শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩১ অপরাহ্ন

যশোরে মৎস্য ঘের ও ফসলের ক্ষতি করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২০ জুন, ২০২১
  • ২৪৭ বার পঠিত

 

দেবব্রত মন্ডল যশোর জেলা প্রতিনিধি :-

মনিরামপুরে মৎস্যঘের এবং পাটক্ষেতের মাটি কেটে রাস্তা নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। মাটি কেটে নেওয়ায় রাস্তা ভেঙ্গে ঘেরের মধ্যে বিলিন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে ঘের এবং পাটক্ষেতের মালিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অথচ প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ববানরা রয়েছে সম্পূর্ন নির্বিকার।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস জানায়, ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ের অধিন সরকার কাবিটা বিশেষ প্রকল্পের আওতায় মনিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি গ্রামের বারিক সরদারের পুকুরপাড় হতে আবদুল কাদেরের রাইসমিল অভিমুখে কাঁচা রাস্তা নির্মানের উদ্যোগ গ্রহন করেন। একহাজার ৪৪ মিটার দৈর্ঘ্যরে কাঁচা রাস্তা নির্মানের জন্য বরাদ্দ করা হয় ১০ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে রাস্তা নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পের সভাপতি হয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান। তবে কাজটি সার্বিক তত্বাবধান করছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আব্দুল্লাহ বায়েজিদ এবং অফিস সহায়ক মিজানুর রহমান। কাজটি ৩০ জুনের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে একটি ষ্কেভেটর মেশিন দিয়ে রাতদিন মাটিকেটে রাস্তা নির্মানের কাজ অব্যাহত রয়েছে। রাস্তার একপাশে সারিবদ্ধভাবে রয়েছে অসংখ্য মৎস্যঘের। অন্যপাশে রয়েছে পাট ক্ষেত রয়েছে ১৫/১৬ টি। অভিযোগ রয়েছে ষ্কেভেটর মেশিন দিয়ে পানিভরা মৎস্যঘের থকে মাটি কেটে রাস্তা নির্মান করা হচ্ছে। আবার পাট নষ্ট করে ক্ষেত থেকেও মাটি কেটে রাস্তায় ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে একদিকে মাটি কেটে নেওয়ায় রাস্তাভেঙ্গে ঘেরের মধ্যে বিলিন হওয়ার আশংকা রয়েছে। আবার পাট কেটে চাষীদের ক্ষতিগ্রস্থ করা হচ্ছে। ফলে মৎস্যঘের মালিক এবং পাট চাষীদের মধ্যে বেশ অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

সরেজমিন গিয়ে এ ব্যাপারে কথা হয় শহিদুল ইসলাম মিলন, আইয়ুব আলী, ইউসুফ আলী, বিধান চন্দ্র সহ বেশ কয়েকজন ঘের মালিকের সাথে। তারা জানান, ঘেরেরপাড় থেকে যেভাবে মাটি কাটা হচ্ছে তাতে করে অচিরেই রাস্তাভেঙ্গে ঘেরের মধ্যে বিলিন হওয়ার আশংকা রয়েছে। মিলন অভিযেগ করেন এ ব্যাপারে কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্তাব্যক্তিকে বার বার বলা সত্তে¡ও কোন কর্ণপাত করা হচ্ছেনা। আবার পাট চাষী ইকরাম মোল্যা, ইশারত খা, আবু দাউদ, জালাল ফকিরের দাবি পাট নষ্ট করে ক্ষেত থেকে মাটিকেটে নেওয়ায় তাদেরকে ক্ষতিপূরন দেওয়া হোক। তবে প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান জানান, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেননা। তার দাবি সব জানেন ইউপি চেয়ারম্যানসহ প্রকল্প বাস্তাবায়ন অফিসার(পিআইও)। তবে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ সরদার জানান, রাস্তাটি নির্মান করা এলাকাবাসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন। তার দাবি মাটি কেটে রাস্তা নির্মানে কোন ঘের মালিক এবং পাটচাষী অভিযোগ করতে পারেননা। তবে এ ব্যাপারে প্রতিক্রীয়া জানতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার(পিআইও) আব্দুল্লাহ বায়েজিদের মোবাইলফোনে একাধীকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।প্রকল্পের অপর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা মিজানুর রহমান(অফিস সহায়ক) জানান, রাস্তানির্মানে কোরপ্রকার অনিয়ম করা হয়নি। এছাড়াও রাস্তা নির্মানে এলাকাবাসী আনন্দিত। তেেব উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..