রাগ করে দূরত্ব রাখাটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু এমন পরিস্থিতিটাই যদি
দুজনের কারও কাছে স্বস্তিদায়ক মনে হয়, তবে ধরে নিতে পারেন সম্পর্কটা
অনেকখানি অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলেছে।
৩. শারীরিক সম্পর্কের আকর্ষণ না থাকা
সম্পর্কের মধ্যে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে এবং সম্পর্কের
বাঁধনকে গভীর করে তুলতে শারীরিক সম্পর্ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু
দুজনের মধ্যে যদি শারীরিক আকর্ষণ কাজ না করে, তবে সম্পর্কের প্রাথমিক
ভিত্তিটাই নষ্ট হয়ে যায়। আর এ রকমটা অনেক দিন ধরে চলতে থাকলে সে
সম্পর্কের ভবিষ্যৎ প্রায় নেই বলে ধরে নেয়াই ভালো।
৪. মতামতের অনেক পার্থক্য
সম্পর্কের মাঝে সবার নিজস্ব মতামত থাকবে এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু এর
পরিমাণ যদি অতিরিক্ত হয়ে পড়ে তা হলে সেটি সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ
রকমটা অনেক বেশি হতে থাকলে একপর্যায়ে সেটি সম্পর্ক ভাঙনের কারণ হিসেবে
দেখা দিতে পারে। মতামতের পার্থক্য থাকলে দুজনে খোলামেলা আলোচনা করে একটা
মাঝামাঝি সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
৫. সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখার প্রচেষ্টা না থাকা
সম্পর্কে ঝামেলা আসাটা অনেক স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু ঝামেলা হলে সেটা ঠিক
করার কোনো প্রচেষ্টাই না করা হলে সে সম্পর্ক টেকানো কঠিন হয়ে পড়ে। যে
কোনো সম্পর্ক ধরে রাখতে দুজনেরই কিছু প্রচেষ্টার দরকার হয়। একে অপরের
প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস গড়ে তোলার জন্য হলেও কিছু প্রচেষ্টা করতেই হয়। আর
এটি করতে হয় দুজনকেই, একজনের প্রচেষ্টায় সম্পর্ক টেকানো সম্ভব নয়। আপনার
সম্পর্কে এমনটি হয়ে থাকলে বুঝতে হবে সে সম্পর্ক টেকার নয়।
তথ্যসূত্র : ফেমিনা ডট ইন